চতুর্থ অনাস্থা ভোটেও বিজয়ী হলেন থাই প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা
প্রকাশিত:
২৪ জুলাই ২০২২ ২৩:৩২
আপডেট:
২১ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:৫২

চতুর্থ অনাস্থা ভোটেও বিজয়ী হলেন থাই প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা। শনিবার অনুষ্ঠিত এ ভোট সাবেক সেনাপ্রধান প্রায়ুথ পান ২৫৬ ভোট আর বিপক্ষে পড়ে ২০৬টি।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা ও দেশটির মন্ত্রিসভার আরো ১০ সদস্য পার্লামেন্টের এই আস্থাভোটে জিতে গেছেন। প্রায়ুথকে পদচ্যুত করতে ৪৭৭ আসনের পার্লামেন্টের ২৩৯ সদস্যের ভোট দরকার বলে জানা গেছে। এবারের অনাস্থা ভোটকে আগামী বছরের নির্বাচনের আগে প্রায়ুথের সর্বশেষ বড় পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছিল।
২০১৪ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রথম ক্ষমতায় আসা প্রায়ুথের এ দফার প্রধানমন্ত্রিত্বের মেয়াদ আছে আগামী বছরের মে পর্যন্ত। শনিবার তার সঙ্গে তিন উপপ্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সাত সদস্যের চাকরিও টিকে গেছে। অনাস্থা নিয়ে গত কয়েক দিনের বিতর্কে বিরোধীরা কিছু অসত্য তথ্য উপস্থাপন করেছে এবং সরকার এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন বিষয় স্পষ্ট করেছে।
অনাস্থা ভোট শেষে সরকারের মুখপাত্র থানাকর্ন ওয়াংবুনকোংচানা বলেন, অনাস্থা নিয়ে বিতর্ক শেষ; আমরা এখন জনগণ ও দেশের স্বার্থে বিরোধীদেরকে আমাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। ২০১৯ সালের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে এ নিয়ে চার বার তার বিরুদ্ধে অনাস্থা উঠল। তিন বছর আগের ঐ নির্বাচনে যেসব নিয়মকানুন ছিল, তা প্রায়ুথকে প্রধানমন্ত্রী বানাতেই করা হয়েছিল বলে বিরোধীরা অভিযোগ করে আসছে। প্রায়ুথ অবশ্য শুরু থেকেই এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছেন।
সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি জরিপে প্রায়ুথের জনপ্রিয়তা কমতে দেখা গেলেও পরের নির্বাচনে তারই জেতার সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। নিজেদের ভোট বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই বিরোধীরা এবার থাই প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার অভিযোগে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বলে ধারণা তাদের।
এ প্রসঙ্গে বিরোধীদের নেতা চোনলানান শ্রীকায়েউ বলেন, আমরা জানি যে পার্লামেন্টে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারব না। কিন্তু জনগণের প্রতি আমাদের বিশ্বাস আছে এবং নির্বাচনে তারাই রায় দেবে।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: