সিডনী সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১


জ্ঞানবাপী মামলায় মুসলিমদের আবেদন খারিজ


প্রকাশিত:
১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:০৪

আপডেট:
২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:২৮

 

জ্ঞানবাপী মামলায় মুসলমানদের দায়ের করা সমস্ত আবেদন খারিজ করে দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এছাড়াও মসজিদ চত্বরে মন্দিরের পুনর্নির্মাণের আবেদনগুলোর দ্রুত শুনানি শেষ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বারাণসীর আদালতকে।

বারাণসী আদালতে হিন্দু পক্ষের দায়ের করা মামলার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি, উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড-সহ আরো কয়েকটি মুসলিম সংগঠন।

তাদের দাবি, ১৯৯১ সালের ধর্মস্থান আইন মোতাবেক জ্ঞানবাপীর ধর্মীয় চরিত্র ও শৈলী বদলানো যাবে না। প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাওয়ের সরকার দেশকে সাম্প্রদায়িক বিপদ থেকে বাঁচাতে প্রণয়ন করেছিল ধর্মস্থান আইন। জ্ঞানবাপী মসজিদ কর্তৃপক্ষ সুপ্রিম কোর্টের কাছে যে আরজি পেশ করেছে, তার ভিত্তিও ওই কেন্দ্রীয় আইন, যাতে বলা হয়েছে, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট দেশ স্বাধীন হওয়ার সময় অগুনতি ধর্মস্থানের চরিত্র যেখানে যেমন ছিল, তেমনই থাকবে। কোনোরকম অদলবদল ঘটানো যাবে না।


সোমবারই জ্ঞানবাপীর বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা নিয়ে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দিয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। তার পরের দিনই দ্রুত শুনানির নির্দেশ দিলো উচ্চতর আদালত। ১৯৯১ সালে জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে পূজা করার অনুমতি চেয়ে বারাণসী আদালতে মামলা দায়ের হয়। পাল্টা আবেদন করে আদালতের দ্বারস্থ হয় মুসলিম পক্ষও।

তবে দীর্ঘ শুনানির পরও জ্ঞানবাপী মসজিদের বিবাদ নিষ্পত্তি হয়নি। এহেন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার মুসলিম পক্ষের দায়ের করা মামলাগুলো খারিজ করে দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। মসজিদ চত্বরে মন্দিরের পুনর্নির্মাণ চেয়ে যে আবেদনগুলো জমা রয়েছে, আগামী ৬ মাসের মধ্যে তার শুনানি শেষ করতে হবে বলেও বারাণসীর আদালতকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানায়, মসজিদ চত্বরটি হয় হিন্দু নয় মুসলিম- কোনো এক পক্ষের বৈশিষ্ট্যই বহন করবে। এভাবে মামলা চলতে থাকলে সেই সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব নয়। দীর্ঘদিন মামলা চলার ফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে ভারতের বৃহত্তম দুই সম্প্রদায়ের ওপর। তাই দ্রুত শুনানি করে ছয় মাসের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি করে ফেলতে হবে।


উল্লেখ্য, ২০২১-এর আগস্টেও পাঁচ হিন্দু নারী জ্ঞানবাপীর ওজুখানা ও তহখানায় ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে তা পূজার্চনার অনুমতি চেয়েছিলেন বারাণসী আদালতে। সেই মামলায় বারাণসী দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর নিযুক্ত কমিটির নির্দেশে জ্ঞানবাপী মসজিদে ভেতরে শুরু হয়েছিল ভিডিও সার্ভে। তারপর সোমবার আদালতে জমা পড়ে এএসআইয়ের রিপোর্ট।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top