২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে না চবি ও বুয়েটে


প্রকাশিত:
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১০:৩৭

আপডেট:
১২ মার্চ ২০২৫ ২১:৫৩

ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী : সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় যাচ্ছে না বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক মিজানুর রহমান এ তথ‌্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আগে যেভাবে হয়েছে, এবারেও সেভাবেই ভর্তি পরীক্ষা নেবেন তারা। বুয়েট প্রথমে শিক্ষার্থীদের কাছে আবেদন আহ্বান করে। এরপর সেগুলো প্রাথমিক বাছাই করে নির্ধারিতসংখ্যক পরীক্ষার্থী নিয়ে ভর্তি পরীক্ষা নেয়। এর ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করে।

এদিকে গত ২৩ জানুয়ারি দেশের সব কটি বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে সমন্বিতভাবে ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটসহ ৫টি বড় বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয়ে অনাগ্রহ দেখিয়ে আসছিল।

এ জন্য তারা নতুন এ পদ্ধতিতে যাওয়ার বিষয়ে কোনো কথা দেয়নি। এর মধ্যে কিছুদিন আগেই ইউজিসির আরেক সভায় সমন্বিত পদ্ধতির পরিবর্তে কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

অপর দিকে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে না চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। তবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তত্ত্বাবধানে চলতি বছরের অনুষ্ঠিতব্য সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তীতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ববিদ্যালয়। তাই অন্য বারের মতোই চলতি বছর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার কে এম নুর আহমদ।

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ২৩৮ তম সভায় এখন পর্যন্ত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশ না নেয়ার প্রস্তাবনা পাশ হয়েছে বলে জানিয়েছেন একটি অনুষদের ডিনসহ দুজন অধ্যাপক।

তবে বৈঠকে থাকা কয়েকজন শিক্ষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বৈঠকের পরই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

সভায় অংশ নেওয়া দুজন অধ্যাপক জানিয়েছেন, একাডেমিক কাউন্সিলে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার সকল দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বিচ্ছিন্ন ভর্তি পরীক্ষার শ্রম, অর্থ ও সময়ের ব্যয় কমাতে যে দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েছেন, এর প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সম্মান জানিয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাতন্ত্র্যবোধ, ১৯৭৩ এর অধ্যাদেশের বিষয়টিকেও অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে।

প্রশাসন সূত্র জানায়, সভায় সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার সব দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এতে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বিচ্ছিন্ন ভর্তি পরীক্ষার শ্রম, অর্থ ও সময়ের ব্যয় কমাতে যে মত দিয়েছেন, তার প্রতি সম্মান জানায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। তবে  বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাতন্ত্যবোধ, ১৯৭৩ এর অধ্যাদেশের বিষয়টিকেও অক্ষুণ্ন রাখার বিষয়ের আলোচনা হয়। তাই এ বছর ইউজিসির তত্ত্বাবধানে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও এতে অংশগ্রহণ না করে পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top