মরনাপন্ন সময়ের ডানা (নেপালি কবিতা) : কবি কেবলচন্দ্র লামা


প্রকাশিত:
১০ জুলাই ২০২১ ২০:২৩

আপডেট:
১৬ মার্চ ২০২৫ ০৫:৫৯

ছবিঃ কবি কেবলচন্দ্র লামা এবং বিলোক শর্মা

ছবিঃ কবি কেবলচন্দ্র লামা এবং বিলোক শর্মা

 

কবি কেবলচন্দ্র লামা, দার্জিলিঙ
অনুবাদ: বিলোক শর্মা (ডুয়ার্স, পশ্চিমবঙ্গ)

 

চিল উড়তে শেখাচ্ছে ছানাকে।
চিল শিকার করতে শেখাচ্ছে ছানাকে।

চিলের একটা গাছ রয়েছে।
চিলের একটা বাসা রয়েছে
চিলের একটা ছানা অর্থাৎ
একটা ভবিষ্যৎ রয়েছে।

বহু বছর পর
বহু দশক পর
বহু যুগের পর
ছানাটি কিশোর হয়েছে।

মায়ের শেখানো উড়ান ডানায় গেঁথে
চিল ওড়ার চেষ্টা করছে
সেই আদিকালকে ফেরৎ আনার জন্য।

কেমন ধূলিধূসর রাস্তা
রাস্তাজুড়ে কত পাথর
রাস্তার সামনে কাঁটার ঝোপ
আমি লাফিয়ে কিভাবে যাব ওপারে?
আমাকে সেখানে পৌছাতে হবে।
হে খরালাগা বাগান
আমি এই ধরিত্রীর
শেষ নদী।

সূর্য শীতল হয়ে গ্রহে পরিণত হওয়ার আগেই
চিলকে উড়িয়ে পৌছে দিতে হবে সেই বাগানে
এই অন্তিম নদীটিকে...                                       

 (কবিতা ‘মরনাপন্ন সময়কো পখেটা’-এর বঙ্গানুবাদ)

 

পরিচিতিঃ

 কেবলচন্দ্র লামা: দার্জিলিঙের কেবলচন্দ্র লামা ভারতীয় নেপালি সাহিত্যের অগ্রপঙ্ক্তির কবি সাহিত্যিক। পেশায় শিক্ষক কবি লামার এখন অবধি চারটি বই-'খন্ড-অখন্ড' (খন্ডকাব্য), 'কেবলয়' (কবিতা সংকলন), 'আঁখেঝরী' (কবিতা সংকলন), 'ঘর' (কবিতা-শৃঙ্খল) প্রকাশিত হয়েছে।  কবি লামা বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে পুরস্কৃত, তার মধ্যে 'যুগ পরিবোধ গিরী পুরস্কার', 'ভাইচন্দ স্মৃতি পুরস্কার',  'নন্দ-হরি-নগেন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার' অন্যতম।

 

বিলোক শর্মা: ভারতীয় নেপালি সাহিত্যে কবি ও অনুবাদক হিসেবে পরিচিত। শিক্ষায় বোটানীতে পোষ্ট-গ্র্য়াজুয়েট এবং কৃষি-আধিকারিক। একটি নেপালি কাব্যকৃতি 'সময়াভাস' প্রকাশিত রয়েছে। কবিতা লেখালেখির পাশাপাশি নিয়মিত নির্বাচিত নেপালি কবিতার বাংলায় অনুবাদ ও প্রকাশনা করেন। এছাড়া, এখন অবধি চারটি পত্রিকার সম্পাদনা করেছেন।

 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top