সুরের ধারা সংগঠনের নজরুল সুরঞ্জলি: এক অনবদ্য সন্ধ্যা


প্রকাশিত:
৯ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:০৪

আপডেট:
৯ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:০৫

"সুরের ধারা" প্রতিষ্ঠানের সদস্যবৃন্দ।

লোকমান হাকিম : সিডনির গ্র্যান্ডফিল্ড কমিউনিটি হলে গত ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৫ শনিবার সন্ধ্যায় "সুরের ধারা" সংগঠন আয়োজন করেছিল এক অনবদ্য নজরুল সুরঞ্জলি। এই সুপরিকল্পিত অনুষ্ঠানে দর্শকরা মোহাচ্ছন্ন হন সুরের মূর্ছনায়, যেখানে গান, নৃত্য, আবৃত্তি এবং নজরুল সংগীতের সুরে শরোদ বাদন এক বৈচিত্র্যময় সন্ধ্যা তৈরি করেছিল।

অনুষ্ঠানটি শুরু হয় দুটি সম্মেলক গান দিয়ে। প্রথম গানটি ছিল "ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়েও খাঁটি আমার দেশের মাটি", এবং দ্বিতীয়টি ছিল "তোমার বিনার তারে"। দর্শকরা এই গানগুলো শুনে যেন এক অদ্ভুত এক অনুভূতি লাভ করেছিলেন। অনুষ্ঠানটি শেষ হয় "আমি যুগে যুগে আসিয়াছি" দিয়ে।

গান পরিবেশন করেছেন গুণী শিল্পীরা, যারা সবাই নজরুল সংগীতে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তাদের মধ্যে ছিলেন মামুন হাসান খান, নায়না ছারাহ, সাজিয়া হোসেন প্রঐতি, লুবাবা ইসলাম, তামিমা শাহরীন, এবং পিয়াল পাপড়ি। শিল্পীরা হৃদয় দিয়ে গান গেয়েছেন, যা দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করেছে।

গানের ফাঁকে ফাঁকে, সুরের ধারার একটি বিশেষ আকর্ষণ ছিল বিশ্বের বিখ্যাত সংগীত পরিবার "খান পরিবারের" কৃতি সন্তান তানিম হায়াত খান, যিনি নজরুল সংগীতের সুরে ষরোদ বাজিয়ে দর্শকদের বিমোহিত করেছেন। এছাড়াও, সিডনির গুণী শিল্পী শাহিন শাহনেওয়াজ কবিতা আবৃত্তি করে দর্শকদের মন ছুঁয়ে যান।

অনুষ্ঠানে অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন স্বনামধন্য নৃত্যশিল্পী অর্পিতা সোম চৌধুরী, যিনি তার নৃত্য পরিবেশনে এক নতুন মাত্রা যোগ করেন। তার পরিবেশনা ছিল অপূর্ব এবং দর্শকরা একনাগাড়ে উপভোগ করেন।

যন্ত্রসঙ্গীতের জন্য এই অনুষ্ঠানে বেশ কিছু দক্ষ যন্ত্রশিল্পী উপস্থিত ছিলেন, যারা গানের সঙ্গে দারুণ সঙ্গত দিয়েছেন। যন্ত্রশিল্পীরা ছিলেন:

  • মামুন হাসান খান – হারমোনিয়াম

  • অভিজিৎ ড্যান – তবলা

  • সোহেল খান – গিটার

  • রবিন ভৌমিক – কিবোর্ড

  • লোকমান হাকিম – মন্দিরা

এই শিল্পীরা তাদের যন্ত্রের মাধুর্য দিয়ে গানের পরিবেশকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।

অনুষ্ঠানটি পরিকল্পনা ও পরিচালনা করেছেন সুরের ধারা সংগঠনের কর্ণধার মামুন হাসান খান, যিনি অত্যন্ত যত্নসহকারে শিল্পীদের মহড়া করিয়েছিলেন। সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন আমব্রিন জয়া, যার সাবলীল ও সুন্দর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি আরো প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

এছাড়াও, শব্দ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে দক্ষতা ছিল অতুলনীয়, যেখানে বাবা ও ছেলে, আসিফ এবং আয়ান তাদের নিখুঁত কাজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির শব্দ সুরক্ষিত করেছেন।

অনুষ্ঠানটি শেষ হয় "প্রথম প্রদীপ জ্বালো" স্লোগানে, যা আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আয়োজনে অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দর্শকদের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান রেখে যায়।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top