হলি আর্টিসান মামলার রায়ের কপি উচ্চ আদালতে


প্রকাশিত:
৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৫:৩৯

আপডেট:
৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৫:৪০

ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: হলি আর্টিজান হামলা মামলার রায়ের কপি হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় ঢাকার সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনাল থেকে এই কপি পাঠানো হয়।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পেশকার রুহুল আমিন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

গত ২৭ নভেম্বর হলি আর্টিজান হামলা মামলায় সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন ঢাকার সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান। এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন জাহাঙ্গীর হোসেন, আসলাম হোসেন র‌্যাশ, মো. হাদিসুর রহমান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, মো. আব্দুল সবুর খান, শরিফুল ইসলাম খালেক ও মামুনুর রশীদ রিপন।

অন্যদিকে হামলায় সম্পৃক্ততা পাওয়া না যাওয়ায় মামলার অপর আসামি মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

আজ (৫ ডিসেম্বর) ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠানো হলো।

গত ২৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক এ মামলার রায়ে আদালত রায়ে উল্লেখ করেন, ‘জাহাঙ্গীর হোসেন, আসলাম হোসেন র‌্যাশ, মো. হাদিসুর রহমান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, মো. আব্দুল সবুর খান, শরিফুল ইসলাম খালেক ও মামুনুর রশীদ রিপনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ এর ৬ (২) (অ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হলো এবং তাদের প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো। মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের গলায় ফাঁসি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেয়া হলো।’

আদালত রায়ে আরও বলেন, ‘আসামি জাহাঙ্গীর হোসেন, আসলাম হোসেন র‍্যাশ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, মো. আব্দুল সবুর খান ও শরিফুল ইসলাম খালেককে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ এর ৭ ধারায় দোষী সাব্যস্তক্রমে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো। অনাদায়ে আরও দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হলো।’

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এসময় তাদের গুলিতে দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন। পরে অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় মামলা করে পুলিশ।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top