ইরানের সাথে সরাসরি বৈঠক চায় যুক্তরাষ্ট্র


প্রকাশিত:
১৭ জুন ২০২০ ২২:০৭

আপডেট:
১৩ মার্চ ২০২৫ ০৯:৩৭

 

প্রভাত ফেরী: ইরানের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকে বসতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কারাবন্দিদের মুক্তি নিয়ে এ বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া ইসলামী প্রজাতন্ত্রটির বিরুদ্ধে জাতিসংঘের অনির্দিষ্টকালের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞাও চাচ্ছে ওয়াশিংটন। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে।

বিভিন্ন ইস্যুতে দুই বৈরী দেশের মধ্যে মতভিন্নতা রয়েছে। এসবের মধ্যে ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির পরমাণু চুক্তি থেকে একতরফাভাবে সরে আসার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এর পর তেহরানের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করতে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যাচ্ছেন তিনি। এতে ইরানি অর্থনীতির রাজস্বের মূল উৎস তেল রফতানির সুযোগও সংকীর্ণ হয়ে আসে।

ইরান পরমাণু অস্ত্র বানাতে চাচ্ছে বলে দাবি করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও বৈরী দেশের এ দাবি অস্বীকার করছে ইসলামী প্রজাতন্ত্রটি।

এসব কিছুর মধ্যেও একটি চুক্তিতে একমত হয়েছে দুই দেশ। গত ৪ জুন মার্কিন নৌবাহিনীর সাবেক এক কর্মকর্তাকে মুক্তি দিয়েছে ইরান। ২০১৮ সাল থেকে তিনি দেশটির কারাগারে আটক ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রও এক ইরানি চিকিৎসককে তার নিজ দেশে ফিরে আসার সুযোগ করে দিয়েছে।

কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ইরানবিষয়ক মার্কিন বিশেষ প্রতিনিধি ব্রিয়ান হুক বলেন, আমার প্রত্যাশা, আরও বন্দিবিনিময় হবে এবং আরও বহু ইস্যুতে আলোচনা হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

কিন্তু পরমাণুচুক্তি থেকে ট্রাম্প সরে যাওয়ার ঘোষণা দেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন করে কোনো চুক্তিতে জড়াতে চাচ্ছে না ইরান। বরং তাদের চাওয়া হচ্ছে– ওয়াশিংটন ওই চুক্তিতে আবার ফিরে আসুক।

হুক বলেন, যাতে আরও দ্রুত অগ্রসর হতে পারে সে জন্য বন্দিবিনিময় নিয়ে একটি বৈঠকে বসতে আমাদের ইচ্ছা রয়েছে। আমরা কনস্যুলার সংলাপও চালিয়ে যেতে চাচ্ছি।

‘আমাদের তরফে কূটনৈতিক দরজা প্রশস্তভাবে খোলা। কেবল এ ইস্যুতেই না, দুপক্ষের কূটনৈতিক সম্পর্ককে জটিল করে তোলা সব বিষয় নিয়েই আমরা আলোচনা করতে প্রস্তুত।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top