বিদেশে কর্মসংস্থানে রেকর্ড


প্রকাশিত:
৪ মার্চ ২০২২ ০৩:০৫

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:৫০

 

প্রভাত ফেরী: করোনা সংক্রমণের মধ্যেও বৈদেশিক কর্মসংস্থানে রয়েছে ধারবাহিক সুখবর। গেল ৪ মাসে রেকর্ড সংখ্যক নতুন কর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থান সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো- বিএমইটি কর্মী যাওয়ার পদ্ধতি সহজ করা এবং প্রতিটি ধাপে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করায় ৪ মাসে ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪৪ জন কর্মীকে ছাড়পত্র পেয়েছে। যা স্বাভাবিক সময়ের প্রায় দ্বিগুণ।

বিএমইটির তথ্য বলছে, নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই চার মাসে সাধারণ সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ কর্মীকে বিদেশ যাওয়ার যাবতীয় কাজের বিষয়ে সেবা দেয়া হয়েছে। একই সংখ্যক জনবল দিয়ে অনেক সময় রাতেও কাজ করতে হচ্ছে মহাপরিচালক থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠানটির অনেক কর্মীকে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ি, গেল বছরের নভেম্বরে থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই কর্মীরা বিদেশ গেছেন। ফেব্রুয়ারিতে বিদেশে কর্মী গেছে ৯২ হাজার ৫৬৯ জন। জানুয়ারিতে গেছে এক লাখ নয় হাজার ৬৯৮ জন।

কর্মী যাওয়ার এই উর্দ্ধোমুখি ধারা শুরু হয় নভেম্বর থেকে। গেল বছরের নভেম্বরে বিদেশে কর্মী গেছে এক লাখ দুই হাজার ৮৬১ জন। পরের মাসেই তা বেড়ে দাঁড়ায় এক লাখ ৩১ হাজার ৩১৬ জনে।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো- বিএমইটির মহাপরিচালক শহীদুল আলম এসডিসি জানান, মাননীয় মন্ত্রী ও সচিবের সহযোগিতায় এবং বিএমইটির প্রতিটি সদস্যের আন্তরিকতায় এটি সম্ভব হয়েছে। অনেক সময় অতিরিক্ত কাজ করে এমনকি রাতেও অফিস করতে হচ্ছে। এখন কোন ফাইল আর জমা থাকে না। সকলকে নির্দেশ দেয়া আছে, কর্মীদের বিদেশ যাওয়ার প্রতিটি ধাপ যেনো সহজ, দ্রুত ও স্বচ্ছ থাকে। ফলে আগের চেয়ে দ্বিগুণ ক্লিয়ারেন্স দেয়া সম্ভব হচ্ছে। এতে করে রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকরাও ভোগান্তি ছাড়া কাজ করতে পারছেন।

রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকরাও বলছেন, বিএমইটিতে এখন আগের চেয়ে কাজ সহজ হয়েছে। বহির্গমন ছাড়পত্রের জন্য এখন আর অপেক্ষা করেত হয় না। আগে কিছু অনিয়ম থাকলেও এখন তা নেই।

রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক কে এম মোবারক উল্লাহ শিমুল বলেন, বিএমইটিতে আগে কিছু অনিয়ম ছিল। ফলে ফাইল জমা দিলেও আটকে থাকত। এখন তা নেই। স্বচ্ছতা বেড়েছে বলে এজেন্সি মালিকরাও বেশি কর্মী পাঠাতে পারছে।

 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top