সিডনী সোমবার, ৬ই মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১

রূপসী বাংলা, শ্যামল বাংলার মাটির গন্ধ: আবু আফজাল সালেহ


প্রকাশিত:
১৯ জুলাই ২০২০ ২২:১৫

আপডেট:
২২ জুলাই ২০২০ ২২:৩৯

 

‘... সন্ধ্যা হলে  মউমাছি চাক আজো বাঁধে নাকি জামের নিবিড় ঘন ডালে,/মউ খাওয়া হয়ে গেলে আজো তারা উড়ে যায় কুয়াশায় সন্ধ্যার বাতাসে /কতো দূরে যায়, আহা অথবা হয়তো কেউ চালতার ঝরাপাতা জ্বালে/মধুর চাকের নিচে-  মাছিগুলো উড়ে যায় ঝ’রে পড়ে ম’রে থাকে ঘাসে’- (একদিন কুয়াশার এই মাঠে)।

বাংলা কবিতায় আধুনিকতার সূত্রপাত হয়েছিল তিরিশের দশকে। এই আধুনিকতার সেতু যারা নির্মাণ করেছেন তাদেরই একজন কবি জীবনানন্দ দাশ(১৮৯৯-১৯৫৪)। ইউরোপীয় কবিতার নির্যাস আর শ্যামল বাংলার মাটির গন্ধ মিশিয়ে তিনি কবিতা-সংসারে নিয়ে এনেছেন নতুন এক কারিশমা। রূপসী বাংলা কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলো গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। গ্রামবাংলায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সাধারণ উপাদান নিয়েই কবি রচনা করেছেন কবিতাগুলো।  

রূপসী বাংলা কাব্যগ্রন্থের সব কবিতা সনেট প্রকৃতির। এ বইয়ের প্রতি কবিতা কবির দেশপ্রেমের পরিচয় মেলে।  বলা যায়, প্রকৃতিপ্রেমে আভাসিত এসব কবিতার বিষয় ও উপকরণগুলো পাঠকমনে দোলা দেয়। সে দোলায় এক অপূর্ব আবহ সৃষ্টি হয়। পাঠকমনে একপ্রকার চাপ তৈরি করে। গ্রামে ফিরে যাওয়ার প্রবল বাসনা তৈরি করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। অনেক কবিতায় কবির হতাশা বা অপ্রাপ্তি লুকিয়ে রয়েছে। এমনই বৈশিষ্ট্য এখনকার পাঠকের মনেও রয়েছে। ফলে রূপসী বাংলা-র কবিতাগুলো যতই পাঠ করা হচ্ছে ততই মায়াবী হয়ে উঠছে। পাঠকমনের সঙ্গে মিলে গিয়ে নিজের সুপ্ত ইচ্ছাগুলোর বহিঃপ্রকাশই মনে করছেন বেশিরভাগ পাঠক। কবিতাগুলোর বেশিরভাগ উপাদানই গ্রামবাংলার বিভিন্ন জিনিসের। নগরায়ণে মানুষ এখন তুষ্ট। নগরায়ণ থেকে অরণ্যে বা গ্রামে ফিরতে চাচ্ছে। প্রবলভাবে চাওয়া এসব উপদান কবিতায় পেয়ে যাচ্ছেন। এ গ্রন্থের কবিতাগুলো পড়ে 'চাপ খেয়ে চ্যাপ্টা হওয়া' মনোজগতের চাপকে প্রশমিত করছে। এ চাপ আমাদেরকে হতাশায় ডুবিয়ে দিচ্ছে। এ চাপ থেকে ক্ষণিকের জন্য হলেও মুক্তি দিচ্ছে এ গ্রন্থের কবিতাগুলো।

কবি জীবনানন্দ দাশের সব ইন্দ্রিয় সজাগ বা সপ্রতিভ। রূপসী বাংলা কাব্যের কবিতাগুলোতে সব ইন্দ্রিয় শক্তিশালী। পঞ্চইন্দ্রিয় সমভাবেই ফুটে উঠেছে। এটাই জীবনানন্দীয় কবিতার স্টাইল বা মহত্ব। এ কাব্যের কবিতাগুলো পড়ে মনের অজান্তেই গ্রামবাংলার প্রকৃতিরূপ  আস্বাদন করা সম্ভব হয়। যেমন বিভিন্ন গাছপালা-লতাগুল্মের নাম চলে এসেছে; তেমনই ফলমূলের নামও চলে এসেছে বিভিন্ন কবিতার ছত্রে ছত্রে। এসব নামগুলো পাঠককে অন্যরকম অনুভূতি দেয়। বিভিন্ন পাখপাখালির কথাও এসেছে বিভিন্ন কবিতায়। এসব উপাদান নিতান্তই গ্রামবাংলার। লক্ষীপেঁচা থেকে গুবরে পোকা, মাছরাঙা-শঙ্খচিল  থেকে বউকথাকউ পাখি কিংবা বেজি-ইঁদুর থেকে মৌমাছি-জোনাকি সবই আছে কবিতার পরতে পরতে। গ্রামবাংলার এসব উপাদানই নিয়ে জীববানন্দ তার কবিতায় বুনন দিয়েছেন। কবিতার উপদানই এসব বিষয়গুলো উপজীব্য হয়ে উঠেছে।

‘কোথাও দেখিনি, আহা, এমন বিজন ঘাস প্রান্তরের পারে/নরম বিমর্ষ চোখে চেয়ে আছে- নীল বুকে আছে তাহাদের/গঙ্গা ফড়িঙের নীড়, কাঁচপোকা, প্রজাপতি, শ্যামাপোকা ঢের,/হিজলের ক্লান্ত পাতা,- বটের অজস্র ফল ঝরে বারে-বারে...।’ (কোথাও দেখিনি আহা )

 

আমরা এখন সবুজ পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি। এর ফলশ্রুতিতে 'পরিবেশ বাঁচাও' আন্দোলন করছি, প্রাকৃতিক ভারসাম্য বা জীববৈচিত্র্য নিয়ে শোরগোল করছি অথবা বিভিন্ন সংকটে বাস্তুসংস্থান নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ছি। রূপসী বাংলা কাব্যের কবিতার বিভিন্ন অংশে এসব উঠে এসেছে। বলা যায়, এখনকার পরিবেশসংক্রান্ত বিভিন্ন আন্দোলনের ভিশন/মিশনের খসড়া হচ্ছে জীবনানন্দের এ কাব্যের কবিতাগুলো। ‘... কখন মরণ আসে কে বা জানে কালীদহে কখন যে ঝড়/কমলের নাম ভাঙে  ছিঁড়ে ফেলে গাংচিল শালিকের প্রাণ/জানি নাকো;- তবু যেন মরি আমি এই মাঠ ঘাটের ভিতর,/কৃষ্ণা যমুনায় নয়  যেন এই গাঙুড়ের ডেউয়ের আঘ্রাণ/লেগে থাকে চোখে মুখে রূপসী বাংলা যেন বুকের উপর/জেগে থাকে; তারি নিচে শুয়ে থাকি যেন আমি অর্ধনারীশ্বর।(তোমার বুকের থেকে একদিন চলে যাবে)

চিত্রকল্পবাদ, প্রতীকিবাদ, পরাবাস্তববাদ, নন্দনতত্ত্ববাদ ইত্যাদির সম্মিলন হচ্ছে জীবনানন্দ দাশ। আরও বিস্তারিত বললে রূপসী বাংলা কাব্যগ্রন্থ। পাবলো নেরুদাকে নন্দনতত্ত্বের কবি বলা যায়। নেরুদার কবিতার চেয়েও জীবনানন্দ দাশের রূপসী বাংলা-র অনেকাংশে নান্দনিকতা অনেক বেশি হয়ে ধরা দিয়েছে। যদিও লংফেলো, এডওয়ার্ডের কবিতার মতো সহজে প্রয়োগ হয়নি। কিন্তু প্রকৃতির উপদানে যে এত রোমান্টিজম রয়েছে তা এসব কবিতায় আমরা পেয়েছি। আমরা রোমান্টিজমে শুধু নারী ও  হৃদয়কেই বিবেচনা বা কল্পনা করছি। কীটস প্রকৃতির উপাদানে রোমান্টিজম এনেছেন। বাংলাসাহিত্যে জীবন বাবু একই কৌশল প্রয়োগ করেছেন। পাঠকসমাজকে নতুন এক আবহ সৃষ্টির সুযোগ করে দিয়েছেন। নতুন নতুন চিন্তার দ্বার খুলে দেওয়ার খোরাক জুগিয়েছেন। এখানেও রূপসী বাংলা কাব্যের প্রাধান্য রয়েছে। এ বিষয়গুলো সার্থকতাও পেয়েছে। কবিতায় উঠে এসেছে নদীর কথাও। নদী নিয়েও আমরা চিন্তিত। নগরায়ণ নিয়েও অস্থির হয়ে পড়েছি। আবার গ্রামের দিকে ফিরে যেতে চাচ্ছি। 'গ্রাম হবে শহর' পলিসি হাতে নিচ্ছি। এসব কিন্তু জীবনানন্দ

আগেই লিখে গেছেন কবিতায়। তাঁর কবিতায় ধানসিঁড়ি- জলসিঁড়ি নদীর পাশাপাশি পদ্মা-মেঘনার মতো নদীর বন্দনা করা হয়েছে।

কবি জীবনানন্দ দাশ উপমা ব্যবহারে দারুণ মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন। বিভিন্ন ঋতুর বর্ণনায় বর্ণিল হয়েছে কবিতাগুলো। ভাষা দিয়ে, উপমা সাজিয়ে বা ছন্দ মিশিয়ে জীবন্ত হয়েছে কবিতাগুলো। 'উপমাই কবিত্ব' কবির এ উপলব্ধি এসব কবিতায় প্রতিফলিত হয়েছে। খইয়ের ধানের মতো আমি দেখিয়াছি ঝরে ঝ্র ঝ্র,অস্ফুট করুণ শব্দ ডুবিতেছে অন্ধকারে নদীর ভিতর,গুবরে পোকার তুচ্ছ বুক থেকে ক্ষীণ, কাকের তরুণ ডিম পিছলায়ে প’ড়ে যায় শ্যাওড়ার ঝাড়ে(পৃথিবীর পথে আমি), দুপুরের নিঃসঙ্গ বাতাসে, ঝিলমিল ডানা নিয়ে উড়ে যায় আকাশের থেকে দূর আকাশের পিছু, প্রসন্ন  প্রাণের স্রোত(বাতাসে ধানের শব্দ), ঝিঁঝিঁর সবুজ মাংস, আকন্দবনের ভিড়, মাকাল লতার তল, শিশিরের নীল জল,ন্যাড়া অশ্বত্থ (ভেবে ভেবে ব্যথা পাবো), টস্টসে ভিজে জামরুল, নরম জামের মতো চুল, ঘুঘুর বুকের মতো অস্ফুট আঙুল, (এই সব ভালো লাগে), কামরাঙা-লাল মেঘ যেন মৃত মনিয়ার মতো,বাংলার নীল সন্ধ্যা- কেশবতী কন্যা যেন এসেছে (আকাশে সাতটি তারা), আকাশে ‘নরম ধানের গন্ধ’- কল্মীর ঘ্রাণ,হাঁসের পালক, শর, পুকুরের জল, চাঁদা সরপুটিদের, মৃদু ঘ্রাণ, কিশোরীর চাল ধোয়া ভিজে হাত(আকাশে সাতটি তারা), অপরাজিতার মতো নীল হ’য়ে, কল্কা পেড়ে শাড়ি,গাঢ় বিষন্নতা (যতদিন বেঁচে আছি), কল্কা পেড়ে শাড়ি(যতদিন বেঁচে আছি), নীল ধোঁয়া নরম মলিন, জোনাকি ঝিঁঝিঁর পথে(একদিন এই দেহ) ইত্যাদি তা প্রমাণ করে।

চারপাশের বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করেছেন। পাঠ করার পরই বুঝা যায় এগুলো খুব সাধারণ শব্দ বা জিনিস। কিন্তু এমন সুন্দরভাবে আগে কেউ উপস্থাপন করতে পারেননি। এবং এসবের আধিক্যও বেশি। সহজ উপকরণ ব্যবহার করে কবিতার ভাষা সাবলীল করেছেন। কোনও কোনও ক্ষেত্রে নান্দনিকতা এসেছে। রোমান্টিজমও ধরা দিয়েছে সাধারণ পরিবেশের উপাদানগুলো। এ ক্ষেত্রে জীবন বাবুর শব্দাবলি ব্যবহারের চরম দক্ষতার পরিচয় বহন করে। ‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ/খুঁজিতে যাই না আর : /...  ভোরের দোয়েলপাখি — চারিদিকে চেয়ে দেখি পল্লবের স্তূপ/জাম-বট-কাঠালের-হিজলের-অশখের করে আছে চুপ;/ফণীমনসার ঝোপে শটিবনে তাহাদের ছায়া পড়িয়াছে...’(বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি)

‘জীবন অথবা মৃত্যু চোখে র’বে- আর এই বাংলার ঘাস/র’বে বুকে; এই ঘাসঃ সীতারাম রাজারাম রামনাথ রায়-/ইহাদের ঘোড়া আজো অন্ধকারে এই ঘাস ভেঙ্গে চ’লে যায়-/এই ঘাসঃ এরি নিচে কঙ্কাবতী শঙ্খশালা করিতেছে বাসঃ/তাদের দেহের গন্ধ, চাঁপাফুল স্লান মাখা চুলের বিন্যাস/ঘাস আজো ঢেকে আছে; যখন হেমন্ত আসে গৌড় বাংলায়/কার্তিকের অপরাহ্নে হিজলের পাতা শাদা উঠানের গায়/... সোঁদা ধুলো শুয়ে আছে- কাঁচের মতন পাখা এ ঘাসের গায়ে/ভেরেন্ডাফুলের নীল ভোমরারা বুলাতেছে শাদা স্তন ঝরে /করবীরঃ কোন্ এক কিশোরী এসে ছিঁড়ে নিয়ে চ’লে গেছে ফুল,/তাই দুধ ঝরিতেছে করবীর ঘাসে ঘাসেঃ নরম ব্যাকুল। (জীবন অথবা মৃত্যু)। 'হেমন্ত' কবির প্রিয় ঋতু। তাই তাঁর অনেক কবিতায় হেমন্ত উঠে এসেছে। কবিতার বেশিরভাগ উপাদানই গ্রামবাংলার বিভিন্ন অংশের প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। কবি ছিলেন কালসচেতন। ইতিহাস সচেতনও ছিলেন। বিভিন্ন কবিতায় এসবের প্রমাণ পাওয়া যায়। কাল ও সময়কে ধারণ করেছেন। হেমন্তকে ভালোবেসেছেন বেশি। অন্য ঋতুর বৈশিষ্ট্যও তুলে ধরেছে সংশ্লিষ্ট সময়ের বিভিন্ন প্রতিনিধিত্বমূলক শব্দাবলি ব্যবহার করে। ‘...আমি  চ’লে যাব বলে/চালতাফুল কি আর ভিজিবে না শিশিরের জলে/নরম গন্ধের ঢেউয়ে?/লক্ষীপেঁচা গান গাবে নাকি তার লক্ষীটির তরে?/... চারিদিকে শান্ত বাতি-ভিজে গন্ধ-মৃদু কলরব;খেয়ে নৌকাগুলো এসে লেগেছে চরের খুব কাছে;পৃথিবীর এই সব গল্প বেঁচে র’বে চিরকাল;-এশিরিয়া ধুলো আজ- বেবিলন ছাই হয়ে আছে।’(সেই দিন এই মাঠ)

আধুনিক কবিতায় মানবতা বড় বিষয়। নান্দনিকতাও একটা বিষয়। জীবনানন্দ দাশের অনেক কবিতায় মানবিক বিভিন্ন 'বোধ' উঠে এসেছে। কবিতাগুলো কবির প্রিয় অক্ষরবৃত্ত ছন্দে লেখা হয়েছে। কবির জীবদ্দশায় প্রকাশিত না হলেও এ গ্রন্থটি সর্বাধিক পঠিত কাব্যগ্রন্থের একটি। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে কবিতাগুলো।  ‘তোমরা যেখানে সাধ চলে যাও- আমি এই বাংলার পারে/র’য়ে যাব; দেখিব কাঁঠালপাতা ঝরিতেছে ভোরের বাতাসে;/... বনের হিজল গাছ ডাক দিয়ে নিয়ে হৃদয়ের পাশে;/দেখিব মেয়েলি হাত সকরুণ-  শাদা শাঁখা ধূসর বাতাসে/শঙ্খের মতো কাঁদে: সন্ধ্যায় দাঁড়ালে সে পুকুরের ধারে,/... খইরঙা হাঁসটিরে নিয়ে যাবে যেন কোন্ কাহিনীর দেশে /‘পরণ-কথা’র গন্ধ লেগে আছে যেন তার নরম শরীরে,তীরে। (তোমরা যেখানে সাধ চলে যাও)

কবি মারা যাওয়ার তিনবছর পর ১৯৫৭ সালে রূপসী বাংলা কাব্যসংকলনটি কলকাতার সিগনেট প্রেস থেকে প্রথম প্রকাশ করা হয়। জীবনানন্দ তার জীবদ্দশায় এ গ্রন্থটি বা এর অন্তর্ভুক্ত কোন কবিতা প্রকাশ করেন নি। ৬১টি কবিতা নিয়ে রূপসী বাংলা প্রকাশিত হয়। সুখানুভূতি ও কষ্ট-হতাশা প্রকাশের মাধ্যমে কবিতার রস প্রাণবন্ত করেছেন। বিভিন্ন কবিতায় মিশ্রানুভূতি রয়েছে। কবিতার সৌন্দর্যগুণ (beauty of poetries) মেলে ধরেছেন। কবি কীটস-র 'সত্যই সুন্দর, সুন্দরই সত্য (truth is beauty, beauty is thruth)' ধরা দিয়েছে বিভিন্ন কবিতায়। শিল্পানুভূতি মন থেকেই উৎসারিত। রূপসী বাংলা-র কবিতাগুলো মনকে নাড়া দেয়, অন্যরকম এক অনুভূতিমালা তৈরি করে। এ সজাগ্রত অনুভূতিমালা মনের সৌন্দর্যের খোরাক দেয়।‘... বিনুনি বেঁধেছ তাই-কাঁচাপোকাটিপ তুমি কপালের 'পরে/পড়িয়াছ-তারপর ঘুমায়েছঃ কল্কাপাড় আঁচলটি ঝরে/পানের বাটার 'পরে; নোনার মতো নম্র শরীরটি পাতি/নির্জন পালঙ্কে তুমি ঘুমায়েছ,- বউকথাকওটির ছানা/নীল জামরুল নীড়ে- জ্যোৎস্নায়- ঘুমায়ে রয়েছে যেন, হায়...’(অশ্বত্থ বটের পথে )

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top