সিডনী রবিবার, ২৮শে এপ্রিল ২০২৪, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১


বিবিসির বর্ষসেরা ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস


প্রকাশিত:
১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৮:০২

আপডেট:
১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ২২:১৮

ছবি: সংগৃহীত

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ে নায়কোচিত ভূমিকা। অ্যাশেজে অসাধারণ পারফরম্যান্স। সোনায় মোড়ানো বছরের যোগ্য স্বীকৃতি পেলেন বেন স্টোকস। বিশ্বকাপে নায়কোচিত পারফরম্যান্স ও হেডিংলি-রূপকথার সুবাদে বিবিসির (ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশন) ২০১৯ সালের বর্ষসেরা ক্রীড়াব্যক্তিত্ব নির্বাচিত হয়েছেন ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। ২০০৫ সালে ফ্রেডি ফ্লিনটফের পর ও সব মিলিয়ে মাত্র পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে এই পুরস্কার জিতলেন তিনি।

শুধু স্টোকস একাই নন, বিশ্বকাপ জয়ী ইংল্যান্ড দলটাকে বর্ষসেরা দল হিসেবে ভূষিত করেছে বিবিসি। একইসঙ্গে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে মার্টিন গাপটিলকে রান আউট করার মুহূর্তটিকে বর্ষসেরা মুহূর্ত হিসেবে পুরষ্কৃত করা হয়েছে।

বর্ষসেরা ক্রীড়াব্যক্তিত্বের দৌড়ে স্টোকসের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন লুইস হ্যামিলটন। এছাড়া তৃতীয় হয়েছেন স্প্রিন্টার দিনা অ্যাশার স্মিথ।

বর্ষসেরা হয়ে ক্রিকেটের অনেক দিনের পুরস্কার খরা ঘোচালেন স্টোকস । ক্রিকেটে ২০০৫ সালে সর্বশেষ পুরস্কারটি জিতেছিলেন আরেক ইংলিশ অলরাউন্ডার ফ্রেডি ফ্লিনটফ । ১৯৫৪ সালে এই পুরস্কার চালুর পর পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে পুরস্কৃত হলেন স্টোকস । এর আগে জিতেছেন জিম লেকার (১৯৫৬), ডেভিড স্টিল (১৯৭৫), ইয়ান বোথাম (১৯৮১) ও ফ্লিনটফ।

পুরস্কারটি ব্যক্তিগত, কিন্তু স্টোকসের কণ্ঠে পুরো দলের জয়গান, ‘এটা আসলে ব্যক্তিগত সম্মাননা, তবে আমি খেলি দলীয় খেলা। আর এখানেই সবচেয়ে ভালো দিকটি হলো বিশেষ মুহূর্তগুলো আপনি সতীর্থদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারেন।’

স্টোকস আসলে কৃতিত্ব দিয়েছেন সব সতীর্থসহ দলে সংশ্লিষ্ট সবাইকে, ‘পুরস্কারটি নিতে পেরেছি, শুধু আমার চেষ্টাতেই এমনটি সম্ভব হয়নি। আপনারা যারা গ্রীষ্মে ভূমিকা রেখেছেন, তাদের ছাড়া এমনটি হয়তো সম্ভব হতো না।’

৮টি ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার দেওয়া হলেও সব আকষর্ণের কেন্দ্রে বরাবরই থাকে বর্ষসেরা ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব। পারফরম্যান্স দিয়েই এবার ফেভারিট ছিলেন স্টোকস। বিশ্বকাপের ফাইনালে খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তোলেন তিনি। মূল ম্যাচে দারুণ ব্যাটিংয়ের পর সুপার ওভারেও তিনি গড়ে দেন পার্থক্য। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে অধরা শিরোপার দেখা পায় ইংল্যান্ড।

সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে ৬৬.৪২ গড়ে ৪৬৫ রান করেছিলেন স্টোকস। উইকেট নিয়েছিলেন ৭টি। বিশ্বকাপের পর অ্যাশেজেও স্টোকস ছিলেন ইংল্যান্ডের সেরা পারফরমার। ৫৫.১২ গড়ে রান করেছিলেন ৪৪১, উইকেট নিয়েছিলেন ৮টি। দুটি সেঞ্চুরি করেছিলেন, দুটিই ছিল অসাধারণ ইনিংস। হেডিংলিতে চতুর্থ ইনিংসে দলকে রোমাঞ্চকর জয় এনে দিয়েছিলেন ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ইনিংস খেলে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top