সিডনী সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১


মানবাধিকার লঙ্ঘনে মিয়ানমারের নিন্দায় জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস


প্রকাশিত:
২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ২৩:৫২

আপডেট:
২৯ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:১১

রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমারের মানবাধিকার লঙ্গন                   ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: রোহিঙ্গা মুসলিমসহ দেশের অন্য সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নির্বিচারে গ্রেফতার, নির্যাতন, ধর্ষণ ও বন্দি অবস্থায় মৃত্যুসহ নানা উপায়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কঠোর সমালোচনা করে শুক্রবার মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। বিবিসি।

১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদে ১৩৪-৯ ভোটে নিন্দা প্রস্তাবটি পাস হয়। এ ছাড়া ২৮ সদস্যরাষ্ট্র ভোটদান থেকে বিরত ছিল। নিন্দা প্রস্তাবে রাখাইন, কাচিন ও শান প্রদেশে রোহিঙ্গাসহ দেশটির অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো বন্ধে মিয়ানমার সরকারকে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

একই অধিবেশনে সাধারণ পরিষদ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে গঠিত ইন্ডিপেনডেন্ট ইনভেস্টিগেটিভ মেকানিজম ফর মিয়ানমার (আইআইএমএম) নামের একটি স্বাধীন কমিশনের জন্য নিয়মিত বাজেট বরাদ্দ অনুমোদন করে। জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ ৩৯/২ প্রস্তাবনার মাধ্যমে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে কমিশনটি গঠন করে।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের কোনো প্রস্তাব মানতে আইনত বাধ্য নয় কোনো দেশ, তবে এসব প্রস্তাব বিশ্বের সব দেশের কোনো একটি বিষয় নিয়ে নিজস্ব মতামত ও অবস্থানের প্রতিফলন। বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারের দাবি রাখাইনে বসবাসরত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে যাওয়া বাঙালি, তারা দেশটির নাগরিক নন।

এদিকে এর প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জানিয়েছে, এ প্রস্তাব দেশটির বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মাঝে নতুন করে অনাস্থা ও অবিশ্বাসের বীজ বপন করবে। নিন্দা প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা জানিয়ে মিয়ানমারের জাতিসংঘ প্রতিনিধি হাউ দো সুয়ান বলেন, এ নিন্দা প্রস্তাব মানবাধিকার নীতির দ্বিমুখী প্রয়োগের উদাহরণ। মিয়ানমারকে অনাকাক্সিক্ষতভাবে রাজনৈতিকভাবে চাপে ফেলতেই এটি পাস করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, যুগের পর যুগ ধরে বসবাস করে এলেও ১৯৮২ সাল থেকে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব বাতিল করে তাদের রাষ্ট্রহীন বানায়। এ ছাড়া তাদের আন্দোলন করার স্বাধীনতা খর্ব করে তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে আসছে মিয়ানমার সরকার। তাদের বিরুদ্ধে নানাভাবে নির্যাতন চালায় দেশটির স্থানীয় বাসিন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনী।

তবে রোহিঙ্গা সঙ্কট শুরু হয় ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট। দেশটির সামরিক বাহিনী রাখাইন প্রদেশে নির্বিচারে গণহত্যা, ধর্ষণ, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে রোহিঙ্গা নিধন অভিযান শুরু করলে জীবন বাঁচাতে প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গা দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। তারা এখনও তাদের মাতৃভ‚মিতে ফিরতে পারেনি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top