যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পেলেন মেসি
প্রকাশিত:
৭ জানুয়ারী ২০২৫ ১১:১৬
আপডেট:
১৬ জানুয়ারী ২০২৫ ২১:২৬
শনিবার হোয়াইট হাউজের ইস্ট রুমে এক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সেক্টরের খ্যাতিমান ব্যক্তিদের গলায় এই পুরস্কার পরিয়ে দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ক্রীড়া, বিনোদনসহ বিভিন্ন জগতের ১৯ জন পেয়েছেন ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’। যদিও ব্যস্ত সূচির কারণে সশরীর অনুষ্ঠানস্থলে আসতে পারেননি আর্জেন্টাইন ফুটবল সুপারস্টার।
পুরস্কার পেয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, অভিনেতা ডেনজেল ওয়াশিংটন, রাজনীতিবিদ জর্জ সরোস, সাবেক সিনেটর মিট রমনির বাবা জর্জ রমনি, সঙ্গীতশিল্পী বোনো, অভিনেতা মাইকেল জে ফক্স, সাবেক বাস্কেটবল তারকা ম্যাজিক জনসন প্রমুখ।
লিওনেল মেসি বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার, মতান্তরে সর্বকালের সেরা ফুটবলার। দেশের হয়ে বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকা, ফিনালিসিমা ও ক্লাবের হয়ে ১০ বার লা লিগা, দুবার ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান, চারবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ক্লাব বিশ্বকাপসহ সম্ভাব্য সব ট্রফিই জিতেছেন। ব্যক্তিগত অর্জনেও শোকেসটা তার ভরা। রেকর্ড আটবার জিতেছেন ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ব্যালন ডি’অর পুরস্কার। ফিফার বর্ষসেরাও হয়েছেন সমান সংখ্যকবার। এবার মেসির মুকুটে যুক্ত হলো আরেকটি পালক। তিনি পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’ পুরস্কার।
শনিবার হোয়াইট হাউজের ইস্ট রুমে এক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সেক্টরের খ্যাতিমান ব্যক্তিদের গলায় এই পুরস্কার পরিয়ে দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ক্রীড়া, বিনোদনসহ বিভিন্ন জগতের ১৯ জন পেয়েছেন ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’। যদিও ব্যস্ত সূচির কারণে সশরীর অনুষ্ঠানস্থলে আসতে পারেননি আর্জেন্টাইন ফুটবল সুপারস্টার।
পুরস্কার পেয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, অভিনেতা ডেনজেল ওয়াশিংটন, রাজনীতিবিদ জর্জ সরোস, সাবেক সিনেটর মিট রমনির বাবা জর্জ রমনি, সঙ্গীতশিল্পী বোনো, অভিনেতা মাইকেল জে ফক্স, সাবেক বাস্কেটবল তারকা ম্যাজিক জনসন প্রমুখ।
প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম নিয়ে এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস বলেছে, ‘সম্মাননা পাওয়া ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রকে আরেকটু এগিয়ে নেয়ার স্বীকৃতিই পাচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেন বিশ্বাস করেন, বড় নেতারা বিশ্বাসে অবিচল থাকেন, সবাইকে প্রাপ্য সম্মান দেন ও ভালো আচরণকে সবার ওপরে স্থান দেন। এই ১৯ জনের প্রত্যেকেই ভালো নেতা, যারা যুক্তরাষ্ট্রকে আরেকটু এগিয়ে নিয়েছেন। তারা দেশের ও বিশ্বের জন্য অসাধারণ অবদান রেখেছেন।’
৩৭ বছর বয়সী মেসিও এমনই এক নেতা। তিনি ইউরোপের অধ্যায় শেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের দল ইন্টার মিয়ামিতে নাম লেখান ২০২৩ সালে। ১৯৭৫ সালে নিউইয়র্ক কসমস ক্লাবে নাম লিখিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন ব্রাজিলের তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার পেলে। তারপর মেসির আগমন যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে সবচেয়ে বড় ঘটনা। তার আগমন যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলকে এগিয়ে নেবে বলেই বিশ্বাস আমেরিকানদের। মেসিকে সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মাননা দিয়ে সেই অবদানের স্বীকৃতি দিলেন বাইডেন।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: