শিশু হাসপাতাল ও শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এক হচ্ছে
প্রকাশিত:
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:৫০
আপডেট:
১২ মার্চ ২০২৫ ১৭:১৫

প্রভাত ফেরী: `বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউশন আইন-২০২০’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আর এই আইনের মাধ্যমে একীভূত হচ্ছে ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সভাকক্ষে বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ১৯৭৭ সালে শের-ই-বাংলা নগরে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসাবে ঢাকা শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে বিচ্ছিন্ন ও সীমিতভাবে দরিদ্র রোগাক্রান্ত শিশুদের জন্য চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হতো। পরবর্তী সময়ে শিশুদের সার্বিক চিকিৎসার জন্য এটি একটি পূর্ণাঙ্গ শিশু হাসপাতাল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
ঢাকা শিশু হাসপাতাল কোনো আইনগত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত নয় জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ঢাকা শিশু হাসপাতাল অধ্যাদেশ-২০০৮ গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। নবম জাতীয় সংসদের বিশেষ কমিটির সুপারিশের আলোকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় জারি করা ১২২টি অধ্যাদেশের মধ্যে ৫৪টি অধ্যাদেশ অনুমোদন করা হয়। অননুমোদিত ৬৮টি অধ্যাদেশের মধ্যে ঢাকা শিশু হাসপাতাল অধ্যাদেশও রয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও বাংলাদেশ শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটকে একীভূত করে এই আইন করা হয়েছে। ২১টি ধারা সম্বলিত বাংলাদেশ ‘শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউ আইন-২০২০’ প্রণয়ন করা হয়েছে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এই আইন অনুযায়ী ইনস্টিটিউট পরিচালনায় ১২ সদস্যের একটি বোর্ড থাকবে। বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সদস্যারা তিন বছরের জন্য মনোনীত হবেন। একজন পরিচালক থাকবেন, যিনি এই হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি এই আইনের যথাযথ বস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারি গেজেট ও প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিধি প্রণয়ন করতে পারবেন। সরকারের পূর্ব অনুমোদন নিয়ে এই বিধির সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, এরূপ প্রয়োজনীয় প্রবিধান ব্যবস্থাপনা বোর্ড প্রণয়ন করতে পারবে। এটা ধারা ১৯-এ বলা আছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, এই আইনের মাধ্যমে ঢাকা শিশু হাসপাতাল পরিচালিত হলে সর্বস্তরের শিশুদের উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রণয়নের মাধ্যমে একটি সুস্থ-সবল জাতি গঠনে হাসপাতালটি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে বলে জাতি আশা করে।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: