সিডনী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১


ইন্টারনেট বন্ধ ও ১৪৪ ধারা জারী নিয়ে প্রশ্ন: কাশ্মির নিয়ে সোচ্চার ভারতের সুপ্রিম কোর্ট


প্রকাশিত:
১১ জানুয়ারী ২০২০ ০৫:২৬

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:১৫

বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর কাশ্মিরে বিক্ষোভ           ছবি: রয়টার্স

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে বারবার ১৪৪ ধারা জারিকে ক্ষমতার অপব্যবহার বলে মন্তব্য করেছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার ঐতিহাসিক এক রায়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে উদ্দেশ্য করে সুপ্রিম কোর্ট বলে, কাশ্মিরে বারবার কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা নিষেধাজ্ঞা সেখানকার বাসিন্দাদের বৈধ বাকস্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকারের পরিপন্থী। ১৪৪ ধারা জারির পর সরকারের সব নির্দেশনার কাগজপত্রও আদালতে হাজির করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ রাখা দেশটির টেলিকম আইন পরিপন্থী বলে জানিয়েছে দেশটির এ সর্বোচ্চ আদালত। শুক্রবার দেশটির সর্বোচ্চ এই আদালতের এক বেঞ্চ জানায়, কানও নির্দিষ্ট সময়সীমা ছাড়া ইন্টারনেট বন্ধ রাখা টেলিকম আইন লঙ্ঘন।

১৪৪ ধারা জারী পর রাস্তাঘাটে জনমানব শূন্য কাশ্মির

গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের ঘোষণার মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। জম্মু-কাশ্মিরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে পার্লামেন্টে পাস হয় একটি বিলও। আর গত ৯ আগস্ট রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে আইনে পরিণত হয় তা। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরজুড়ে মোতায়েন করা হয় বিপুলসংখ্যক অতিরিক্ত সেনা।

সুপ্রিম কোর্ট জানায়, মত প্রকাশের স্বাধীনতা কিংবা গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিতে ১৪৪ ধারা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। সংবিধান বিভিন্ন ধারার মতকে সুরক্ষা দেয়। জন নিরাপত্তার ওপর সহিংসতার কার্যকরী হুমকি না থাকলে ১৪৪ ধারা জারি করা যাবে না।

বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর কাশ্মিরে বিক্ষোভ

এক্ষেত্রে বারবার ১৪৪ ধারা জারি করা ক্ষমতার অপব্যবহার বলে বিবেচিত হবে বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট।  বিচারপতি এনভি রমনা, আর সুভাষ রেডি এবং বিআর গাভাইয়ের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সরকারের ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞারও সমালোচনা করেন। তারা বলেন ইন্টারনেট জনগনের মত প্রকাশের স্বাধীনতার অংশ। 

সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ইন্টারনেটের অধিকার বাকস্বাধীনতার অংশ। ইন্টারনেট বন্ধ রাখার বিষয়টি খীতয়ে দেখা দরকার। এক সপ্তাহের মধ্যে সব নিষেধাজ্ঞার কাগজপত্র খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

পুলিশের সাথে সংঘর্ষ কাশ্মিরি জনতার

আদালত জানায়, চলাচল, ইন্টারনেট মৌলিক স্বাধীনতা বাতিল করে ক্ষমতার অপব্যবহার করা যাবে না। বিচারপতি এনভি রমনা বলেন, সংবিধানের ১৯ ধারা অনুযায়ী বাকস্বাধীনতার অংশ ইন্টারেনেটর অধিকার।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top