সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৪ই চৈত্র ১৪৩০


ভারতজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত, উত্তর প্রদেশে প্রাণ গেল ১৪ জনের


প্রকাশিত:
২২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৫:৫৮

আপডেট:
২২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৬:৫৫

ছবি: আল জাজিরা থেকে সংগৃহীত

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে টানা কয়েক দিনের মতো শনিবারও বিক্ষোভে উত্তাল ছিল দেশটির বিভিন্ন রাজ্যসহ উত্তর প্রদেশ। এতে শুধু উত্তর প্রদেশেই ১৪ জন নিহত হয়েছে। শনিবার বিক্ষোভের সময় এই নিহতের ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ।

তবে তাদের দাবি, নিহতদের কেউই পুলিশের গুলিতে মারা যায়নি। পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিজনর এলাকায় তিনজন, সামবাল, ফিরোজাবাদ, মিরাট ও কানপুরে দুজন করে নিহত হয়েছে। তবে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, মিরাট এলাকায় তিনজন নিহত হয়েছে। পিটিআই।

ভারত জুড়ে চলা এই বিক্ষোভের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে উত্তর প্রদেশ। বৃহস্পতিবার লখ ও সামবালে বিক্ষোভ-সহিংসতায় তিনজন মারা যাওয়ার পর শুক্রবার পুরো উত্তর প্রদেশই থমথমে হয়ে পড়ে। আগের দিনের সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে সেখানে প্রায় ৩৫০ জনকে আটক করে পুলিশ। শনিবার সকাল থেকেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। দিনভর বিক্ষোভ শেষে রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে চৌদ্দজনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়।

তবে রাজ্য পুলিশের মহাপরিচালক ওপি সিং দাবি করেন, নিহতদের কেউই পুলিশের গুলিতে মারা যায়নি। তিনি জানান, আমরা একটা গুলিও ছুড়িনি। যদি কোনো গুলি চলে থাকে তা হলে তা বিক্ষোভকারীদের দিক থেকেই হয়েছে। এর আগে আসামে বিতর্কিত এই আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ছয়জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে চারজন পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে।

শুক্রবার সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে উত্তর প্রদেশের একাধিক জায়গায়। ফিরোজাবাদে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। এদিন সকালে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বুলন্দশহর, গোরক্ষপুরসহ একাধিক জায়গায় পথে নামে বিক্ষোভকারীরা। সে সঙ্গে ব্যাপক ভাঙচুরও চলে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একাধিক গাড়িতে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে বিক্ষোভকারীদের। পুলিশকে লক্ষ করে এলোপাতাড়ি পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে বিক্ষোভ দমন করার চেষ্টা করে পুলিশ। বুলন্দশহরের জেলা প্রশাসক রবীন্দ্র কুমার জানান, ‘মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত তা চালু হবে না।’

পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে এদিন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোরক্ষপুরও। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে এক ভিডিওতে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ করে এলোপাতাড়ি ইট নিক্ষেপ করছে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের লক্ষ করে পাল্টা ইট নিক্ষেপ করে পুলিশও। কাঁদানে গ্যাসের শেলও নিক্ষেপ করে পুলিশ। ১৪৪ ধারা চালু থাকায় শুক্রবার সকালের দিকে তেমন ঝামেলা না হলেও, বেলা বাড়তেই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। রাজ্যের বাহরাইচে পরিস্থিতি আরও চরমে ওঠে। সেখানে বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ।

এদিকে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে বিক্ষোভকারীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে তা নিলামে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top