আন্তর্জাতিক চাপে নাইজারের জান্তা প্রশাসন, পশ্চিমাদের হুঁশিয়ারি


প্রকাশিত:
১ আগস্ট ২০২৩ ০১:৩১

আপডেট:
১৫ এপ্রিল ২০২৫ ২২:২১

 

সামরিক অভ্যুত্থানের পর ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়েছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের জান্তা প্রশাসন। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সহযোগিতা। এছাড়া বন্দি সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে মুক্তি দিতেও চাপ বাড়ছে।
সামরিক অভ্যুত্থানে সফল হলেও একের পর এক অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক চাপে কোনঠাসা নাইজারের সামরিক জান্তা প্রশাসন। বিশেষত পশ্চিমা দেশগুলো থেকে আসছে কঠোর হুঁশিয়ারি।
সামরিক অভ্যুত্থানের পর শুক্রবার (২৮ জুলাই) দেশটির ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের প্রধান আব্দুর রহমান তিয়ানি। এরপরই পশ্চিম আফ্রিকার স্থলবেষ্টিত দেশটির ওপর একের পর কঠোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

শনিবার (২৯ জুলাই) ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, অভ্যুত্থানের কারণে নাইজারকে দেয়া সব অর্থনৈতিক সহযোগিতা বন্ধ করেছে তারা। ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দেশটিকে প্রায় ৫০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তার কথা ছিল সংস্থাটির।
এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান বলেছেন, ‘নাইজারের একমাত্র বৈধ শাসক ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাজুম।’

এদিকে, আফ্রিকান ইউনিয়ন নাইজারের সেনাসদস্যদের দ্রুত ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

শনিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান। দেশটিতে গনতান্ত্রিক শাসন ফিরিয়ে আনারও তাগিদ দেন তিনি। আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন দেশে সশস্ত্রগোষ্ঠীকে মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ছিলেন নাইজারের ক্ষমতাচ্যূত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুম।

এর আগে, বুধবার (২৬ জুলাই) দেশটির প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের প্রধান আব্দুর রহমান তিয়ানির নেতৃত্বে সামরিক অভ্যুর্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় পশ্চিমা সমর্থিত বাজুমকে। আর শুক্রবার আব্দুর রহমান নিজেকে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ঘোষণা দেন।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top