কবিতার তাপজ্বালা : রহমান মাজিদ
প্রকাশিত:
২৭ আগস্ট ২০২০ ২২:০৯
আপডেট:
২৭ আগস্ট ২০২০ ২২:১০

কবিতার সাথে কবে, কখন, কোথায়, কিভাবে পরিচয় হয়েছিল
আজ এত বছর পরে সে তথ্য দিতে স্মৃতিরা বড্ড বেশি অপ্রস্তুত
প্রেমের প্রলোভনে ভুলিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরেছিলাম বুকের সাথে
সেই থেকে কবিতা আমার মস্তিস্কের জিম্মাদার, ঘুমের হন্তারক
প্রত্যহ রাতে গিলি এক ডোজ রিভোট্রিল, ভেসে যাই স্বপ্নের সাম্পানে
ঠাকুর পো মন্দিরে যে দেবতার গায়ে সকাল সাঁঝে ফুল ছিটাতেন
আমি তার পায়ের কাছে কিংবা বেদিমূল অভ্যন্তরে ছাগল খুঁজি
যদি পেয়ে যাই কবিতার অনামিকায় পরানোর মতো অঙ্গুরীয়
শক্তিদা জয়নগর পার্কের কোনায় দাঁড়িয়ে সিগারেট ফুকতেন
পরিত্যক্ত ধোঁয়ার কুন্ডলির ভিতরে দেখি অবনি উর্দ্ধশ্বাসে দৌড়াচ্ছে
আমিও দৌড়াই তার পিছনে, কবিতাকে ঝুলিয়ে দিতে তার গলায়
যে নৌকায় সওয়ার হয়ে স্বপ্ন তরঙ্গ পার হয়ে যাই প্রতিদিন
কুতুব মিনারের সম্মুখ সরোবরে ভিড়লে তরী দেখি তার চূড়া
কবিতার আসবাব মাথায় দাঁড়িয়ে আছে পিতামহের পূর্বপুরুষ
মনে হচ্ছে একঝুড়ি আকাশ মাথায় দাঁড়িয়ে আছে কারেন্টের খাম্বা
সংসারের অভাব অনটন তার উপর কবিতার জ্বালাতন!
কতবার ভেবেছি ওকে বেচে দেবো নিষিদ্ধ পল্লীতে বা ক্যাসিনো ক্লাবে
ওমনি ভারতবর্ষের অলি গলি থেকে না না করে ওঠে অগ্রজেরা
যেন মেঘের মিনারে উপবিষ্ট কেউ ঘোষণা করছে নিষেধ বাণী
অতঃপর দেয়ালের গায়ে ধাক্কা খেয়ে ঢুকে যাচ্ছে আমার মর্মমূলে
শিশুর ত্বকের মতো কোমল কবিতার আত্মা সইবেনা অনিষ্ট
অগ্রজের লাই পেয়ে ঘুমাগার, বিশ্রামাগার এমনকি স্নানাগারে
আঠার মতো লেগে থাকে সে, যেন রক্তের গন্ধ পেয়েছে চেনো জোঁক।
এইভাবে দিনের পর দিন, রাতের পর রাত অতঃপর আমি
কবিতার তাপজ্বালা সহ্য করে বাঁচতে বাঁচতে, প্রত্যহ মরে যাই।
বিষয়: রহমান মাজিদ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: