৩ বছরে ফেরত পাঠানো হাজার হাজার অভিবাসী ফের জার্মানিতে
 প্রকাশিত: 
 ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৩:২৪
 আপডেট:
 ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৪:০২
                                
গত তিন বছরে জার্মানি থেকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো প্রায় সাড়ে ছয় হাজার বিদেশি আবারও জার্মানিতে ফিরে গেছে। জার্মানির সংবাদমাদ্যম বিল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
পুলিশের পরিসংখ্যান উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, গত তিন বছরে জার্মানি থেকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো ছয় হাজার ৪৯৫ জন বিদেশি নাগরিক ফের জার্মানিতে প্রবেশ করেছে বা প্রবেশের চেষ্টা করেছে।
ফিরে আসার এই সংখ্যা উল্লেখিত সময়ে ৭৪ শতাংশ বেড়েছে।
বিল্ড জানিয়েছে, ২০২০ সালে দেশে ফেরত পাঠানো এক হাজার ৬১৪ জন অভিবাসী জার্মান পুলিশের হাতে আটক হয়। ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল দুই হাজার ৭৪ জন এবং গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে দুই হাজার ৮০৭ জন জনকে প্রত্যাবাসনের আদেশ লঙ্ঘনের অপরাধে আটক করা হয়।
চলতি বছরের শুধু জানুয়ারি মাসে ১৮৪টি এমন ঘটনা চিহ্নিত করেছে পুলিশ।
এমন পরিস্থিতি আশ্রয় আবেদন বাতিল হওয়া এবং কারো কারো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার পরও তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠাতে জার্মান সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
বিরোধী দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের সংসদ সদস্য স্টেফান হেক বলেন, ফিরে আসার এই সংখ্যা দেখে বোঝা যায় সরকারের নিরাপত্তা নীতিমালায় যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। বিল্ডকে তিনি বলেন, অবৈধভাবে পুনঃপ্রবেশ ঠেকাতে একমাত্র পথ হলো সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা জোরদার করা।
উল্লেখ্য, ২০১৫-১৬ সালের পর আবারও জার্মানিতে শরণার্থী এবং অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা বাড়ছে। সরকারের তথ্য অনুসারে, গত বছর দেশটিতে আশ্রয়ের জন্য মোট দুই লাখ ৪৪ হাজার ১৩২টি আবেদন জমা পড়েছে। আবেদনের এই সংখ্যা ইউক্রেন থেকে আসা শরণার্থীদের বাদ দিয়ে হিসাব করা হয়েছে।
সরকারের পরিসংখ্যানে আরো দেখা যায়, গত বছর আশ্রয়-আবেদনের ৫৬ শতাংশ গ্রহণ করা হয়েছে। আর প্রতি পাঁচটি আবেদনের একটি তাৎক্ষণিকভাবেই বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
বিষয়:

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: