বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো
প্রকাশিত:
১৮ আগস্ট ২০১৯ ০০:৪৬
আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ০৮:২৯

প্রভাত ফেরী, স্পোর্টস ডেস্ক: যত সময় গড়িয়েছে, শর্টলিস্ট ততই ‘শর্ট’ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত প্রার্থী ছিলেন আসলে দুজন-নিউজিল্যান্ডের মাইক হেসন আর দক্ষিণ আফ্রিকার রাসেল ডোমিঙ্গো। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে রাসেল ডোমিঙ্গোকেই হেড কোচ হিসেবে বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
আজ (শনিবার) দুপুরে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণাই দিলেন। প্রাথমিকভাবে তার সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি হয়েছে। কোচের শর্টলিস্টে থাকাদের মধ্যে কেবল ডোমিঙ্গোই সশরীরে ঢাকায় এসে ইন্টারভিউ দিয়েছেন।
নাজমুল হাসান পাপন মিরপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে দেন এই ঘোষণা। তিনি বলেছেন, ‘আমরা গতকালকেই ডোমিঙ্গোকে কোচ হিসেবে নিশ্চিত করেছি। আজ আপনাদের জানালাম। আমরা দুটো অপশন থেকে তাকে বেছে নিয়েছি। তিনি আগামী ২১ তারিখে আমাদের সঙ্গে যোগ দেবেন। কোচ হিসেবে ডোমিঙ্গো আমাদের চাহিদাগুলো পূরণ করতে পারবে বলেই তাকে নিয়োগ দিয়েছি।’
ঈদের আগে গত ৭ আগস্ট বাংলাদেশে সাক্ষাৎকার দিয়ে গেছেন রাসেল ডোমিঙ্গো। তার কর্মপরিকল্পনা দেখে সেদিনই নিজেদের সন্তুষ্টির কথা জানায় বিসিবি। অবশ্য কোচ নিয়োগের ক্ষেত্রে ডোমিঙ্গো ছাড়া তালিকায় আরও কিছু নাম ছিল।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কোচ হতে সাক্ষাৎকার দেওয়া সাবেক নিউজিল্যান্ড কোচ মাইক হেসনও ছিলেন। এছাড়া আরও কয়েকজনের সাক্ষাৎকার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নিয়েছিল বিসিবি। তাদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলেন আরও চারজন। এরা হলেন- সাবেক জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটার গ্র্র্যান্ট ফ্লাওয়ার, ইংল্যান্ডের পল ফারব্রেস ও শ্রীলঙ্কান চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। যদিও ডোমিঙ্গো ও হেসনকে নিয়েই আগ্রহ বেশি ছিল বিসিবির। অবশেষে এই দুইজনের মধ্য থেকে ডোমিঙ্গকে বেছে নিয়েছে বিসিবির কর্তাব্যক্তিরা।
ডোমিঙ্গো পেশাদার ক্রিকেট না খেললেও তার কোচিং ক্যারিয়ার বেশ সমৃদ্ধ। মাত্র ২২ বছর বয়সে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। ২৫ বছর বয়সে ইস্টার্ন প্রভিন্সের হয়ে কোচিংয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া ২০০৪ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত যুব বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ হয়ে বাংলাদেশ সফর করেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে তার কোচিংয়ে বেশ কিছু সাফল্যও আছে।
ডোমিঙ্গো জাতীয় দলের দায়িত্ব পান ২০১২ সালের ডিসেম্বরে। শুরুতে শুধু টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৩ সালে গ্যারি কারস্টেনের উত্তরসূরি হিসেবে বাকি ফরম্যাটেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের কোচ ছিলেন। তার অধীনে দুই বিশ্বকাপেই সেমিফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করে দক্ষিণ আফ্রিকা। পরে ওটিস গিবসন ২০১৭ সালে হেড কোচ হলে ডোমিঙ্গো দায়িত্ব পান দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ দলের।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: