সিডনী সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১


কৌশল পরিবর্তনে ইসরায়েলকে চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র


প্রকাশিত:
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:০৩

আপডেট:
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:০৪

গাজায় হামলা

 

ইসরায়েলকে গাজায় আক্রমণের তীব্রতা কমিয়ে উচ্চ-মূল্যের লক্ষ্যস্থলগুলোতে মনোনিবেশ করার পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় বিস্তৃত স্থল অভিযান থেকে সরে হামাসের বিরুদ্ধে ‘সার্জিক্যাল অভিযানের’ দিকে যেতে ইসরায়েলকে চাপ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজার বেসামরিকদের জীবন সুরক্ষিত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সালেভান ইসরায়েল সফরের সময় দেশটির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। 

রয়টার্স জানিয়েছে, তিনি ইসরায়েলকে গাজায় আক্রমণের তীব্রতা কমিয়ে উচ্চ-মূল্যের লক্ষ্যস্থলগুলোতে মনোনিবেশ করার পরামর্শ দিয়েছেন।   

নাম না প্রকাশ করার অনুরোধ জানিয়ে এক ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, বেসামরিকদের সুরক্ষার বিষয়ে বেশ জোর দিয়েছেন সালেভান।

এর জবাবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বিস্তৃত তথ্য দিয়ে বলেছেন, “হামাসের যোদ্ধা থেকে বেসামরিক জনগণকে পৃথক করার চেষ্টায় তারা অসাধারণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।”   

ইসরায়েল বলে আসছে, হামাস বেসামরিকদের ও বেসামরিক ভবনগুলোকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।    

ওই কর্মকর্তা জানান, হামাসের হাতে বন্দি অবশিষ্ট জিম্মিদের গাজার বাইরে নিয়ে আসার প্রচেষ্টা নিয়ে সালেভান ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। গাজার ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি নেতৃত্বের অধীনেই থাকা উচিত, এ বিষয়েও তাদের মধ্যে ব্যাপক সমঝোতা হয়েছে।

গাজায় কতোদিন ধরে যুদ্ধ চালানো হবে তার একটি সময়সীমা নির্ধারণের জন্যও ইসরায়েলের সরকারকে চাপ দিয়েছেন সালেভান।

এর জবাবে নেতানিয়াহু হোয়াইট হাউজের নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে বলেছেন, “নিরঙ্কুশ বিজয় না আসা পর্যন্ত ইসরায়েল যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।”

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওভ গ্যালান্ত মার্কিন উপদেষ্টাকে জানান, যুদ্ধ আরও বেশ কয়েকমাস ধরে চলতে পারে।

“বড় ধরনের স্থল অভিযান অনির্দিষ্টকাল ধরে চলতে থাকবে, কখনোই এমন কোনো প্রত্যাশা ছিল না,” বলেন ওই কর্মকর্তা।

৭ অক্টোবর গাজা সংলগ্ন ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। এই আক্রমণ চলাকালে হামাসের যোদ্ধারা ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যা ও ২৪০ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে রেখেছে বলে ভাষ্য ইসরায়েলের।   

এর প্রতিশোধ নিতে হামাসকে নির্মূল করার লক্ষ্য নিয়ে গাজায় ভয়াবহ হামলা শুরু করে ইসরায়েল। নয় সপ্তাহ ধরে চলা ব্যাপক হামলায় তারা গাজার অধিকাংশ স্থানকে প্রায় আবর্জনায় পরিণত করেছে। ইতোমধ্যে প্রায় ১৯ হাজার গাজাবাসী নিহত হয়েছে। আরও কয়েক হাজার মানুষের লাশ ধ্বংসস্তূপগুলোর নিচে চাপা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top