সিডনী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১

প্যারীচাঁদ মিত্রের আলালী ভাষা : আবু আফজাল সালেহ


প্রকাশিত:
২২ জুলাই ২০২০ ২২:১৯

আপডেট:
২২ জুলাই ২০২০ ২২:৩৪

ছবিঃ প্যারীচাঁদ মিত্র

 

বাঙলাসাহিত্যের আধুনিক আদর্শের সার্থক উপন্যাস হিসেবে বঙ্কিমচন্দ্রের দুর্গেশনন্দিনী-কে(১৮৬৫ খ্রি:) বিবেচনা করি। অবশ্য প্যারীচাঁদ মিত্রের আলালের ঘরের দুলাল(১৮৫৭ খ্রি.)এবং কালী প্রসন্ন সিংহের হুতোম-প্যাঁচার নকশা(১৮৬২ খ্রি:) কেন্দ্র করেই বাংলা উপন্যাসের বীজ অঙ্কুরিত হয়েছিল। আলালের ঘরের দুলাল উপন্যাসে বিশেষত অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে কলকাতা ও তার নগর কেন্দ্রিক সামাজিক চিত্র আশ্চর্য নিপুণতার সাথে অঙ্কিত হয়েছে। কাহিনী ও চরিত্রের যথাযথ পরিস্ফুটনের উদ্দেশ্যে লেখক এতে প্রচুর তদ্ভব, চলিত এবং বিদেশি শব্দও ব্যবহার করেছেন।

বাঙলাভাষায় প্রথম উপন্যাস আলালের ঘরের দুলাল(১৮৫৭ খ্রি.)। প্যারীচাঁদ মিত্র(জন্ম ২২ জুলাই, ১৮১৪ খ্রি. ও মৃত্যু ২৩ নভেম্বর, ১৮৮৩ খ্রি.) উপন্যাসটির স্রষ্টা। শুধু প্রথম উপন্যাস বলেই নয়, এখানে কথ্যরীতির প্রথম প্রয়োগ করা হয়েছে। উপনিবেশিত সমাজ-কাঠামোয় বেড়ে-ওঠা প্যারীচাঁদ নিজস্ব রূপকল্প(ভড়ৎস) সৃষ্টি করেছেন। বহুদিনের উপনিবেশিক প্যাটার্ন ভেঙেছেন তিনি। সংস্কৃতিয়ান প্রক্রিয়ার মধ্য থেকে নতুন ভাষারীতির প্রয়োগ সাহসিকতার পরিচায়ক। অন্তত সেসময়ে এটা কঠিন ছিল কাজটি। মনে রাখতে হবে, রাজা রামমোহন রায় ও মাইকেল মধুসূদন দত্তের সময়ে সাহসীর এমন বিদ্রোহীকাজ আলোচনার দাবি রাখবেই। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, অক্ষয়কুমার দত্তসহ অনেকেই সংস্কৃতি ভাষাকে সহজতর করতে পেরেছিলেন। কিন্তু কথ্যভাষাকে সাহিত্যিকরূপ দেননি বা দিতে পারেননি। কিন্তু প্যারীচাঁদ মিত্র সংস্কৃতিয়ানপ্রক্রিয়াকে শুধু ধাক্কাই দেননি, থামিয়েছেনও। নিজস্ব প্রক্রিয়া ব্যবহার করে সার্থকও হয়েছেন। জনপ্রিয় হওয়ার কারণেই এটাকে 'আলালী ভাষা' নামে মর্যাদা পেয়েছে। সাহিত্যিক হিসাবে এটি প্যারীচাঁদ মিত্র ওরফে টেকচাঁদ ঠাকুরের(লেখকের ছদ্মনাম) ঐতিহাসিক সার্থকতা।

আলালের ঘরের দুলাল উপন্যাসের কিছু অংশ তুলে ধরা যাক- ‘ফালগুন ও চৈত্র মাসের দশ বারো দিনের মধ্যে জমিতে চাস দিতে হইবেক। লাঙ্গল চারিবারের কম হইবেক না, অধিক দিতে পারিলে ভাল। তাহার পরে খইল, গোবর ও দেওয়াল ভাঙা মাটি জমিতে মিশাইয়া আবার লাঙ্গল দিবে। তাহার পরে মই দিয়া জমি তৈয়ার করিতে হইবে। এইরূপ করিলে মাটি ধূলার ন্যায় হইবে তাহার পরে জমিতে দাঁড়া টানিতে হইবে তাহা হইলে দাঁড়ার মধ্যে২ এক২ জোল হইবে, সেই জোলের মুটম হাত অন্তরে ইক্ষুর বীজ পুঁতিতে হইবে। বীজ পুঁতিবার সময় খইলকে ঢেঁকিতে কুটিয়া মিহিন করিয়া এক২ খাদে এক২ পোয়া দিবে। বীজ পোতা হইলে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত রোজ২ এক২ সের জল এক২ গাছের গোড়ায় দিতে হইবে।... (দ্র. একই শব্দ দুবার ‘দিরুক্তি উচ্চারণ’ করতে পূর্বে ২ ব্যবহার করা হত)

আরও কিছু অংশ-
‘গার্হস্থাশ্রম ও যোগ আশ্রম পৃথক। যাহারা চরম আশ্রম অবলম্বন করিয়া ব্রহ্মলাভ করিতে চাহে, তাহারা অবশ্যই সর্ব্ব সঙ্গ ত্যাগ করিয়া ঈশ্বরের সঙ্গ করিবে ও ঐ লাভার্থে গৃহ ও সামাজিক বন্ধন হইতে ক্রমশঃ অবশ্য মুক্ত হইবে। স্ত্রীলোক নানা শ্রেণীয় কেহ কেহ কেবল গৃহ ও সমাজ লইয়া রহিয়াছেন ও পরিমিতরূপে ঈশ্বর-উপাসনা ও ধর্ম্ম কর্ম্ম করিতেছেন।... পূর্ব্ব ব্রহ্মবাদিনীরা ছিলেন, তাঁহাদিগের আনন্দ কেবল ধ্যানানন্দ ও ব্রহ্মানন্দ। তাঁহারা পাণিগ্রহণ করিতেন না। জীবনের লক্ষ্য অনুসারে কার্য্য। যে যে আশ্রম অবলম্বন করণে শুদ্ধ আনন্দ পাইবে, সে সেই আশ্রম অবলম্বন করিবে। ঈশ্বর অনন্ত, অসীম, ঈশ্বরেরসহিত মিলিত হইতে গেলে অন্তর যোগ চাই...।’ এখানে সমাজের কঠিন দিকটাই তুলে ধরা হয়েছে।

অনেক সমালোচক আলালের ঘরের দুলাল উপন্যাসে শিল্পরূপের কিছুটা ঘাটতি লক্ষ্য করেছেন। তবে বাঙালি আবহ সৃষ্টি করেছেন লেখক। চরিত্রনির্মাণে নতুনত্ব এনেছেন। নিজস্ব ও দেশিয় চরিত্র নির্মাণ করেছেন। নায়ক মতিলাল, অন্যতম চরিত্র ঠকচাচা, বেণীবাবু, ঠকচাচী, বরদা ইত্যাদি চরিত্র নির্মাণে ভিন্নতা আছে। দেশজ আবহ আছে। সমাজের নিঁখুত ছবি চিত্রায়িত হয়েছে উপন্যাসে। বাঙালিপাঠক হাসিমুখে গ্রহণ করেছেন এমন রীতি। পরবর্তীতে বঙ্কিম থেকে শুরু করে প্রায় সব সমালোচকগণ উপন্যাসটির ভাষাবিদ্রোহ গুণকে প্রশংসা করেছেন। সাহিত্যের বিষয় ও উপাদানগুলো যে ‘সমকালীন জনজীবন’ থেকে গ্রহণ করা যায় তা দেখিয়েছেন প্যারীচাঁদ মিত্র। বলা যায় শিখিয়েছেন আমাদের। সাহিত্যের বিষয় ছিল ‘সংস্কৃতের এবং কদাচিৎ ইংরেজির ছায়ামাত্র’। এই দুই সঙ্কট থেকেই বাংলা সাহিত্যকে উদ্ধার করলেন প্যারীচাঁদ। আলালের ঘরের দুলাল লিখলেন সেই ভাষায়, ‘যে ভাষা সকল বাঙালির বোধগম্য এবং সকল বাঙালি কর্ত্তৃক ব্যবহৃত’। এ রীতি পরবর্তীতে বাঙলাভাষায় প্রয়োগ শুরু হয়েছে অন্যভাবে। উপন্যাসে অবশ্য অন্যভাষার শব্দও প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করেছেন লেখক। তারপরেও নিজস্ব শব্দ-ভাষা প্রয়োগ স্বমহিমায় ফুটে উঠেছে। এবং প্রবল জনপ্রিয়তা পেয়েছে বাঙালি পাঠকসমাজে। উপন্যাসে কথ্যরীতিতে প্রয়োগ এ ভাষাকে 'আলালী ভাষা' হিসাবে পরিচিতিলাভ করা সেটাই প্রমাণ করে। তাই তো উনিশ শতকের লেখক হয়েও এখনও প্রাসঙ্গিক তিনি। লেখকের সাহিত্যকর্ম বিশ্লেষণ করলে আমরা নতুন প্যারীচাঁদ মিত্রকে আবিষ্কার করতে পারব।

ইংরেজদের আগমনে উনিশ শতকে বাঙালি মধ্যবিত্তের জন্য উপযোগী এক ভাষার সৃষ্টি হয়। সেখানে কিন্তু সংস্কৃত কিংবা আরবী-ফার্সীর অনুশাসনকে মানা হয়নি। পরে ১৮০০ সালের জুলাই মাসে ইংরেজদের বাণিজ্যিক প্রয়োজনে বাংলা গদ্যের চর্চার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ’। তখনকার শিক্ষিতরা সংস্কৃতি ভাষাকে দেবতূল্য মনে করতেন। কলেজের বাংলা বিভাগের জন্য তেমন লোক না পাওয়ায়(১৮০১ খ্রি.) পাদ্রি উইলিয়াম কেরীকে বাংলা ভাষার দায়িত্ব দেওয়া হয়। তার ইংরেজি ভাষার প্রভাবে বা সং¯পর্শে আগের গদ্যচর্চার রূপ বদলে যায়। কলেজের বাংলা গদ্যের প্রথম লেখক ছিলেন রামরাম বসু। তিনি ফারসী নবিশ মুনশি ছিলেন। তার ভাষায় ফারসীর প্রভাব ছিল। ফলত নতুন বাংলা গদ্যের সূচনা হতে সময় নিয়েছে। পরে উইলিয়াম কেরী সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা ব্যবহার করে তৃতীয় একটি ধারা সৃষ্টি করেছেন। এর অনেক পরে, অনেকে সহজ ও সরল বাংলা গদ্যের ব্যবহার করেছিলেন। মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের গদ্যে দুর্বোধ্যতা ছিল। বাংলা গদ্যের জড়তা দূর করতে সচেষ্ট ছিলেন অক্ষয়কুমার দত্ত( সম্পাদক,তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা)। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সাধু-গদ্য ছিল মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের মতই সংস্কৃতানুরাগী সাধু ভাষা। এরপরেই আসেন প্যারীচাঁদ মিত্র। এই সাধু-গদ্য বাদ দিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য সহজবোধ্য ভাষা ব্যবহার করে সাহিত্যরচনা করার জন্য চেষ্টা করতে থাকেন। এতে তিনি কলকাতার আঞ্চলিক/সাধারণ মানুষের ভাষাকে ব্যবহার করেছেন। কথ্যরীতিতে গদ্য-পদ্য রচনা, ক্রিয়া পদে সাধু ও কথ্য ভাষার মিশ্রণ তার গদ্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল। এছাড়া প্রচুর ফারসী, তদ্ভব শব্দের ব্যবহারও করেছেন।


সামাজিক সমস্যাকে প্রাধান্য দিয়ে মূলত লেখক উপন্যাসটি রচনা করেছিলেন। তৎকালীন কলকাতার আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও বিভিন্ন স্তরের মানুষের জীবনযাত্রার একটি চিত্র পাওয়া যায় এখানে। দেশে ফারসির চল ও ইংরেজির প্রতি আগ্রহ ছিল। ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিতদের কদর ও চাকরিতে অগ্রাধিকারের ছিল। লেখকের ছিল ক্ষোভ। এসবই তুলে ধরা হয়ে আলালের ঘরের দুলাল উপন্যাসের পরতে পরতে। দুর্নীতির বিষয়াদি উপন্যাসের একটি বড় আকর্ষণ। টাকার বিনিময়ে মিথ্যা সাক্ষ্য, মিথ্যা মামলা সত্যে পরিণতকরণের মতো সামাজিকসমস্যাগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন লেখক প্যারীচাঁদ মিত্র। ‘স্ত্রীর অন্য পুরুষের প্রতি মন কখন হইবে না এবং পুরুষেরও অন্য স্ত্রীর প্রতি মন কদাপি যাইবে না-’ এই একগামী আদর্শের কথা প্যারীচাঁদ তাঁর আলালের ঘরের দুলাল-র শেষে লিখেছেন। দা¤পত্যের মধুর ও চিরন্তন বন্ধনকে ছড়িয়ে দিতে লেখকের এমন চিন্তার প্রকাশ হয়েছে। বইয়ের ভূমিকাতেও দেশজ শব্দাবলির কথা বলা হয়েছে। ‘প্রশংসিত টেকচাঁদ ঠাকুর মহাশয় বাঙ্গালায় অতি সরল ও সর্ব্বসাধারণের অনায়াসে বোধগম্য রচনা-পদ্ধতি প্রচার করিয়াছেন। বর্ত্তমান গ্রন্থে যদিও কাদম্বরীর উৎকট-পদ প্রয়োগ-পটুতা, শকুন্তলার ললিত-পদবিন্যাস মাধুর্য্য, বাসবদত্তার অনুপ্রাস ছটা ও তিলোত্তমার ভাব ঘটা নাই;...’- (ভূমিকা থেকে গৃহীত)

বঙ্কিমচন্দ্র 'আলালী ভাষা' শব্দবন্ধ প্রয়োগ করেছিলেন প্রশংসায়। কিন্তু অনেকসময় 'আলালী ভাষা'-কে হেয় ভাষা, নিচু ভাষা বলে ব্যঙ্গ করতে ছাড়েনি অনেকে। বিদ্যাসাগর এই ভাষা শুনে ঠাট্টা করতেন বলে শোনা যায়। সমালোচনায় বিদ্ধ ও ১৮৬০ সালে স্ত্রীর মৃত্যুর পর প্যারীচাঁদ প্রেততত্ত্ব তথা থিওসফির প্রতি প্রবলভাবে আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। পরের মদ খাওয়া বড় দায়, জাত থাকার কি উপায়(১৮৫৯) ছাড়া 'আলালী ভাষা-র প্রভাব খুব কমই। মানস-রূপান্তরের প্রতিফলন ঘটে গীতাঙ্কুর (১৮৬১), যৎকিঞ্চিৎ (১৮৬৫) অভেদী (১৮৭১), আধ্যাত্মিকা (১৮৮১) রচনায়। ক্যালকাটা রিভিউ পত্রিকা আলালের ঘরের দুলাল-এ খুঁজে পেয়েছেল অলিভার গোল্ডস্মিথের হিউমার, হেনরি ফিল্ডিংয়ের উইট। জেমস লং প্যারীচাঁদকে বলেছিলেন ‘বাংলার চার্লস ডিকেন্স’। তিনি লেখেন, তার ছোটবেলায় অধ্যাপকেরা যে ভাষায় কথা বলতেন, তা সংস্কৃত ব্যবসায়ী ছাড়া কেউ বুঝত না। খয়ের-কে খদির, ‘চিনি’- কে শর্করা, ‘ঘি’-কে আজ্য, ‘কলা’-কে রম্ভা। ‘ফলাহারে বসিয়া ‘দই’ চাহিবার সময় দধি বলিয়া চীৎকার করিতে হইবে।’ মুখের ভাষাই এই, তা হলে লেখার ভাষা না জানি কী! রাধানাথ সিকদার ও প্যারীচাঁদ মিত্রের যৌথ প্রচেষ্টায় বের হয় মাসিক পত্রিকা। এই পত্রিকায় তিনি ‘টেকচাঁদ ঠাকুর’ ছদ্মনামে লেখা শুরু করেন-আলালের ঘরের দুলাল। বইটিতে মোট ত্রিশটি পরিচ্ছদের মধ্যে সাতাশটি পরিচ্ছদ এই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিলো।

আলালের ঘরের দুলাল উপন্যাসে ব্যতিক্রমী ভাষা ব্যবহার করা হয়েছিল। সাধু ও চলিত ভাষার মিশ্রণে সাধারণের বোধগম্য কথ্যভাষা। উপন্যাসের নামানুসারে এটির নামাকরণ করা হয় আলালী ভাষা। কালীপ্রসন্ন সিংহের 'হুতোম প্যাঁচার নকশা'-য় কলকাতা ও কলকাতার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মানুষের মুখের ভাষা ব্যবহার করেছেন। প্যারীচাঁদের মতো কথ্য ও সাধু ক্রিয়াপদের মিশ্রণ করে লেখেননি। ফলে, এ ভাষা হয় আরও মার্জিত ও আধুনিক। এটাও উপন্যাসের নামানুসারে 'হুতোমী ভাষা' বলা হয়। বিদ্যাসাগরের সংস্কৃত-ঘেঁষা ভাষা, টেকচাঁদ ঠাকুরের আলালী ভাষা ও কালীপ্রসন্ন সিংহের 'হুতোমী ভাষা'-কে সমন্বিত করে বঙ্কিম চন্দ্র বাংলা গদ্য রচনায় নিয়ে আসেন নতুনত্ব। সার্থকও হয়েছেন তিনি। বঙ্কিমীয় ভাষা বাঙলাভাষাকে শক্তিশালী করতে থাকে। প্যারীচাঁদ মিত্র লিখেছেন আরও সতেরোটি গ্রন্থ। কিন্তু এই একটি বই-ই বাঙালির কাছে তাকে স্মরণীয় করে রেখেছে। নানামাত্রিক বিতর্ক থাকলেও আলালের ঘরের দুলাল-ই বাঙলাসাহিত্যের প্রথম উপন্যাস।


তথ্যসূত্র:
(১) বঙ্কিম-রচনাবলী(বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় : ১৩৯০দ্বিতীয় খন্ড, সাহিত্য সংসদ, কলিকাতা)
(২) প্যারীচাঁদ মিত্রের জীবন ও সমাজভাবনা(বীণাপাণি বাগচী : ১৯৯৩, বাংলা একাডেমি, ঢাকা)
(৩) উপন্যাসের কালান্তর(সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায় : ২০০৩বাংলা, দেজ পাবলিশিং, কলকাতা)
(৪) হাসনাত আবদুল হাই, বিশ্বজিৎ ঘোষ, মহাম্মদ দানীউল হক, মুহাম্মদ ফরিদ হাসান প্রমুখ লেখকর বিভিন্ন লেখা

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top