সিডনী সোমবার, ১৩ই মে ২০২৪, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩১


একনেকে ৪ হাজার ৪৬০ কোটি টাকার সাত প্রকল্প অনুমোদন


প্রকাশিত:
২ জানুয়ারী ২০২০ ০০:৫৮

আপডেট:
১৩ মে ২০২৪ ০৪:১৮

ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: মোংলা বন্দরের জন্য সহায়ক জলযান সংগ্রহসহ সাত প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে মোট খরচ ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৪৬০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৪ হাজার ৩৪৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ১১৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা খরচ করা হবে। অন্যদিকে ভারতের আসাম এবং নেপাল ও ভুটানসহ উত্তরের দিকের দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের নৌপথে যোগাযোগ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেওয়া হয় এবং দেশের নৌপথে যোগাযোগ বাড়ার এ নির্দেশনা দেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব নুরুল আমিন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম এবং ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য শামীমা নার্গীস।

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, মোংলা বন্দরের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে জলযান সংগ্রহ করা হচ্ছে। তা ছাড়া প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারত, ভুটান বা নেপাল যেন এই বন্দর সহজেই ব্যবহার করতে পারে সে জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। তা ছাড়া এসব দেশের সঙ্গে যেন নদীপথে বাণিজ্য বাড়ানো যায়, সে জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া নদীর পাড় ঘেঁষে ড্রেজিং করলে নদীভাঙনের আশঙ্কা থাকায় ড্রেজিং কার্যক্রম পাড় ঘেঁষে না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে পায়রা, মোংলাসহ নতুন-পুরনো বন্দরগুলোতে আধুনিক স্ক্যানার বসানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, স্ক্যানার নষ্ট বা অকার্যকর থাকলে হবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিদেশ সফরে পরিকল্পনা কমিশন বা আইএমইডির কর্মকর্তাদেরও যেতে হবে। কেননা রাখালের সঙ্গে গরুর যে সম্পর্ক, প্রকল্পের সঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের সম্পর্ক একই।

অনুমোদিত সাত প্রকল্প : একনেক বৈঠকে অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ রয়েছে ‘পাওয়ার গ্রিড নেটওয়ার্ক স্ট্রেনদেনিং প্রজেক্ট আন্ডার পিজিসিবি’ প্রকল্পে। এই প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২ হাজার ৩০২ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

মোংলা বন্দরের জন্য সহায়ক জলযান সংগ্রহ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৭৬৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সক্ষমতা জোরদার করতে অনুমোদিত প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২২০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। সিলেট, লালমনিরহাট ও বরিশাল ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি স্থাপন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১৯১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এ ছাড়া ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলা অংশের সীমান্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১০২ কোটি ২৭ লাখ টাকা। মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিল সম্প্রসারণসহ ভ‚মি উন্নয়ন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৮১৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

রাজশাহী মহানগরীর জলাবদ্ধতা দূর করতে নর্দমা নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৫৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, উত্তরের দিকে যেসব দেশ আছে, যেমন নেপাল, ভুটান, এমনকি আসাম দেশ না হলেও বড় দেশের অংশ। তাদের সঙ্গে নৌপথে চলাচলটা আরও সহজ করা দরকার। ব্যবসা-বাণিজ্যে আমরা নৌপথের দিকেও আমরা নজর দিচ্ছি। আপনারা জানেন, ব্রহ্মপুত্র আমাদের বিশাল নদী। প্রধানমন্ত্রী বলছিলেন, খোঁজখবর নেন তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

নদী খননের সময় যাতে পাড় না ভাঙে সেদিকে সতর্ক থাকারও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তার বক্তব্য তুলে ধরে এমএ মান্নান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ড্রেজিং আমরা করছি অনেক জায়গায়। ড্রেজিংটা নদীর পাড়ের দিকে করবেন না। নৌ-মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবকে তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে বি ভেরি কেয়ারফুল (খুব সতর্ক থাকা), যাতে পাড় না ভাঙে। মোংলা, পায়রা, চট্টগ্রাম নদী বন্দরকে আরও আধুনিকায়ন এবং সেখানে অত্যাধুনিক স্ক্যানার মেশিন বসানোর নির্দেশও দেন প্রধানমন্ত্রী।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top