অস্ট্রেলিয়ায় ‘মাংসখেকো’ ঘা মহামারিতে রূপ নিয়েছে
প্রকাশিত:
২০ এপ্রিল ২০১৮ ০০:০৫
আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ১৮:৪৪

অস্ট্রেলিয়ায় ‘মাংসখেকো’ ঘায়ের প্রাদুর্ভাব দো দিয়েছে।এটা একধরনের চর্মরোগ, যা সচরাচর আফ্রিকায় হতে দেখা গেলেও সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন সে দেশের ডাক্তাররা। তারা এই ঘা নিয়ে গবেষণার আহ্বান জানিয়েছেন।
ঘাটির নাম হচ্ছে ‘বুরুলি আলসার’। এটা একধরনের চর্মরোগ, যা সচরাচর আফ্রিকায় হতে দেখা গেলেও সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতি বছর ৪০০ শতাংশ হারে এর প্রাদুর্ভাব বাড়ছে।
শুধু তা-ই নয়, বুরুলি আলসারের সংক্রমণ নতুন নতুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। গত এক বছরে ২৭৫ জন নতুন করে এই ঘায়ে আক্রান্ত হয়েছেন। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এলাকার এই চর্মরোগ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ায় কীভাবে এলো তা স্পষ্ট নয়। কীভাবে এ রোগ ছড়ায় এবং কীভাবে তা প্রতিরোধ করা যায়, তা ডাক্তারদেরও এখনো অজানা।
রোগটি সম্পর্কে অস্ট্রেলিয়ার মেডিকেল জার্নালে এক নিবন্ধে ড. ও’ব্রায়েন লিখেছেন, একধরনের ব্যাকটেরিয়া থেকে বুরুলি আলসার ছড়ায়, যার টক্সিন মানবদেহের ত্বক, রক্তবাহী নালি এবং মাংসপেশি ধ্বংস করে ফেলতে পারে। এটা বড় হতে হতে প্রত্যঙ্গের বিকৃতি বা প্রতিবন্ধিতা সৃষ্টি করতে পারে। সাধারণত হাতে বা পায়ে এই ঘা হয়। কিন্তু মুখে বা দেহের অন্য অংশেও হতে পারে।
ড. ও’ব্রায়েন বলেন, ‘এই রোগ কীভাবে ছড়ায় তা এখনো এক রহস্য হয়ে আছে। এ নিয়ে নানা রকম তত্ত্ব আছে। যার মধ্যে এই ব্যাকটেরিয়া ছড়ানোর মাধ্যম হিসেবে মশা, পোসুম নামে একধরনের পাখির বিষ্ঠার কথা বলা হয়। তবে আমাদের এ নিয়ে গবেষণার সময় নেই। কারণ এটা এখন আতঙ্কজনক মাত্রায় ছড়িয়ে পড়েছে।’
কয়েক বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে বুরুলি আলসারের সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছিল। তবে সাধারণত পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকা, নিউ গিনি, ল্যাটিন আমেরিকা এবং এশিয়ার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এলাকায় এ রোগ বেশি দেখা যায়।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: