ভারতের সাথে বৈরী সম্পর্কের মধ্যেই চীনের ক্ষমতা বৃদ্ধি
প্রকাশিত:
২ মে ২০২১ ১৯:৪৯
আপডেট:
১২ মার্চ ২০২৫ ১৬:৫৪

প্রভাত ফেরী: সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার নিজেদের উপকূলরক্ষী বাহিনীর ক্ষমতা বাড়াতে নতুন আইন প্রণয়ন করেছে চীন। বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের এক বৈঠকে ওই সর্বশেষ আইনটি পাস হয়েছে। সেপ্টেম্বর থেকেই এই আইন কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
ভারতের সঙ্গে চীনের বৈরী সম্পর্কের মধ্যেই উপকূলরক্ষী বাহিনীর ক্ষমতা বাড়াল চীন। সম্প্রতি দেশটির উপকূলরক্ষী বাহিনীর ক্ষমতা বাড়াতে নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
এই নতুন আইনে আন্তর্জাতিক জলসীমায় চীনের দাবি করা জলরাশি থেকে ‘বিদেশি’ জাহাজ বা নৌকাগুলোকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিতে পারবে কমিউনিস্ট দেশটির উপকূলরক্ষী বাহিনী।
পূর্ব চীন সাগরে জাপানের সেনকাকু দ্বীপকে বরাবরই নিজেদের বলে দাবি করে আসছে বেইজিং। এবার নতুন আইন পাশ হওয়ায় সেখানে চীনের উপকূলরক্ষী বাহিনী আগ্রাসী হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ‘অনুপ্রবেশ’ করলে বিদেশি যানগুলোর ওপর হামলা চালানোর অধিকার দিয়ে নিজেদের উপকূলরক্ষী বাহিনীকে আরও আগ্রাসী করে তুলেছে শি জিনপিংয়ের প্রশাসন।
সাগরে চীনা নৌবহরের আগ্রাসী কার্যকলাপের কথা মাথায় রেখে গত মার্চে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের উপকূলরক্ষী বাহিনীর মধ্যে। তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্রের ডি ফ্যাক্টো দূতাবাস ‘আমেরিকান ইন্সটিটিউট’ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে উপকূলরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা, তথ্যের আদানপ্রদান ও কৌশলগত সহযোগিতার বিষয়টি রয়েছে।
গত বছর চীনের ওপর চাপ বাড়িয়ে তাইওয়ানকে মিসাইল দেওয়ার কথা ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। সেসময় ১০০টি হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র বা কোস্টাল ডিফেন্স সিস্টেম বিক্রির সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেয় তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এই অস্ত্র চুক্তি যে চীনের উপর চাপ বাড়িয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এর আগে গত ১০ আগষ্ট চীনের আপত্তি থাকলেও তাইওয়ান সফরে গিয়েছিলেন মার্কিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যালেক্স আজার।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: