কলকাতায় খুলে দেয়া হলো ধর্মীয় উপাসনালয় ও শপিংমল


প্রকাশিত:
৯ জুন ২০২০ ২৩:২৮

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:১২

ফাইল ছবি

 

প্রভাত ফেরী: রেস্তরাঁর পাশাপাশি এবার খুলে দেয়া হল শপিংমলও। লকডাউন পর্বে ধাপে ধাপে একক দোকান খোলার অনুমতি দিলেও, সংক্রমণের ভয়ে বন্ধ রাখা হয়েছিল শপিং মল। সোমবার থেকে শহরের সব শপিংমলই খুলে দেয়া হলো। তবে অনেক বিধি নিষেধ বজায় রেখে। থার্মাল স্ক্রিনিং থেকে শুরু করে স্যানিটাইজিং টানেল, বিভিন্ন ভাবে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে ক্রেতাদের। একই ভাবে দফায় দফায় জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে গোটা মলকেই। নির্দিষ্ট চিহ্ন দিয়ে কঠোর ভাবে সামাজিক দূরত্ব বিধি পালনের চেষ্টাও করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে কোভিডকে ঠেকিয়ে রেখে চলছে ছন্দে ফেরার মরিয়া লড়াই।

অপরদিকে, কেন্দ্রের নির্দেশিকা মোতাবেক সোমবার থেকেই খুলে দেয়া হয়েছে কিছু মসজিদ ও মন্দির। তবে অনেকেই এখনও পর্যন্ত খোলেনি। তবে এই জন্যই অনেকে মন্দিরের বাইরে থেকেই ধর্মীয় প্রার্থনা করে চলে যাচ্ছেন। খোলা থাকার খবর পেয়ে আদ্যাপীঠ মন্দিরে যান অনেকে। সেখানে ‘থার্মাল স্ক্রিনিং’ করে একটি ছোট দরজা দিয়ে দশ জন করে ঢোকানো হয়।

ভক্তি-বিশ্বাসের টানেও সতর্কতা-বিধি নিয়ে আপসের চিহ্ন তেমন দেখা যায়নি ধর্মস্থানগুলিতে। নাখোদা মসজিদ বা ধর্মতলা-টালিগঞ্জের টিপু সুলতান মসজিদে মাস্ক ছাড়া নমাজ পড়তে ঢোকায় রয়েছে কড়া নিষেধাজ্ঞা। নাখোদা মসজিদে এ দিন একটিমাত্র গেট খোলা ছিল। মূল গেটটি বন্ধ। নমাজ পড়ার সময়ে কী কী করণীয়, তা গেটের সামনে নোটিসে লেখা। নাখোদার ট্রাস্টি নাসের ইব্রাহিমের কথায়, যাবতীয় সুরক্ষা-বিধি মেনেই মসজিদে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

টালিগঞ্জে টিপু সুলতান মসজিদে হাত ধোওয়ার জন্য আলাদা জায়গায় সাবান মজুত করা হয়। ধর্মতলার টিপু সুলতান মসজিদও সাবানে হাত ধোওয়ার বিষয়টিতে জোর দিচ্ছে বলে জানান মোতায়াল্লি আনোয়ার আলি শাহ। ফুরফুরা শরিফেও সতর্কতার দিকে খেয়াল রাখছেন মুখ্য নির্দেশক ত্বহা সিদ্দিকী। ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান তথা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি আব্দুল গনি বলেন, করোনার প্রকোপ রুখতে এই সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্য সরকারের নির্দেশমাফিক সর্বাধিক দশ জনকে নিয়ে আমরা মসজিদে নমাজ পড়ছি। রাজ্যের পঞ্চাশ হাজার মসজিদে এই বার্তাই গিয়েছে।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top