বিশ্বব্যাপী বেড়েছে শ্রমিকদের চাহিদা; শ্রমবাজারে অস্থিরতা কাটছে না


প্রকাশিত:
৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০১:৪২

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:০৪

 

কোম্পানির কি নিয়োগ দেওয়া উচিত নাকি বহিস্কার করা উচিত? গত দুই বছর পর বিশ্বব্যাপী বেড়েছে শ্রমিকদের চাহিদা। কিন্তু শ্রমিক সরবরাহে গতি নেই এবং ঘাটতিও ব্যাপক। তার মানে দাঁড়ায় যে অনেক ফার্মকে নিয়োগ দিতে হবে। অন্যদিকে, মন্দার আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়েছে। কিছু কোম্পানির কর্তা ব্যক্তিরা মনে করছেন যে তাদের এরইমধ্যে অনেক কর্মী আছে। সম্প্রতি মার্ক জাকারবার্গ তার ফেসবুক কর্মীদের বলেন যে তাদের এখন অনেক লোক আছে যাদের আসলে থাকা উচিত নয়। অপরদিকে, অ্যাপলের টিম কুক মধ্যবর্তী অবস্থানে রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট খাতে অ্যাপল এখনো লোক নিচ্ছে। টিম কুক সম্প্রতি বলেন, অর্থনীতির ঝুঁকি সম্পর্কে পরিষ্কার ছিলেন তিনি।

এখনকার পরিস্থিতিতে নিয়োগকর্তারা অন্যদের তুড়ি মারছে। গত ২ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে আমেরিকান নিয়োগকর্তারা গত আগস্ট মাসে বেতনসহ ৩ লাখ ১৫ হাজার কর্মী নিয়োগ করেছেন। কয়েকদিন আগে প্রকাশিত জবস ওপেনিংস অ্যান্ড লেবার টার্নওভার সার্ভে (জলটস) অনুযায়ী, গত জুলাই মাসে ১ কোটি ১২ লাখ লোক নিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়। আমেরিকার বেকারত্বের হার ৫০ বছরে সর্বনিম্ন ৩ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

বিকল্প যদি ধরা হয়, আমেরিকায় প্রতিটি বেকার ব্যক্তির জন্য প্রায় দুটি চাকরির পদ শূন্য ছিল। ব্রিটেনেও একই পরিস্থিতি। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড দীর্ঘমেয়াদী মন্দার পূর্বাভাস দিয়েছে। তা সত্ত্বেও, ব্রিটেনে প্রায় রেকর্ড পরিমাণ পদ শূন্য রয়েছে। উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা এমনভাবে নিয়োগ করছেন যেন মন্দা কখনই আসতে পারে না।

এই বিভ্রান্তিকর চাকরির প্রবণতা বোঝার জন্য, তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব মাথায় রাখা জরুরি। প্রথমত, শ্রমবাজার সব সময় দোদুল্যমান। অর্থনৈতিক তত্ত্বের ভিত্তিগুলো কেম্পানিগুলোর সঙ্গে এমনভাবে আচরণ করে যেন তারা সব একই এবং অর্থনীতিটি কেবল এই প্রতিনিধিত্বকারী বড় বড় কোম্পানির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু বাস্তবতা হলো যে কোম্পানিগুলো একটির চেয়ে অন্যটি ভিন্ন আচরণ করে। কিছু ক্ষেত্রে অর্থনীতি প্রসারিত হয় আবার কিছুক্ষেত্রে সঙ্কুচিত হয়। যে কোম্পানি যে কোনো মন্দায় কর্মীদের বরখাস্ত করতে বাধ্য হবে সেটি সম্ভবত এখন বিক্ষিপ্তভাবে নিয়োগ করা কোম্পানির মতো নয়।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top