সিডনী মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ ২০২৪, ৫ই চৈত্র ১৪৩০

জীবন এক কলারাডো ঝড় : ড. শাহনাজ পারভীন


প্রকাশিত:
২৪ জুলাই ২০২১ ২৩:০০

আপডেট:
২৪ জুলাই ২০২১ ২৩:৪২

ছবি: ড. শাহনাজ পারভীন

 

বসুন্ধরা সিটির শেষ তলায় দাঁড়িয়ে পুরো ঢাকার রাতের দৃশ্য বহুভিজ্ঞ মেকারের লাইটিং এ ঝলমল করছিল। আপাত: উদ্যমী অধোমুখী ছলাৎ ছলাৎ ঝরণার পাড়ভাঙ্গা শব্দে বিয়ে বাড়ির লাইটিং যেমন একবার লাল একবার নীল বহুবর্ণিল আলো জ্বলে আর নেভে তেমনি ওয়ান ওয়ে রোডের একমুখো লাল অন্যমুখে নীল আলোর প্রজাপতি ঝলমল করছিল। অবিরাম জ্বলছে... নিভছে...। সাঁ সাঁ নক্ষত্রের প্রদীপ নভোদ্বীপ থিয়েটার ঘরে বসে হাজার তারা দেখার তাজ্জবে সানিয়ার দৃষ্টি আস্তে আস্তে ডানে বামে প্রসারিত হয়। আকাশ ভবনগুলো মাথা উঁচু দাঁড়িয়ে আছে ওরই মত।

ও বহুবার রাজধানীতে এসেছে। কিন্তু এবারের আসাটা ওর অন্য রকম। নিজের মত করে আসা। সবকিছু তার আপন। ও এসেছে একটা বিদেশী সংস্থার রিসার্চার হিসেবে। রিসার্চ অফিসার। গতকাল মর্নিং আওয়ারে জয়েন করে হাইলি রেটের ফাস্টফুডে লাঞ্চ সেরে অফিসটার উপর নিচে ঘুরে ঘুরে নিজের দায়িত্বটা বুঝে নিয়েছে। আজ সরকারী ছুটি। পয়লা বৈশাখ, প্রাণের মেলা বসেছে রাজধানীতে।
রাস্তা, রমনার বটমুল, টিএসসির প্রাঙ্গন, কার্জন হলের সামনে আকাশে বাতাসে আনন্দ, আহা আনন্দ যেন...। ও হেসে ফেলে। কিন্তু ওর হাসির রেশ ওর ওষ্ঠ প্রান্ত থেকে মিলিয়ে যাবার আগেই এক অনভিপ্রেত বিস্ময় সানিয়ার চক্ষু হরিণী দুটোকে প্রসারিত করলো। দৃশ্য এবং ধারণা সাযুজ্য নিয়ে মস্তিষ্কের অন্তর্দ্বন্ধে ঝড় ওঠে। সানিয়া বুকের বামপাশে চিনচিনে ব্যথা অনুভব করে। তার সবই আছে, আবার কিছুই নেই। হঠাৎই দৃষ্টি গাঢ় হয়। আটতলার বিশাল দুরত্বকে মনে হয় নাগালের মধ্যে, চোখের সীমানায়। সরাসরি সমতলে নিবদ্ধ সমুদ্র দুটি ছলাৎ ছলাৎ শব্দ তোলে, ওর স্মৃতি শক্তি, চিন্তা শক্তি, কল্পনা শক্তির মিলন ঘটিয়ে ওর সমুদ্র নিস্তরঙ্গ শান্ত অশান্তের মাঝামাঝি সমান্তরাল রাস্তার অফিসিয়াল গাড়ির দিকে নিবদ্ধ হয়। কফি কালারের টয়েটা ঘেঁষে দাঁড়ানো সৌম্য শান্ত ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন সুপুরুষের বিশাল সিনা বরাবর। ড্রাইভার গাড়ির দরজা খুলে বিনীত সালাম জানায়, সরে দাঁড়ায়।

কোথায় যেন ওর মিল আছে। কোথায় যেন ওকে দেখেছে! ওকে হঠাৎই খুব পরিচিত আপনজন মনে হয়। কাছের মনে হয়। ওর দৃষ্টিভ্রম হলো নাকি! চোখ কচলায়, ডলে, আবার তাকায়। স্মৃতির সাগর সেঁচা শুরু করে। কলারাডো ঝড় ওঠে। ওতো ছিল চিকন, বানরমুখো, পাংসুটে, কমলা ভোগের ভেতরের কালার। কিন্তু এযে তরতাজা ফুলকপির গেøসি। রাতের সোডিয়াম লাইটের আলো ওর ঔজ্জ্বল্য বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুন। মুখোমন্ডল ভরাট, ম্যানলী ম্যানলী, প্রাণ চাঞ্চল্যে ভরপুর। ও কে?
মানুষের মত কি মানুষ হয়? হ্যাঁ হয়, ও জানে। কিন্তু এতো মিল! আবারো তাকায়, দেখে। কিন্তু হিসাব মেলে না। ও কি করে আসবে এখানে...।
পাশে থাকা শাওনকে জোরে টান মারে, ঘাই দেয়।
দেখতো চিনিস নাকি?
ওর প্রলম্বিত হস্তখানায় দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখে শাওন উত্তেজিত হয়। উৎফুল্ল...
আরে, ও তো জিহান ভাই!
ওর মতো...
না ও জিহান ভাই!
শাওনের দৃঢ় কণ্ঠ ওকে প্রত্যয়ী করে তোলে।
চল নিচে...
দ্রæত বিদ্যুৎ এর মতই বিদ্যুৎ ঘর লিফ্ট’র কাছে পৌঁছে ওরা। তর তর নেমে আসে গ্রাউন্ড ফ্লোরের ঝাড় ঝাড় তাল গাছের ঝলমল বনে। সাবধানে সারি সারি তাল গাছ ছাড়িয়ে এগজিট গেটে আসে। জিহান সিঁড়ি ভাঙছে ছন্দময় জলপ্রপাতের প্রাকৃতিক ঢেউয়ের তালে। ওর মধ্যে আগের সেই ছেলেমীপনা- দুরন্তপনা নেই। ওর ছন্দময় গতিই বলে দেয় ওর আকস্মিক বিরাট পরিবর্তনের, আভিজাত্যের, ব্যক্তিত্বের, পার্সোনালিটির।
ওর সাথে প্রথম রাতেই অন্ধকারের ঘনঘটা দেখা দিয়েছিল।
তোমাকে বেশি দিতে পারিনি। ছোট চাকরিতো...ইচ্ছা ছিল পারিনি। পরীর মত তোমাকে সাজিয়ে আনতে চেয়েছিলাম ...
জিহান চুপ করে, চুপ থাকে। সানিয়ার মধ্যে সন্দেহের দাবদাহ পুড়তে থাকেÑ
চাচু বলেছিল বড় অফিসার। এক্রিউটিভ। মা আর খোঁজ নেয়নি। তাড়াহুড়োর বিয়ে। মফস্বলের সুন্দরী শিক্ষিত মেয়ে। বাবা নেই। সানিয়া মেলাতে চেষ্টা করে এক্রিকিউটিভ অফিসার...
ছোট চাকরি!... নামমাত্র অর্নামেন্টস, অবশ্য দামী কসমেটিক্স, ভারী বিয়ের শাড়ি, বিদেশী ব্রিফকেস...এক্রিকিউটিভ অফিসার... ছোট চাকরি... নাম মাত্র গহনা।
কয়েকদিন যেতে না যেতেই ওর কাছে সত্য পরিষ্কার হয়। এক্রিউটিভ অফিসারের সেক্রেটারি! ননদ দেবর আত্বীয় স্বজন মিলে বিয়ের বাজার! ও মেনে নিতে পারে না, মেনে নেয় না!
মানুষ হিসেবে জিহান অসাধারণ। ওকে সোনায় সোহাগা তুলো তুলো করে আদরে আদরে রাখে। কিন্তু সে একটা ক্লাস ওয়ান অফিসারের একমাত্র মেয়ে! কি করে মেনে নেবে? এক্রিউটিভ অফিসার... সেক্রেটারি... কম অর্নামেন্টস...পরীর মত বউ...মেলে না ... মানে না।
নিজে শিক্ষিত। ভার্সিটির সবোর্চ্চ সার্টিফিকেট তার ঝোলায়। সে কি করে ওর সাথে থাকবে সারাদিন? অবশ্য চব্বিশ ঘন্টা কোথায়? সেই সাত সকালে মুখ গুঁজে অফিসে যাওয়া, রাতের প্রথম অংশ পার হলে বিনয়ী শ্রমিকের মত ফিরে আসা... বাথরুম, নামাজ, খাওয়া, নামাজ, রেষ্ট, ঘুম। পরদিন সূর্য...অটো রিভার্সে বেজে চলা... ছোট চাকরী... এক্রিউটিভ...
সিন্ধান্তটা ওর এক তরফা। ওকে ছেড়ে যাবার আগে মা বলেছিল-
ভেবে দেখ। মা ওকে অনেক বুঝিয়েছিল।
মাকে ও উল্টো বোঝায়-
কিসের জোরে তোমার এত গরিমা? জানি শুধু বাবার পদমর্যাদা। ওটা আঁকড়ে ধরে তুমি সারাটা জীবন কাটাতে পারবে। অথচ আমি... তোমার চেয়ে কোন অংশে... ও আর কথা বাড়ায় না, গলা আটকে যায়। নিজেকে বারবার বোঝাতে চেষ্টা করে এরকম হতেই পারে। একজন ডাক্তার বরের নার্স স্ত্রী হতে পারে। কিন্তু এ সমাজ একজন নার্স স্বামীর ডাক্তার স্ত্রী মেনে নেয় না..
ও কে ছেড়ে যাবার আগে ও বলেছিল:
এ চাকরিটা ছাড়ো...
বিষয়টা কি?
আমি বাংলায় বলছি। স্প্যানিস কিংবা হিব্রæ ভাষায় নয়।
এটা সম্ভব নয়।
আমাকে ছাড়তে পারবে? আমাকে...আমাকে ছাড়তে হবে কিন্তু...
সেটাও সম্ভব নয়। জিহানের সাফ সাফ উত্তর।
তোমাকে ভাবতে হবে, কোনটা বেশি জরুরী। আমি? নাকি তোমার ঐ সেক্রেটারির চাকরিটা।
দুটোই আমার কাছে সমান জরুরি।
আমার কাছে নয়, তুমি স্পষ্ট করে বলো, তোমার কাছে কোনটা বেশি জরুরি, আমি, নাকি তোমার চাকরি?
তুমি এবং আমার জীবনের সাথে জড়িয়ে থাকা ওটাও...
একদিন... দুইদিন... তিনদিন... অনেকদিন। এভাবেই কিছু দিন... এক সকালে এই পহেলা বৈশাখেই সে প্রকৃতির মত রং পাল্টাতে চেয়েছিল। সে চেয়েছিল সাদা লাল কিংবা কৃষ্ণচুড়ার সমাহারে ফুলে ফুলে শোভিত বিলোড়িত জীবনের হাতছানি। শুধু পহেলা বৈশাখের কথাই বা আসে কেন? পহেলা ফাগুনে চাই পলাশ শিমুলের আগুন গলা রং। সাদা কালোয় একুশের সংমিশ্রন। আরো ভালো করে বললে শক্তি আর শোকের সমন্বয়, পরিস্ফুটন চাই পোশাকেও। ভালোবাসা দিবস পিঙ্ক কালার, বিজয় দিবসে লাল সবুজের থোকা থোকা বিজয়ের বলাকা।
এতসব পারবো না, ওসব চলবে না।
জিহানের সাফ জবাব। বড়জোর ম্যারেজডের জন্য সাদামাঠা সুতি শাড়ি আর জন্মদিনের রোল করা কেক। বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজন অনুষ্ঠান ডামাডোল ওসব সম্ভব নয়। ছোট চাকুরি, সৎ মানুষ। তোমার জন্য তো আর দু’হাত দিয়ে ঘুষ খেতে পারি না।
ওসব কথা আসে কেন?
ও রকম চাছাছোলা সহজ এবং কঠিন কথার সমন্বয়ে সানিয়া জোর পেয়েছিল, যুক্তি পেয়েছিল। প্রজাপতির ডানার মত মুক্ত আকাশে পেখম মেলেছিল উড়ন্ত স্বপ্নকে চোখে মেখে। অতশত সংকীর্ণতাকে পায়ে মাড়িয়ে এক ব্রিফকেস হাতে সানিয়ার গৃহত্যাগ।
জিহান যে খোঁজ নেয়নি তা নয়। কিন্তু সানিয়ার একই কথা...
সানিয়া উচ্চতর গবেষণায় মনোনিবেশ করে। উচ্চতর ডিগ্রির স্কলার নিয়ে অন্য দেশে পাড়ি জমায়। জিহানকে ভুলতে চায়, অতীতকে ভুলতে চায়। গত পাঁচটা বছর ও যে নির্বিঘেœ ছিল তাও নয়, সুন্দরী সানিয়া সহপাঠীর অফার ফিরিয়েছে, এড়িয়েছে কানাডিয়ান টিচার টাফিককে। কৌশলে দীর্ঘ পথ চলেছে। কৌশলে...
ডিগ্রি নিয়ে গত সপ্তাহে দেশে ফিরেছে।

দুই.

ক্রমাগত অপমানের জ্বালা সইতে না পেরে চেনা শহর ছেড়েছে জিহান। সেও প্রায় পাঁচ বছর আগের কথা। কেউ কারো সাথে আর যোগাযোগ করেনি। জিহান সাহসী হয়। চাকরিটা হুট করেই ছেড়ে দেয়, যেমন হুট করেই সানিয়া ছেড়েছিল ওকে।

এমবিএ করা ছেলের আয়েশ ভাঙে। ভেতরে বিজয়ের গল্প তৈরি হয়।

তিন.

আরে দুলাভাই আপনি?
শাওনের ঝড়ে সানিয়া বাস্তবের মাটিতে পা দেয়।
ভুত দেখার মত চমকে উঠেই সাবধানী মানুষের মত গুছিয়ে নেয় জিহান। কৌতুহল দমন করে। স্বাভাবিক চোখে তাকায়। ও রকম করে সানিয়ার সাথে দেখা হবার কথা ছিল যেন! সব এ রকম হবে। স্বাভাবিক দৃষ্টি নিয়ে উৎসুক তাকায়।
স্যার সামনের ডান পাশে পার্ক গড়বো গাড়ি? বিনীত ভাবে ড্রাইভার অদুরে দাঁড়িয়ে থাকে।
সানিয়া চোখ সরায়, তাকাতে সাহস হয় না জিহানের চোখে। হঠাৎ চোখ যায় গাড়িতে লেখা আঁকিবুকি সব। সানিয়া সজাগ হয়। ও গতকাল যে কোম্পানিতে জয়েন করেছে এটা সেই একই কোম্পানির গাড়ি, শাখা ভিন্ন। অর্থাৎ...
ওর চেহারাই বলে দিচ্ছিলো ওর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির খবর। এবার নিশ্চিত হয় ও।
জিহান এবার পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকায় সানিয়ার দিকে
ও শাওন, আমার ফুফাতো বোন। কৈফিয়ত ঝরে পড়ে সানিয়ার কণ্ঠে।
কোথায় থাকা হয়?
অন্য সবকিছুর মত ভাববাচ্যের ব্যবহারেও নিঁখুত জিহান।
এই তো গতকাল এসেছি এ শহরে, ফুফুর বাসায়। মোহাম্মদপুর। জয়েন করেছি তোমার গ্রæপের মালিবাগ শাখায়, রিসার্চার...।
জিহানের মুখ ঝলমল করে।
শুনেছো নাকি?
কবে ফিরেছো দেশে?
সব খবরই রাখো দেখছি।
বারে, তুমি সফলভাবে কৃতিত্বের সাথে ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরলে, আর আমি জানবো না, এ কি হয়?
হঠাৎই ওর মুখ থেকে অচেনা আভিজাত্যের খোলস ঝরে পড়ে। হাসিতে হিরে ছড়িয়ে ভরিয়ে দেয় প্যাসেজ। ওর দাঁতের সাথে হিরের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে যেন। মুক্তো দানার মত হিরের ঝলকে মুহূর্তেই গাঢ় হয় সানিয়া। প্রগাঢ় দৃষ্টি দিয়ে দেখতে থাকে ওর ফেলে আসা ...
এই যে শালী, গাড়িতে ওঠো। নাকি এখনও আপত্তি আছে? শাওনকে কাঁপিয়ে দেয় যেন!
মুঠো মুঠো মুক্তোর দানা হিরের ঝলকের সাথে মিশে যায়।
চোখ যায় সানিয়ার মেদহীন লতানো বাহুর দিকে। ঊর্মিমুখর অতলান্ত সাগরের পাড়ে। আছড়ে পড়ে ছলাৎ ছলাৎ। শাওন অপেক্ষা করে সানিয়ার অর্থদৃষ্টির
ওর দৃষ্টি স্থির... অস্থির...
জিহান বলতো েেময়েদের সব ‘না’ ই হ্যাঁ, আর নেতদের সব ‘হ্যাঁ’ ই না।
ও কি আবারো সেই জালে ধরা পড়বে...হেরে যাবে?
ঠিক আছে, উঠতে পারি, শর্ত আছে দৃঢ় চোখে তাকায় শাওন।
ওরে বাবা, আবার কি শর্ত। মরে যাবো তো...হা...হা...
আমি থাকতে আর মরতে হবে না, সহজ শর্ত। আপুর জয়েন উপলক্ষে আজ বাড়িতে অন্য রকম আয়োজন। সে আয়োজনে আপনাকেও আমাদের সঙ্গী হতে হবে। আপনি আমাদের ‘চিফ’ গেষ্ট।
যার জন্য আয়োজন, সে তো কিছু বলছে না?
চোখ ঘুড়িয়ে পুরুষালী ঢঙে সানিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করবার চেষ্টায় বিভোর জিহান।
বারে, আপু আবার কি বলবে, আপনি তো আর আপুকে উঠতে বলেননি, বলেছেন আমাকে।
ও সরি! বিরাট ভুল হয়ে গেছে। উঠুন ম্যাডাম, হা... হা... আজ আমরা শাওনের কাছে বাঁধা পড়ে গেছি।
সানিয়া হেরে যায় যেন, হেরে যেতে চায়। জীবনের অনেক বাঁক আছে, যেখানে জেতার চেয়ে হেরে যাবার আনন্দ গভীর...অন্তর্লীন।
জিহানের গভীর দরদী অভ্যর্থনাকে ও উপেক্ষা করতে পারে না। ওর বলিষ্ঠ আঙুলগুলোর ফাঁকে ওর নরম কোমল আঙুলগুলো আটকা পড়ে। পিষ্ঠ হয়। ঘোরের মধ্যে আস্তে আস্তে ওর থেমে থাকা পা দুটো কখন যেন গাড়ির বনেট ছোঁয়। ¯েøা মোশানের জগদীশ ওকে অন্য ভুবনে নেয়... কলারাডো ঝড় ওঠে।

 

ড. শাহনাজ পারভীন
কবি, গবেষক, কথাসাহিত্যিক
অধ্যক্ষ, তালবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজ, যশোর
সভাপতি, অগ্নিবীণা, যশোর

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top