বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা তিন কোটি ছাড়াল


প্রকাশিত:
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২২:০৪

আপডেট:
২১ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:৩৫

ফাইল ছবি

 

প্রভাত ফেরী: প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনার ভয়াবহতা থামছেই না। সারা বিশ্বে এখনো প্রতিনিয়ত তাণ্ডব চালাচ্ছে অচেনা ভাইরাসটি। এরই মধ্যে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা তিন কোটি ছাড়িয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় সাড়ে নয় লাখ। সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ১৭ লাখের বেশি মানুষ।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৬ হাজার ২২০ জনের মৃত্যু হয়েছে অদৃশ্য ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে। একই সময়ে নতুন করে আরও ৩ লাখ ৭ হাজার ৪৬৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ।

আমেরিকার দুই মহাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায় সংক্রমণ এখনও দ্রুত বাড়ছে। অন্যদিকে ইউরোপকে লন্ডভন্ড করে দিয়ে করোনা কিছুটা স্তিমিত হলেও সেখানে আবারও নতুন করে রোগটির প্রাদুর্ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। তবে আশার কথা হচ্ছে, এখন আক্রান্তের পর সুস্থ হওয়ার হার দ্রুত বাড়ছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারস-এর তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮ লাখ ২৮ হাজার ৩০১। মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ এক হাজার ৩৪৮ জনের।

আক্রান্তের হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫১ লাখ ১৫ হাজার ৮৯৩। এর মধ্যে ৮৩ হাজার ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ লাখ ২১ হাজার ৬৮৬। এর মধ্যে এক লাখ ৩৪ হাজার ১৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

উৎপত্তিস্থল চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫ হাজার ২২৩। এর মধ্যে চার হাজার ৬৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও দেশটির বিরুদ্ধে প্রকৃত পরিস্থিতি গোপন করার অভিযোগ রয়েছে। উহানের একজন স্বেচ্ছাসেবী বলেন, ‘বুদ্ধি-বিবেচনাসম্পন্ন যেকোনও মানুষ এই সংখ্যা (সরকারি পরিসংখ্যান) নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করবেন।’ মহামারির শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে আসছিল, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পেছনে চীনের ভূমিকা রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের সেই দাবিকে আরও জোরালো করে চীনের উহানের ল্যাবের এক ভাইরোলজিস্ট লি মেং ইয়ান-এর বক্তব্য।

লি মেং ইয়ান বলেন, চীনের ল্যাবেই তৈরি করা হয়েছে করোনাভাইরাস। এটি মানুষের তৈরি বলে তার কাছে শতভাগ প্রমাণ রয়েছে। হংকংয়ে জন্ম নেওয়া ভাইরোলজিস্ট লি মেং ইয়ান পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। বছরের শুরুতে তাকে চীন হত্যা করতে চেয়েছিল বলে ভয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান তিনি।

তিনি জানান, চীনের পূর্বাঞ্চলে গত বছরের শেষ দিকে নিউমোনিয়ার মতো এই রোগ প্রথমদিকে গবেষণাকারীদের একজন ছিলেন তিনি। কিন্তু যখন রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে তখন তাকে নীরব ও সতর্ক থাকতে বলা হয়। তার সুপারভাইজার তাকে বলেন, আমরা সমস্যায় পড়বো এবং গুম হয়ে যাবো।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top