ভারতে করোনার প্রভাব: ৩০ রাজ্য লকডাউন, আক্রান্ত ৫০০ ছাড়াল
প্রকাশিত:
২৪ মার্চ ২০২০ ২১:১৯
আপডেট:
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০০:২৯

প্রভাত ফেরী: ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। দেশটিতে এই রোগে মারা গেছেন আরও ১০ জন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরও ৩৬ জন। এ অবস্থায় মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৮টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মারাত্মক ছোঁয়াচে করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ভারতের মোট ৩৬টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মধ্যে ৩০টি পুরোপুরি লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের দেয়া লেটেস্ট তথ্য বলছে, দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১২ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১১তে। আর দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১০ জন। এদিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, চন্ডিগড়, কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, গুজরাট, কর্নাটক, আসাম, উত্তরখন্ডসহ ভারতের ৩০টি রাজ্যে লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত রবিবার (২২ মার্চ) ভারতজুড়ে ১৪ ঘণ্টার জনতা কারফিউ পালিত হয়। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, এমন যে কাউকে বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়। সতর্কতার অংশ হিসেবে ওই কর্মসূচি পালিত হলেও পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ৩০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লকডাউন করে দেওয়া হয়।
৩০টি রাজ্যের ৫৪৮টি জেলা সম্পূর্ণ লকডাউনের আওতায় এসেছে। এছাড়া আংশিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ ও ওড়িষ্যায়। এর মধ্যে করোনাভাইরাস আক্রান্তের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া ৮০টি জেলা রয়েছে। ভারত সরকার জানিয়েছে, কেবলমাত্র মিজোরাম ও সিকিম এখন পর্যন্ত এই ইস্যুতে সাড়া দেয়নি।
ভারতে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া ৪৯৯ জনের মধ্যে ৪১ জন বিদেশি নাগরিক। দেশটির গুজরাট, বিহার, কর্নাটক, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ ও হিমাচল প্রদেশ থেকে মোট দশ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গুরুত্বপূর্ণ সব রাজ্য থেকে সংক্রমণের খবর আসার পর অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বন্ধের সীমা বাড়িয়েছে ভারত। হাজার হাজার প্রবাসী ফিরতে থাকা পাঞ্জাবে জারি করা হয়েছে কারফিউ। একই ব্যবস্থা নিয়েছে সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া রাজ্য মহারাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ।
বিষয়: করোনা ভাইরাস ভারত
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: