সিডনী শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১

দাসী : অজিত কুমার রায়


প্রকাশিত:
২ ডিসেম্বর ২০২০ ২২:১৭

আপডেট:
২ ডিসেম্বর ২০২০ ২২:২৫

 

দুপুর গড়িয়ে বিকেল হল তবু দাসী দানাপানি মুখে দিল না। সেই সাত সকালে বাপ বেটা অর্থাৎ তার শ্বশুর ও স্বামী দুজনে গেছে বাড়ি থেকে কচি ডাবের কাঁদি ঝুলিয়ে। এখনও ফেরার নাম নেই। কিভাবে স্বামীর আগে খাবে সে। এটা সে ভাবতেও পারে না। হিন্দু সতী-সাধ্বী নারী মাত্রই এই সংস্কারটা মেনে চলার চেষ্টা করে। পতি হল হিন্দু নারীর গতি, পরম দেবতা। স্বামীর কথা ভাবতেই মাথাটা ওর শ্রদ্ধার নত হয়ে আসে। অনেক বড় পরিরারের বড় মেয়ে ছিল সে। বাবা মায়ের প্রথম সন্তান হওয়ার কারণে অনেক আদর-যত্নে মানুষ হয়েছিল।  দেখতেও সে ছিল সুশ্রী। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস, তার বিয়ে হয়েছিল গরীব ঘরে। বংশ ভাল দেখে রাধা নগর গ্রামের চরিত্রবান ও পরিবারের একমাত্র পুত্র সন্তানের সাথে তার বিয়ে দেওয়া হয়। লেখাপড়া অল্প, দেখতে মধ্যম। বিয়ের সময় ছেলেটার চাকরীর একটা সম্ভবনার কথা শোনা গিয়েছিল। কিন্তু, দাসীর পোড়া কপাল। সেটাও আর হয়ে ওঠেনি। অবশ্য পরিবারটি ছিল নির্ঝঞ্ঝাট। শ্বশুর দাসীকে তার কন্যার মতই দেখতেন। মা বলে ডাকতেন। দাসীর বড় ভাল লাগত বিষয়টি। শাশুড়িও ছিল না। তিনি অনেক আগেই গত হয়েছিলেন।  ননদিও ছিল না। মোটকথা, দাসীই ছিল গৃহকর্ত্রী। তার কথাই সংসারে শেষ কথা ছিল। নিম্ন মাধ্যবিত্তের সংসার হলে কি হবে তাদের খাওয়া-দাওয়ার একটা মান ছিল । ঘরের সামনে উঠোনে ঝুলে থাকত কচিলাউ মাচার নিচে। পাশে লকলকে লাল শাক, সাদা শাক,  পালং শাক, বাঁধা কপি ও ফুল কপি। আর সুর্য ওঠার আগেই দাসির শ্বশুর পাশের খাল থেকে জালে ধরত মোটা মোটা চামনি চিংড়ি, ফ্যাকশা মাছ, ইয়া বড় বড় বেলে মাছ ও ট্যাংরা  মাছ। তা দিয়ে শুকতো আর আলুর ঝোল বানাত দাসী। দু-বাপ বেটা কবজি ডুবিয়ে খেয়ে বেরিয়ে পড়ত কাজে। দাসীর হাতের রান্নার তারিফ না করে পারার জো ছিল না। রান্নাটা সে মায়ের কাছ থেকে ভালই রপ্ত করেছিল। বিয়ের পরে রাধা নগরের অনেক অনুষ্ঠানে রান্না করে সে প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছিল।

যখন দাসীর বিয়ে হয় তখন কয়েক বিঘে জমিও ছিল তাদের। কিন্তু মামলা চালাতে গিয়ে প্রায় সর্বসান্ত হয়ে যায় তারা। শেষমেশ দিন মজুরি করে বা অন্য উপায়ে সংসার চালাতে হত তাদের। তার স্বামীর সুনাম ছিল আশেপাশের গ্রামেও। ভাল বল খেলত সে। সংসারের অভাব তাদের বোধগম্য হত না। কারণ, সদস্য সংখ্যা কম ছিল না। আর তিনজন সদস্যের মধ্যে একটা নিবিড় বন্ধন ছিল। স্বামী উপেন দাসীকে প্রাণের থেকেও বেশি ভালোবাসত। দু-জনে স্বপ্ন দেখত একটা সোনালি ভবিষ্যতের। তাদের রাজপুত্রর। তাদের ভালোবাসার রাজপ্রাসাদ আলো কওে আসবে একটি পুত্রসন্তান, তাদের রাজপুত্তুর। সোনার মত রঙ, কার্তিকের মত সাহসী আর বিদ্যাদেবীর বরপুত্র হবে সে। সে তাদের জীবনে  আনবে অনাবিল শান্তি ও পর্যাপ্ত সম্পদ। কত স্বপ্ন দেখেছিল ওরা টিনের ঘরে শুয়ে শুয়ে। মাটির দেয়ালের ছোট জানালা দিয়ে চাঁদ দেখত ওরা। কিন্তু, পোড়া কপাল ওদের! বিয়ের পর কতগুলো বছর গত হল। সংসারের অবস্থা ক্রমে খারাপ হয়ে গেল, জমি-জিরেত গেল। দাসীর কোল আলো করে কোন সন্তানও এল না। বুড়োর খুব শখ ছিল নাতি-নাতনির মুখ দেখবে। তার দুঃখেরও শেষ ছিল না। কাঁচা মেঝের বারান্দায়  নিঃসঙ্গভাবে পড়ে থাকত দাসীর শ্বশুর একা একা। নিঃসঙ্গতা কাটানোর জন্য উপেনের বাপ পাড়ার লোকেদের নিয়ে তাস খেলত বিকেলের অবসরে, কখনও দুপুরে খাওয়ার পর অথবা রাতের বেলা। কিছুটা হৈ-হুল্লোড় হত। তার মনটা সজীব হয়ে উঠত কিছুক্ষণের জন্য। বুড়ো ভাবত তার যৌবনের আনন্দে ভরপুর দিনগুলোর কথা, তাদের সময়ের পূজো-পার্বণের কথা। অষ্টক গানের সুরে মেতে উঠত এলাকা।  গ্রামে গ্রামে চলত কবির লড়াই, কীর্তন। আর ছিল অপেরা। শীতকাল জুড়ে থাকত অপেরা গানের আমেজ। প্যা-েল ভরে যেত দর্শক-শ্রোতায়। বুড়ো ভাবতে ভাবতে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়ত। তার স্মৃতির পটে ভাস্বর হয়ে উঠত তার যৌবনবতী স্ত্রী। তার নাম ছিল সোহাগী। বড়ই সুন্দরী ছিল সে। আষাঢ়ের মেঘের মত ছিল তার ঘন কালো চুল। চোখ দুটোর কি যে যাদু ছিল! বাড়িতে মানুষের ভিড় কমত না কখনও ঐ বউ আসার পর থেকে। কেউ পান খেতে আসত, কেউ বা আসত গল্প করতে, আবার বিনা কাজেও কতজন এসে বলত,

নেতাই আসলাম। ভাবলাম তোর সাথে একটু গল্প করে আসি।

উপেনের বাপ বলত, ভালই হল খুড়ো। ন্যাও, তামাক খাও। ছিলিম সেজে তাতে আগুন দিয়ে বাড়িয়ে দিত হুকো। তারপর পড়াৎ পড়াৎ টানের শব্দে সরগরম হয়ে উঠত নির্জন বাড়িটা। বড় খালের জল ক্রমে ছল ছল করে ভরে  উঠল। কুলে হালকা হালকা আঘাত করে সরব হয়ে উঠত ঢেউ। ক্রমে  বাড়ত ভিড়। কেউ কেউ গিয়ে বসত রান্না ঘরের বারান্দায় রাঙা বউয়ের মুখটা এক পলক দেখার আশায়।

ডেকে বলত, ও বৌদি কি রান্না এত্তিছো? দাদা মাছ মারেছে আজকে?

রাঙা বৌ রান্নাঘরের ভেতর থেকে হেসে উঠত খিল খিল করে।

বলত, হা, দেহে যাওনা ভিতরে আসে। রাঙা শাগের টক রানব, পুঁটি মাছ কয়ডা ভাজব। মাদেনি খায়ে যায়েনে।

সে  সব দিনের কথা ভাবলে বুড়োর চোখে জল আসত। বড় একা লাগত নেতাইয়ের। শুধু ভাবত আর কতদিন এই যন্ত্রণা বুকে নিয়ে  বাঁচবে সে। বউটা দ্বিতীয় বাচ্চার জন্ম দিতে গিয়ে তাকে ছেড়ে গেল। ওর দ্বিতীয় সন্তানের সাধ ছিল না। তবু উপেনকে বিয়ে দিয়ে এক রকম যাচ্ছিল তার দিন। নতুন বউ ঘরে আসায় বাড়ির শ্রী ফিরেছিল। লোক সমাগমও বেড়েছিল। বউটাকে সে নিজের মেয়ের মত স্নেহ করত। বাড়ি ফেরার পথে তার জন্যে অল্প-স্বল্প খাবার আনতে ভুলত না নেতাই। 

জীবনযাত্রা পাল্টে যাচ্ছিল ক্রমে। চাষনির্ভর ছিল আগের গ্রাম। ধান গোলায় উঠলেই হল। সারাটা বছর মানুষ আনন্দ উৎসব যাত্রা এসবের ভিতর দিয়ে কাটত। এখন ওয়াপদার বড় বড় রাস্তা হচ্ছে। নদীগুলোর উপরে বাঁধ হচ্ছে। ফসল বাড়ছে, যাতায়াতের সবিধা বাড়ছে। কিন্তু নদীতে মাছ কমতে শুরু করেছে। নদীর মাছের স্বাদই আলাদা। কান মাছের কথা নেতাই ভুলতে পারে না। ভুলতে পারে না ইলিশ মাছ ধরার মধুর স্মৃতি। চটা জলে ধরত বড় বড় ইলিশ। মৌসুম এলে ইলিশের গন্ধে ভরে যেত ঘর-দোর। তখন কেউ মাছ বেচত না। পরিবর্তনে ছোয়া লেগেছিল চারিদিকে। নদীর পাড় দিয়ে দুএকটা ইটের ভাটা স্থাপিত হয়েছিল।  কালো ধোঁয়ায় গ্রামাঞ্চলের পরিবেশ দূষণ শুরু হয়েছিল। গ্রামে চোরের উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছিল, বৃদ্ধি পেয়েছিল মস্তানীর মত নতুন বালাই। আর সারাদেশে জুড়ে চলছিলছ অশান্ত রাজনীতির ডামাডোল। দেশে পশ্চিম পাকিস্তানের দু:শাসন। ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সভ্যতা। গুলি করে মেরে ফেলা হচ্ছিল বাঙালিদের। আওয়ামী লীগপন্থীদের এ্যারেস্ট করে নিক্ষেপ করা হচ্ছিল হাজতে, জেলে। ২৫শে মার্চ ঢাকা শহরে পাক হানাদারদের নৃশংস ধ্বংসলীলা চলল। গ্রামের মানুষ রুদ্ধশ্বাসে বসত রেডিও সেটের সামনে বিবিসির সংবাদ শোনার জন্য। পাক সরকার এদেশের ভুমি চায় ওরা এদেশের কাফেরদের নিশ্চিহ্ন করতে চায়।

রেডিওর খবর শেষ হলে স্বরূপ বিশ্বাস নেতাইকে বলে, নেতাই গতিক ভাল ঠ্যাকতেছে না। এদেশে আর থাকা যাবে না মনে হচ্ছে। শুনিছি ঢাকায় সেদিন গুলির হয়েছে?

নেতাই বলে, হ্যা দাদা, খবওে শোনলাম ত খবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও গুলি হয়েছে। আনেক ছাত্র আর শিক্ষককে মারে ফ্যালা হয়েছে।

মেয়েদের ধরে ধরে সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছে। ওদের নির্যাতন করে মারে ফ্যালা  হচ্ছে।

তাও ত শুনিছি। শুনিছি এই দেশের কিছু লোক পাক সেনাগে সাহায্য করতিছে। শুনিছি মুক্তিযোদ্ধাগে নিয়ে টর্চার করতিছে।

স্বরূপ বিশ্বাস বলল, আরও শোনলাম, মিলিটার নামে আসতিছে গ্রামের দিকে গানবোটে, জাহাজে করে। গ্রামের স্কুলে ক্যাম্প বসাচ্ছে। 

কাপড় খুলে খুলে হিন্দু না মুসলমান পরীক্ষে করতিছে আর হিন্দু পালি মারে ফেলতিছে। দাদা ভীষণ ভয়ে ভয়ে আছি। আমার ত বয়স শেষ। ছেলে আর বউমাকে নিয়ে কিযে করি। দেশ ছাড়ে যাবই বা কি করে। চুকনগরে নাকি সেনা ক্যাম্প বসায়ছে।

বিপদের কথা। মনে হয় ইন্ডিয়ায় যাওয়া লাগবে শেষে।

এক’দিন নেতাই আর বিবিসি শুনতে যেত না। তার মনটা বিষণ্ন। দুচারজন মোছলমান ছোকরা আসতে শুরু করেছে ওদের পাড়ায় পাশের গ্রাম থেকে। বুক ধড়পড় করত তার।

ওরা রাজাকার নয়ত? শেষে বউমার উপর নজর দেবেনা ত? ভীষণ চিন্তায় পড়ে গেল নেতাই। ভোর হলে দুই বাপবেটা গাছ থেকে দু'চার কাঁদি ডাব পাড়ে। মুখে দুটো কাঁচাঝালে মাখানো পান্তা ভাত গুঁজে দিয়ে বাঁকে ডাব নিয়ে শহরের পথে পা বাড়াল তারা। নেতাইয়ের বুকে ভয় বাসা বেঁধেছে। বাঁশের সাঁকো পার হয়ে সরু মাটির পথ বেয়ে ওরা গিয়ে পড়ল ইটের ভাঙাচোরা রাস্তায়। ডাব বেচে বাজার করে দুপুরের আগে চাল ডাল তেল কিনে বাড়ি ফিরতে হবে । তবেই দুপুরের রান্না হবে। বৌটা তাদের পথ চেয়ে একা বসে থাকবে। আজকাল তাকে একা রেখে আসাটা নিরাপদ নয়। নানা কথা ভাবতে ভাবতে পথ চলতে থাকে নেতাই। যুবক ছেলেটা ওর পেছনে হাঁটছিল। হঠাৎ কয়েকটা সৈন্য ভর্তি  জীপ এসে কিছু দূরে থামল। লাফিয়ে পড়ল কতকগুলো সৈন্য  জীপ থেকে। তাদের দিকে মেশিন গান তাক করে চিৎকার করে বলল, শালে বংগাালি কে বাচ্চা শুট। মুহূর্তে বাঁক ফেলে দুজনে লাফিয়ে পড়ল রাস্তার পাশে জলভর্তি খালে । ডুব সাঁতার দিয়ে পালানোর চেষ্টা করল কিছুক্ষণ। একটু পরেই বুলেটবিদ্ধ হয়ে ভেসে উঠল। ওরা ছিল ওই অঞ্চলে পাক হানাদারের হাতে নিহত প্রথম দুজন বাঙালি হিন্দু।

দুপুর গড়িয়ে বিকাল হল। দাসী বসে ছিল দাওয়ায়। মনটা ওর ভালো ছিল না। দুপুরের আগে বাজার করে ঘরে ফেরার কথা স্বামী ও শ্বশুরের। কিন্তু তারা ফেরেনি। ঘরে রান্না করার কিছু নাই। কত কি ভাবছিল দাসী বসে বসে। হঠাৎ ও পাড়ার শ্রীধর ছুটতে ছুটতে তাঁর সামনে এসে দাঁড়াল।

হাঁপাতে হাঁপাতে বলল, বৌদি, শুনিছো কি হয়ছে ?

কি হয়ছে, জিগ্যেস করে দাসী? মনে তার কু ডাকছিল।

গুলি অয়ছে সিএ্যানবি রাস্তায়।

কি? দাসী আঁৎকে উঠল। তাহলে কি?

উপেনদা আর নেতাইকে ওরা গুলি করে মারেছে।

কি? দাসী নির্বাক হয়ে গেল এরপর। তার চোখ দিয়ে অঝোরে জলের ধারা বইতে লাগল। ক্রমে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হল। লোক সমাগম হল। নানাভাবে তাকে প্রবোধ দেওয়ার চেষ্টা করল প্রতিবেশীরা। দাসী কোন কথা বলল না। এক বিন্দু জলও স্পর্শ করল না। দরজা বন্ধ করে শুয়ে পড়ল ঘরের মধ্যে একাই। রাত ভোর হলে আবার দাওয়ায় বসল খুঁটিতে হেলান দিয়ে। শ্রীধর সাত সকালে দাসীর কাছে এসে বসল।   

বলল, বৌদি চল আমাগে বাড়ি। হ্যানে একা থাকপা কি এরে। আমি তোমার দ্যাহাশোনা করবানে। তোমার দায়িত্বও নিতি পারি তুমি রাজি থাকলি। দাসী শ্রীধরকে হাড়ে হাড়ে চিনত। ওর মতি গতি বেশি ভালো না তা সে জানত। পাশের গ্রামের একটা মেয়ের প্রচুর ক্ষতি করেছিল সে।

দাসী কাঁদতে কাঁদতে বলল, না ভাই, আমার সাহায্যের দরকার নেই। আমি একাই বুঝে নেব কি কত্তি হবে। আমিত পোড়া কপালী! না ওলো সন্তান। না থাকল স্বামী। হাউমাউ করে কাঁদতে লাগল সে। এমন সময় এল পাশের গ্রামের মিজান। মনে মনে দাসী তারই অপেক্ষায় ছিল। তার দিকে তাকিয়ে মিজান বলল, বৌদি, কি অঘটনই না ঘটল, বল। কিন্তু, তোমার ত বাঁচতি অবে। ভাত খাতি অবে। দেহি তোমার খাবার যোগাড় করি। দাসী উঠে দাঁড়িয়ে বলল, মিজান ভাই আস আমার সাথে। মুখ নিচু করে তারপর সে হাঁটতে শুরু করল মিজানদের বাড়ির দিকে। মিজান তার পিছনে পিছনে হেঁটে চলল।

ছবিঃ ইন্টারনেট থেকে

 

অজিত কুমার রায়
অধ্যাপক (অবসর প্রাপ্ত), খুলনা, বাংলাদেশ

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top