সিডনী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


আজ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত:
৭ জানুয়ারী ২০২০ ২৩:০৫

আপডেট:
৮ জানুয়ারী ২০২০ ০২:৩১

ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর এক বছরপূর্তি হচ্ছে আজ। গত বছরের ৭ জানুয়ারি বঙ্গভবনে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এই শপথের মধ্য দিয়েই শেখ হাসিনা চতুর্থ মেয়াদে বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিয়ে ইতিহাস গড়েন। আর টানা তৃতীয়বারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয় তার দল আওয়ামী লীগ।

সরকারের এক বছর উপলক্ষে আজ ৭ জানুয়ারি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভাষণে এক বছরে সরকারের উন্নয়ন ও অর্জনের পাশাপাশি পূর্ববর্তী অর্জনগুলোর তথ্য জনগণকে জানানো হবে। একই সঙ্গে দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, মাদক ও সন্ত্রাস নিয়ে সরকারের অবস্থানের পাশাপাশি এসব সমস্যা নিরসনে সরকারের পদক্ষেপগুলো ও অর্জনের চিত্র তুলে ধরা হবে। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ২০-২৫ মিনিটের এই ভাষণে দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের চিত্রের পাশাপাশি সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরা হবে।

এর আগে ২০১৯ সালের ৬ জানুয়ারি সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ৪৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভার নাম এবং দফতর বণ্টনের কথা জানানো হয়। ওই বছরই প্রথমবার শপথের আগে মন্ত্রীদের তালিকা ও দফতর বণ্টনের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। নতুন ও পুরনোর সমন্বয়ে গঠিত শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় তখন ২৪ মন্ত্রী, ১৯ প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রী শপথ নেন। কয়েক মাস পর প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমেদকে পূর্ণমন্ত্রী এবং ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরাকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী করা হয়। নতুন সরকারে প্রথমবারের মতো সরকারের দায়িত্ব পান ৩২ জন। মহাজোটের শরিক দলের কোনো নেতাকে মন্ত্রিসভায় রাখা হয়নি। শুধু আওয়ামী লীগ নেতারাই মন্ত্রিসভায় স্থান পান।

দেশকে নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে সামনে এগিয়ে নিতে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে ধারাবাহিকভাবে বিশাল উন্নয়ন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে বিশ্বসভায় বাংলাদেশকে এক বছরে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন শেখ হাসিনা।

টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগের এক বছরের শাসনামলে সাফল্যের পাল্লা ভারী হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যর্থতাও রয়েছে। নানা দুর্বলতায় বিএনপি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় রাজনীতিতে বড় ধরনের অস্থিরতা না থাকলেও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের আলোচিত দুর্নীতি সরকারকে কিছুটা অস্বস্তিতে ফেললেও ক্যাসিনো কান্ডের পর শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে মানুষের মনে আস্থা ফিরিয়ে আনার চেস্টা করে সরকার। এছাড়া রাজাকারের তালিকা প্রকাশের পর এই তালিকায় বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধার নাম আসায় তা নিয়েও অনেকটা বিব্রত হতে হয়েছে সরকারকে।

পুরনোদের বাদ দিয়ে তরুণদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করে যে চমক দেখিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী তার সুফলও দেখতে পেয়েছেন দেশের মানুষ। প্রথমবার মন্ত্রী হয়েও এক বছরে যে সফলতা দেখিয়েছেন মন্ত্রিসভার তরুণ সদস্যরা তাতে প্রমাণ হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত বাস্তবসম্মত ছিল। সরকারের এই এক বছরে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছোটখাটো ত্রুটি ও ব্যর্থতা থাকলেও সফলতার পাল্লাই ভারী বলে মনে করছেন মন্ত্রীরা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top