নৌপথে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার ও বাংলাদেশ ত্যাগ বেড়েছে ৫ গুণ
প্রকাশিত:
২০ জানুয়ারী ২০২৩ ০৩:০৯
আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:১২

আগের বছরের তুলনায় ২০২২ সালে রোহিঙ্গাদের নৌপথে মিয়ানমার এবং বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার সংখ্যা পাঁচ গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫০০ জনে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে
সংস্থাটির তথ্য অনুসারে, ২০১৪ সালের পর ২০২২ সালে সমুদ্রপথ জাতিগত এই সংখ্যালঘুদের জন্য এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বিপদজনক। বিদায়ী বছরে আন্দামান সাগর ও বঙ্গোপসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টাকালে ৩৪৮ জনের মৃত্যু ও নিখোঁজ হয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ডিসেম্বরে একটি নৌযান ডুবে গেলে সংখ্যাটি এই আতঙ্কজনক জায়গায় এসে পৌঁছেছে। ওই নৌযানে থাকা ১৮০ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সংস্থাটি বলছে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগই জাতিগত মুসলিম সংখ্যালঘু। সুরক্ষা, নিরাপত্তা, পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়া এবং জীবিকার তাগিদে রোহিঙ্গারা অন্য দেশে যাওয়ার জন্য বিপজ্জনক সমুদ্রপথ বেছে নিয়েছে।
তারা কয়েক শতক ধরে মিয়ানমারে বসবাস করে আসছে। কিন্তু বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে ১৯৮২ সালের পর থেকে তাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করা হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের দক্ষিণ এশিয়া থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী মনে করা হয়।
বাংলাদেশে অস্থায়ী শিবিরে গাদাগাদি করে বসবাস করছে মিয়ানমার থেকে আসা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা। সবশেষ ২০১৭ সালে সেনাবাহিনী প্রাণঘাতী দমন অভিযান শুরু করলে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
ইউএনএইচসিআর বলেছে, রোহিঙ্গাদের অধিকাংশ নৌযান মিয়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে ছেড়ে যায়। নৌযানে এসব রোহিঙ্গারা প্রাথমিকভাবে মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশে গিয়ে নামে।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: