সিডনী রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


রেল বাস লঞ্চ সব খানেই যাত্রীদের দুর্ভোগ


প্রকাশিত:
১১ আগস্ট ২০১৯ ০৭:২২

আপডেট:
১৯ মে ২০২৪ ০১:৫১

রেল বাস লঞ্চ সব খানেই যাত্রীদের দুর্ভোগ

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: এবার দুর্ভোগ কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না ঈদে ঘরমুখো মানুষদের। ঈদযাত্রার চতুর্থ দিন শনিবারও বাস, ট্রেন ও লঞ্চ সব খানেই ছিল যাত্রীদের দুর্ভোগের চিত্র। 

ট্রেনের সূচি বিপর্যয়ে ঈদযাত্রা হয়ে উঠেছে ভোগান্তির আরেক নাম। উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমের জনপদের যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটাতে হয়েছে কমলাপুর স্টেশনেই। কোনো কোনো ট্রেন ছেড়েছে নির্ধারিত সময়ের দশ থেকে ১২ ঘণ্টা পর। এই পুরোটা সময় যাত্রীদের বসে থাকতে হয়েছে প্ল্যাটফর্মে। 



রেলের মতো উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের বাসেও শিডিউল বিপর্যয় ঘটে। ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলগামী যাত্রীদের চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক। শনিবার মহাসড়কটিতে প্রায় ৭০ কিলোমিটার যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। অন্যদিকে যাত্রীর তুলনায় লঞ্চের সংখ্যা কম ও ছাড়ার নির্দিষ্ট সময় না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীদের। 



ঈদের ছুটি রোববার শুরু হলেও শুক্র ও শনিবার ছুটির দিনেই ঢাকা ছেড়েছেন বেশিরভাগ মানুষ। শুক্রবার ঢাকা থেকে খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাশে লাইনচ্যুত হলে সাড়ে ৩ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় ট্রেনের সূচি বিপর্যয় ডেকে এনেছে। তাই বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে যেসব ট্রেন যায়, তার সবগুলোই কম বেশি বিলম্বিত হয়েছে।



রাজশাহীগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ঢাকা ছাড়ার কথা ছিল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায়। কিন্তু ছেড়েছে শনিবার সকাল ১০টায়। রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস শনিবার সকাল ৬টায় ছাড়ার কথা থাকলেও ছেড়ে গেছে বিকাল ৩ টার পরে। খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস শনিবার সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও ছেড়েছে দুপুর ২ টার পরে। রংপুর এক্সপ্রেস সকাল ৯টায় ছাড়ার কথা ছিল, সেটি ছেড়েছে রাত ৯টার পর। 



লালমনি এক্সপ্রেস কমলাপুর ছাড়ার কথা ছিল সকাল সোয়া ৯টায়, কর্তৃপক্ষ সেই ট্রেন ছাড়ার সময় নির্ধারণ করেছেন রাত সাড়ে ১০টায়।  শুক্রবার সুন্দরবন এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার কারণেও শনিবার ট্রেন দেরিতে ছাড়ছে। তবে শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে কোনও যাত্রী টিকিটের টাকা ফেরত চাইলে নিতে পারবেন বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ১১ আগস্ট ট্রেনগুলোর ক্ষেত্রে এ সুযোগ দেওয়া হবে। কেউ চাইলে তাকে অগ্রিম টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। শিডিউল বিপর্যয় রোববার অনেকটা গুছিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। 



অন্যদিকে ঈদযাত্রায় উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের বাসেও শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। সময়মতো বাসগুলো ফিরে আসতে না পারায় ঢাকা থেকে সেগুলো নির্ধারিত সময়ে ছাড়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাস কর্তৃপক্ষ। শনিবার রাজধানীর গাবতলী ও কল্যাণপুর বাস টার্মিনালে দেখা যায় কাউন্টারগুলোয় তিল ধারণের জায়গা নেই। কাউন্টারের সামনে ফুটপাত আর সড়কে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে ঘরমুখো মানুষদের। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের দুর্ভোগ ছিল অনেকটা বেশি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসের অপেক্ষায় থেকে কষ্ট পেলেও আপনজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে পারার তীব্র আগ্রহে সব কষ্ট সয়ে যাচ্ছেন তারা। 



হানিফ পরিবহনের একজন ব্যবস্থাপক জানান, সকাল সোয়া ৬টার একটি বাস ছেড়ে গেছে দুপুর ১২টায়। আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে ফেরি ঠিকমতো চলাচল করতে পারছে না। নদীর প্রচণ্ড স্রোতের কারণে ফেরি বন্ধ ছিল। আরিচার ওপারে আট থেকে নয় কিলোমিটার যানজট তৈরি হয়েছে। এ কারণে ওই দিক থেকে গাড়ি আসতে সময় লাগছে। 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top