সিডনী মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ ২০২৪, ৫ই চৈত্র ১৪৩০

সিডনি ভ্রমণের স্মৃতি (প্রথম পর্ব) : আনিসুল কবীর


প্রকাশিত:
৯ মে ২০১৯ ১৬:২৬

আপডেট:
২৮ এপ্রিল ২০২০ ১৯:২১

আনিসুল কবীর

 

দেশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কে আমার কিছুটা দুর্বলতা অনেক আগে থেকে ছিলো। কারনটা বললে হয়তো অনেকে হাসবেন। অস্ট্রেলিয়া দেশটি পছন্দের কারন হলো ওখানে ক্রিকেট খেলা হয়। আমি যেহেতু ক্রিকেট ভক্ত, তাই অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিয়ের সেই অজেয় দলটির একজন ভক্ত হিসাবে দেশটির প্রতিও কিছুটা অনুরক্ত ছিলাম। এছাড়াও ছাত্র অবস্থায় কানাডা আমেরিকার চেয়ে অস্ট্রেলিয়ার থাকা অনেক আরামের বলে একটা সময় অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক কিঞ্চিৎ চিন্তা ভাবনাও করেছিলাম। যাই হোক পরবর্তীতে সেসব পরিকল্পনায় পানি পড়লেও আমার অস্ট্রেলিয়া প্রীতি ভিতরে ভিতরে রয়েই গেছে। এর মধ্যে আরেকটা ঘটনা দেশটিকে আমার আরেকটু কাছে নিয়ে এসেছে। বর্তমানে আমার বড় ভাই অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। বউ বাচ্চা নিয়ে মেলবোর্ণে ঘাটি গেড়েছেন। উনার সুবাদে গত ২ বছরে দুবার অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ করেছি। প্রথমবার অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থেকে সিডনি শহরের ভ্রমণ নিয়ে লেখতে বসেছি।
আগেই বলে নেই, আমার অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ শুরু হয়েছিলো মেলবোর্ণ থেকে। বড় ভাইয়ের (সাইফুল বারী বাবু) সহায়তায় ভিসা করে ২০১৭ সালের এপ্রিলের শেষ দিকে মেলবোর্নে রওনা দিলাম কোন কিছু চিন্তা ভাবনা ছাড়াই। যাওয়া আসার ব্যবস্থা মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসে। অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণের ১০ দিন কোথায় ঘুরবো আগে থেকে কিছুই ঠিক করা ছিলোনা। শহর বলতে শুধু মেলবোর্ন দেখা হবে না সিডনিতে যাওয়া হবে সেটাও ভেবে দেখা হয়নি। যদিও বড় ভাইয়ের বন্ধু রতন ভাই পই পই করে বলে দিয়েছিলো মেলবোর্নে ঘুরে সময় নষ্ট না করে সিডনির জন্য বেশি সময় রেখে দিও। আমার মাথায় এই ভ্রমনে অবশ্য দ্রষ্টব্য একটা জায়গাই নির্দিষ্ট করে রেখেছিলাম, সেটা হলো মেলবোর্নের নিকটে দ্যা গ্রেট ওসান রোড। বিশেষ করে টুয়েল্ভ এপোস্টেলস। প্রকৃতির এক নান্দনিক সৃষ্টি। সুমদ্রের পাড় ঘেঁেস ২০০ কিলোমিটার রাস্তা। রাস্তার পাশে অপূর্ব সুন্দর সমুদ্র তট। লক্ষ লক্ষ বছর ধরে সুমুদ্র আর পাহাড়ের ঠোকাঠুকিতে তৈরী হয়েছে অদ্ভূত সুন্দর সব প্রাকৃতিক ভাস্কর্য। সমুদের পানি পাথর ক্ষয় হয়ে তৈরী হয়েছে সামুদ্রিক গুহা আর মোটা মোটা কলাম আকৃতির পাহাড়ের। দেখতে খুব সুন্দর। মনে মনে ঠিক করেছিলাম কোন এক ফাঁকে যদি বাবু ভাইকে নিয়ে গ্রেট ওসান রোডে ঘুরে আসতে পারি ভালো, আর বাবু ভাইয়া না পারলে নিজেই টুরিস্ট বাসে করে ঘুরে আসবো। আমার ভাগ্য ভালো বলতে হবে, কেননা এই ভ্রমণে আমি শুধু গ্রেট ওসান রোড নয়, বরং মেলবোর্নের বেশ কিছু দ্রষ্টব্য জায়গা ছাড়াও সিডনি শহরের অপেরা হাউস, হারবার ব্রিজসহ আশে পাশের সুন্দর কিছু জায়গায় ঘোরাফেরা করতে পেরেছিলাম।
আমার অস্ট্রেলিয়া সফরের মোট সময় ছিলো ১০ দিন। এই ১০ দিনের মধ্যে সিডনি শহরে থেকেছি ৩ দিন। যেহেতু ভাইয়ের বাসায় এসেছি, অন্য বিদেশ ভ্রমণে যেমন উত্তেজনা বোধ করেছি অতীতে, তার চেয়ে উত্তেজনা কিছুটা কম ছিলো। কিন্তু মেলবোর্ণ, সিডনির টুয়েলভ্ এপোস্টেলস্ আর অপেরা হাউস দেখতে পাওয়ার আলাদা একটা উত্তেজনা অবশ্য ছিলো মনে মনে। বড় ভাইয়ের কাছে আগেই শুনেছিলাম ওদের বাসার পিছনে একটা ছোট এয়ারপোর্ট আছে, যেখান থেকে আমাকে উনি প্লেনে তুলে দিবেন। আর সিডনিতে বাবু ভাইয়ের বন্ধু রতন ভাই আমাকে রিসিভ করে নিয়ে যাবে উনার কোয়েকারস্ হিলের বাসায়। সকাল ৭ টার ফ্লাইট ধরতে ভোর ৫ টার মধ্যে রেডি হয়ে ভাইয়ের সাথে এ্যাভালন এয়ারপোর্টের দিকে রওনা হলাম। আর সেই বাসার পিছনের এয়ারপোর্টের দুরত্ব বের হলো ৩০ কিলোমিটার, যেখানে আমি ভেবেছিলাম এয়ারপোর্টের দুরত্ব বাংলাদেশের মাপে খুব বেশি হলে হয়তো শুক্রবাদ থেকে ঝিকাতলার সমান হবে। যাক বড় দেশ দুরত্বও বেশি হওয়াটাই স্বাভাবিক, ব্যাপারটা নিয়ে এখনও হাসি আমি।
এয়ারপোর্টে লাগেজের মাপের তারতম্যের জন্য ৫০ ডলার গচ্চা দেয়া ছাড়া অন্য কোন বিড়ম্বনায় পরতে হয়নি মেলবোর্ণ থেকে সিডনি যাত্রপথে। ভালোয় ভালোয় সিডনি এয়ারপোর্টে পৌছে যাই। এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়েই রতন ভাইকে ফোনে খুজে নেই। রতন ভাই তার অস্ট্রেলিয়ান স্ত্রী রানাটা ভাবির সাথে কোয়েকারস্ হিল নামক জায়গায় থাকেন। উনি ১৯৯৫ সাল থেকে সিডনিতে থাকেন। অনেক দিন পরে দেখা হওয়ায় প্রাথমিক হইচইয়ের পরে গাড়িতে উঠে উনি জানতে চান আমি সিডনিতে কি কি জিনিস দেখতে চাই। আমি হাসতে হাসতে বলি আমি কিন্তু অন্য টুরিষ্টদের মতো না যে সব কিছু দেখতেই হবে। মাত্র ৩ দিন আছি, আপনি যা দেখাবেন আমি তাতেই সন্তুষ্ট থাকবো। উনি হাসতে হাসতে বলেন এতো কম সময় নিয়ে আসছো, বন্ধু বান্ধবও নিশ্চয় প্রচুর আছে, ওদের বাসায় দাওয়াত খাবা, নাকি ঘুরবা? আমি হাসি আর বলি, হঠাৎ করে চলে আসছি, এখন কারো বাসায় যেয়ে ওদের বিরম্বনায় ফেলার চেয়ে যতটুকু পারি ঘুরাঘুরি করবো আপনার সাথে। ‘তাহলে দাওয়াত বাদ’ রতন ভাই হাসেন। আমিও কিঞ্চিৎ দুঃখ ভরাক্রান্ত হৃদয়ে সম্মতি দেই। জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটির বন্ধুদের জন্য একটু মন খারাপ লাগে। তবে ওরা সব সময় বলে এসেছে একটু আগে থেকে বলিস। আমিও জানি বিদেশের জীবন ক্যালেন্ডার আর ঘড়ির সাথে চলে।
৮টা ৩০ শে এয়ারপোর্ট থেকে রওনা দিয়ে সাড়ে ৯টার মধ্যে বাসায় পৌছে যাই। বাসায় ব্যাগ রেখে হাতমুখ ধুয়ে কাপড় চেঞ্জ করে নেই। খাওয়া দাওয়া নিয়ে আমার কোন চয়েস নেই দেখে রানাটা ভাবি ইংলিশ ব্রেকফাস্ট রেডি করে রেখেছিলো। খাওয়া দাওয়া শেষ হতেই তিনজন সিডনি সফরে বেড়িয়ে পড়ি।


আমাদের প্রথম গন্তব্য উত্তর সিডনির অভিজাত এলাকা ঘুরে হারবার ব্রিজটা ভালো করে দেখা। রতনভাই পাকা ড্রাইভার। গাড়ি চালিয়ে কোয়েকারস হিল (Quakers Hill) উপশহর থেকে মুল শহরের দিকে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। যাত্রা পথে সিডনি পথ ঘাটের ব্যাপক উন্নয়নের কাজ চোখে পড়ে। রতন ভাই মেলবোর্ন শহরের আবহাওয়া নিয়ে হাসাহাসি করতে করতে বলতে থাকেন আর বলেন, তুমি ৫টা বছর পরে আসলে সিডনিকে চিনতে পারবা কি না সন্দেহ। কি পরিমান যে কাজ হচ্ছে চিন্তাও করতে পারবা না। আমি চারিদিকে তাকাই। আমরা সিডনি হারবারের নিচের টানেল দিয়ে আরেক পাশে চলে যাই। নিউট্রাল বে হয়ে কিরিবিলিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রধান মন্ত্রীর বাসভবন কিরিবিলি হাউসের সামনে ঘুরাঘুরি করি কিছুক্ষণ। অনেক অভিজাত আবাসিক এলাকার মধ্যে দিয়ে আমাকে ঘুরিয়ে দেখান। মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের বাড়ি গুলোর দাম শুনে আমি অবশ্য ঘাবড়ে যাই না, কারন আমাদের গুলশান বারিধারার বাড়ির দাম আরও অনেক বেশি। ছবির মতো সুন্দর আবাসিক এলাকায় ঘুরাঘুরির ফাঁকে ফাঁকে সিডনি হারবারের দৃশ্যগুলো আমাকে রোমাি ত করছিলো বারবার। একটা সময় রতন ভাই সিডনি হারবার ব্রিজের নিচে সম্ভবত মিলসন্স পয়েন্ট নামক জায়গায় গাড়ি থামান। আমি তখন স্বপ্নাচ্ছন্ন ভাবে গাড়ি থেকে নামি। মনে হলো যেন পুরো অস্ট্রেলিয়ার একটা প্রতিকী দৃশ্য আমার সামনে দাড়িয়ে আছে। সিডনি হারবারের ঘন নীল পানির ওপারে অপূর্ব সুন্দর সিডনি অপেরা হাউস, আর মাথার উপরে শতবর্ষী সিডনি হারবার ব্রিজ। কত শতবার টিভি, সিনেমা আর পত্রিকার পাতায় এই দৃশ্য দেখেছি কে জানে!


সিডনি এয়ারপোর্টে নামার দুই আড়াই ঘন্টার মধ্যেই যেন সিডনি ভ্রমণ সফলতার মুখ দেখে ফেললো। অপেরা হাউস আর হারবার ব্রিজের সাথে সিডনি সিবিডির (Central Business District) বহুতল ভবনের সাড়ি গুলো দেখতে খুব লাগছিলো। ডিএসএলআর আর ফোনের ক্যামেরা বের করে ছবি তুলা শুরু করে দিলাম। চোখের সামনে অস্ট্রেলিয়ার ভিউ কার্ড যেন এক একটা দৃশ্য। অনেক ছবি তুলা হলো ওখানে। ওখানে একটা মজার দৃশ্য দেখলাম, সদ্য বিবাহিত জামাই বউরা অপেরা হাউসকে পিছনে রেখে ছবি তুলছে। বেশ অনেকজন জুটিকেই দেখলাম ফটোসেশনে। আমাদের পরের যাত্রা ছিলো সিডনি অপেরা হাউস প্রাঙ্গনে।
আবার সিডনি হারবার পেরিয়ে অপর দিকে যাত্রা করলাম আমরা। অপেরা হাউসের কাছাকাছি গাড়ি পার্ক করা কঠিন, তাই একটু দুরে সরকারি একটা বিল্ডিংয়ের কাছে গাড়ি পার্ক করে আমরা বেশ কিছুটা হেটে অপেরা হাউসের দিকে এগোই। ছুটির দিন বলে অপেরা হাউসে ব্যাপক ভীড় ছিলো। আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিলো আমি সেই বিশ্বখ্যাত সিডনি অপেরা হাউসের সামনে। ব্যাপক ভিড়ের মধ্যেই ফেসবুক লাইভ দিয়ে আমার অগনিত ফেসবুক বন্ধুদের জানিয়ে দিলাম আমি এখন সিডনির অপেরা হাউসের সামনে হাটাহাটি করছি। আবহাওয়ায় রোদ বৃষ্টির খেলার মধ্যেই সামনে দাড়িয়ে থাকা সিডনি হারবার ব্রিজের অনেক ছবি তুলে ফেলি।

 

অপেরা হাউজের ফুড কোর্ট থেকে ৩ জন ৩ রকমের খাবার নিয়ে দুপুরের খাবার পর্ব সেরে ফেলেছিলাম। খাওয়াদাওয়া শেষে অপেরা হাউসের সাথের রয়েল বোটানিক গার্ডেনে ঢুকে ছোট ট্রামে করে পুরো পার্কটা একটা চক্কর দিয়ে আসলাম। অনেক সুন্দর একটা জায়গা। উন্নত দেশগুলোতে আসলে ওদের পার্ক গুলো দেখলে আমার খুব মন খারাপ হয়। শ্বাস নেয়ার জন্য এরকম জায়গা আমাদের ঢাকা শহরে কখনও চিন্তাই করা যায় না। অথচ আমাদের রমনা পার্ক সোহরোয়ার্দি উদ্যানু বা বোটানিক্যাল গার্ডেনে এখনও প্রচুর জায়গা আছে। কিন্তু ভালো ভাবে সংরক্ষনের কোন উদ্যোগ নেয় না কেউ।

রয়েল বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে তাকিয়ে কিছুটা দুরের বড় বড় বিল্ডিংয়ের ফাঁকে সিডনি সেন্টারপয়েন্ট টাওয়ারটা চোখে পড়ছিলো। অনেক আগে থেকেই উচু বিল্ডিংয়ে উঠা আমার খুব পছন্দ। একটা শহরের পুরোটা পাখির চোখে দেখা যায়। রতন ভাইকে বলতেই বললেন চলো ঘুরে আসি। এবার গাড়ি না নিয়ে একটু এগিয়ে গিয়ে ট্যাক্সি ধরে ৫ মিনিটে পৌছে যাই সিডনি টাওয়ার বা সেন্টারপয়েন্টে। টিকেট কেটে সিকিউরিটি চেকিং শেষে উপরে উঠে পরলাম ৩ জন। উঠেই আমার মনে হলো, না আসলে বোকামিই করা হতো। সিডনি শহরটা ছবির মতো সুন্দর। সিডনি হারবারে হাজার হাজার নৌযান ভাসমান। উপর থেকে মন ভরে দেখলাম পুরো শহরটা। অল্প কিছু টাকা খরচ হলেও যে কোন শহরের উচু কোন অবজারভেশন ডেক থাকলে সেটা ভ্রমণ করা উচিৎ বলে আমি মনে করি।


সব মিলিয়ে তখন প্রায় বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যার পথে। আমরা তখন আমাদের গাড়ির দিকে এগিয়ে যাই। গিয়ে দেখা গেলো পার্কিয়ে অতিরিক্ত সময় ব্যায় করার জন্য ১০০ ডলারের উপর জরিমানা হয়ে গেছে। সুন্দর একটা দিন কাটানোর পর মন খারাপ করে রতন ভাইয়ের বাসার দিকে রওনা দেই আমরা।
প্রথন দিনের ভ্রমণ প্রায় শেষ। এখানে একটা বিষয় বলা হয়নি, সিডনি এয়ারপোর্ট থেকে বাসার দিকে যাওয়ার সময় ফেসবুকে চেকইন দেয়াতে আমার স্কুল জীবনের বন্ধু সুলায়মান আসরাফি দেওয়ান দানী ফোন দিয়ে খোঁজ নিয়েছিলো। আমি কোথায় উঠেছি শুনে দেখা গেলো ওর বাসা থেকে ৫ মিনিটের পথ। ও বলে রেখেছিলো রাত ৮টায় এসে আমাকে নিয়ে যাবে ওর বাসায়। অনেকদিন পর বিদেশের মাটিতে ছোটকালের বন্ধুর সাথে দেখা হওয়ার সুযোগ পেয়ে ভালোই লাগছিলো। আমরা ৭টার দিকে বাসায় ফিরে এক ঘন্টা রেষ্ট নেয়ার পরই দানী/ড্যানি চলে আসে আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কোন সময় নষ্ট না করেও নিরিবিলিতে একটা দাওয়াত খাওয়া হয়েই গেলো শেষ পর্যন্ত। দানির আলিশান বাড়িতে বসে ওর প্রবাস জীবনের গল্প শুনতে অসম্ভব ভালো লেগেছিলো।


সফল ভ্রমণের অন্যতম বিষয় যেহেতু মানুষ দেখা, সিডনিতে দীর্ঘদিন বসবাসরত দু’জন বাংলাদেশীর সাথে সময় কাটিয়ে ওখানকার জীবনযাপন সম্পর্কে একটা ধারণা হয়ে গেলো। রাতে থেকে যাবার জন্য জোড়াজুড়ি শেষে আবার বেড়াতে আসবো প্রতিশ্রুতি আদায় করে দানি আমাকে রতন ভাইয়ের বাসায় পৌছে দিয়েছিলো। মেলবোর্ন থেকে এসে প্রথম দিনেই খুব ঘুরাঘুরি করে আর ছোটবেলার বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে সিডনি ভ্রমণের প্রথম দিনটা সফল ভাবেই গিয়েছিলো। আমাদের সিডনি ভ্রমণের দ্বিতীয় দিনে সিডনির সবগুলো সমুদ্র সৈকত বা বিচে ঘুরাঘুরি করার পরিকল্পণা নিয়ে ঘুমাতে গিয়েছিলাম সেদিন।

লেখক: আনিসুল কবীর

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top