সিডনী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১

রমজান আর পূজার ছুটির সাথে জড়িত মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তের আবেগ : শাকিলা নাছরিন পাপিয়া


প্রকাশিত:
২৩ মার্চ ২০২২ ০০:০৩

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৪ ০৬:১৯

 

ছুটির তালিকায় রমজানের পুরোটাই ছুটি ছিল কিন্তু সেটা বাতিল করা হলো। ঠিক যেমন শীতকালীন অবকাশ আগের দিন দুপুরের পরে বাতিল করা হয়েছিল ডিসেম্বরে। এবার অবশ্য রোজার আগেরদিন না বলে অনেক আগেই জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
রমজানের ছুটি, পূজার ছুটি আমাদের সংস্কৃতিরই একটা অংশ। এর সাথে জড়িয়ে আছে এদেশের মানুষের আবেগ, অনুভূতি, মাসব্যাপী কর্মপন্থা। এ মাসে ধর্মপ্রাণ মানুষ কোরান খতম দেয়, বেশি বেশি নফল ইবাদত করে। শিশুরা তুলনামূলকভাবে আচরণে শান্তভাব আনে, রোজা রাখার চেস্টা করে, আরবী পড়তে মসজিদে যায়, নামাজ পড়তে মসজিদে যায়। অর্থাৎ পরিবার তথা গোটা সমাজের পরিবেশেই এই একমাস অন্য রকম এক পরিবেশ বিরাজ করে।
দু বছরের শিখন ঘাটতি মাত্র বিশ দিনে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। বরং দীর্ঘ এক বছর পর ধর্মীয় আমেজ নিয়ে, শুদ্ধতার বাণী নিয়ে, খারাপ অভ্যাস পরিবর্তনের শপথ নিয়ে রমজান আসে ধর্মপ্রাণ মুসলিমের ঘরে ঘরে। শিশু থেকে বৃদ্ধ প্রত্যেকেই এই মাসে নিজকে পরিবর্তনের চেষ্টা চালায়। এই মাসকে বলা হয় ইবাদতের মাস। গুনা মাফের মাস। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের মাস। এই মাসে পরিবারগুলো তাদের সদস্যদের বিশেষ কার্যকলাপের মাধ্যমে নৈতিকতার শিক্ষায় শিক্ষিত করে। ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে স্রষ্টাকে পাবার চেষ্টা করে।
সুতরাং রমজানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে শত শত বছরের ঐতিহ্যকে অস্বীকার করা অন্যায়। শিশুদের প্রতি নির্যাতন।
মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্তের জীবনে রমজান আর পূজার ছুটি এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। এর সাথে জড়িত আবেগ। এ ছুটি আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। যারা শিখন ঘাটতি পূরণের জন্য রমজানের ছুটি বাতিল করেছে তারা মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্তের আবেগ, অনুভূতির সাথে পরিচিত নয়। আশাকরি, একই দেশে নানা ধরণের নিয়মের বেড়াজাল থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়া হবে। পিটিআই সংলগ্ন স্কুল বন্ধ অথচ প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা। এটা চরম বৈষম্য।
অচিরেই পুরো রমজান ছুটি ঘোষণা করে শিশুদের রমজানের আনন্দ এবং নৈতিক শিক্ষা ফিরিয়ে দেবার ব্যবস্থা নেয়া হবে আশা করি।

 

শাকিলা নাছরিন পাপিয়া
শিক্ষক, কলামিস্ট ও কবি

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top