সিডনী মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল ২০২৪, ১০ই বৈশাখ ১৪৩১

শান্তিময় পৃথিবী ও একটি বিশ্বরাষ্ট্রের প্রস্তাবনা : সাজিব চৌধুরী


প্রকাশিত:
২ জুন ২০২০ ২২:৪৬

আপডেট:
২ জুন ২০২০ ২২:৫৭

 

শান্তি জিনিসটা আপেক্ষিক একটা বিষয়। নিজের অন্তরে নিজেই শান্তি অনুভব না করলে পৃথিবীর কোন কিছুই মানুষকে শান্তি দিতে পারে না। মূলত, তৃপ্তি-ই শান্তি, শান্তি-ই তৃপ্তি। কেউ গড্ডালিকায় জীবন কাটিয়েও শান্তিতে নেই, আবার কেউ "নুন আনতে পান্তা ফুরোই" এমন অবস্থাতেও দারুণ শান্তিতে জীবনযাপন করে। তবে, পৃথিবীব্যাপি যে সামগ্রিক শান্তির কথা উচ্চারিত হয় সেটি ব্যাপক একটি বিষয়। "ক্ষুদার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়" কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতার উক্তিটি সর্বতোভাবে স্বীকার্য। মানুষের প্রাথমিক শান্তির উপলব্ধির প্রধান উপদান হলো তার খাদ্যগত চাহিদা পূরণ। খাদ্যের চাহিদা পূরণের পর মানুষের অন্যান্য মৌলিক চাহিদাগুলো তার মানসিক শান্তি আনায়নের  ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। তবে, মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণের পরও মানুষ যে শান্তিতে থাকে এমন নয়। মানুষ জন্মগতভাবে স্বাধীনচেতা। মানুষ সবসময় স্বাধীনতা চায়। একজন মানুষ পরিপূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন করতে পারলেই নিজেকে সফল ও সার্থক মানুষ ভাবতে শুরু করে। প্রকৃতপক্ষে, নিজেকে সফল ও সার্থক ভাবার মধ্যে মানুষের শান্তি লুকায়িত। তাহলে, পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের সর্বোচ্চ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারলেই, পৃথিবীকে মানুষের জন্য শান্তির আবাসে পরিণত করা সম্ভব, একইসাথে সর্বোচ্চ শান্তি নিশ্চিত করাও সম্ভব।

এখন দেখা যাক, স্বাধীনতা জিনিসটা কী।

স্বাধীনতা বলতে মানুষের বিভিন্ন ধরণের স্বাধীনতাকে বুঝানো হয়। যেমনঃ অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, সামাজিক স্বাধীনতা, রাজনৈতিক স্বাধীনতা, মুক্ত চিন্তার স্বাধীনতা, ধর্মপালনের স্বাধীনতা, মুক্ত বিচরণের স্বাধীনতা, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা, প্রকাশের স্বাধীনতা, বুদ্ধির স্বাধীনতা, জ্ঞান অর্জনের স্বাধীনতা,  আইনি স্বাধীনতা, নিরপত্তাজনিত স্বাধীনতা ইত্যাদি।

স্বাধীনতা শব্দটি দ্বারা চাহিদামত কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় সবকিছু প্রাপ্তিকে বুঝানো হয়। কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় অর্থ উপার্জন বা অর্থ প্রাপ্তির মধ্যে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিহিত। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে মানুষ তার যেকোন ধরণের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয় যদি রাষ্ট্র তা যোগানের ব্যবস্থা করে। মানুষ তার প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণের মাধ্যমে  প্রাথমিক প্রশান্তি খুঁজে পায়। মানুষ যখন অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করে, তখন সে তার অন্যান্য স্বাধীনতা খোঁজে। সে যখন ধীরে ধীরে অন্যান্য স্বাধীনতাগুলো খুঁজে পায়, তখন সে নিজেকে একজন পরিপূর্ণ সফল মানুষ ভাবে। এতেই সে শান্তির প্রশান্ত সাগরে অবগাহন করে। এই হলো মানুষের শান্তি অর্জনের কিছু প্রক্রিয়া।

পৃথিবীতে কেন আমরা প্রতিনিয়ত অশান্তির ঘোলাজল খাচ্ছি। নিশ্চয় আমরা আমাদের উল্লিখিত স্বাধীনতাগুলো কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পাচ্ছি না।

মানুষের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতাগুলো বাদ দিলে স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে যে সকল বাধা মানুষ প্রতিনিয়ত সম্মুখীন হচ্ছে, সেই বাধাগুলোকে অতিক্রম করতে পারলে মানুষ নিশ্চিতভাবে কাঙ্ক্ষিত শান্তি লাভ করতে সক্ষম হবে।

এখন কথা হলো, এ সকল বাধা বা প্রতিবন্ধকতা কীভাবে অতিক্রম করা সম্ভব।

মানুষের স্বাধীনতা বিষয়ে যাবতীয় প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম দুইভাবে বিশ্লেষণ করা যায়।

একটি হলো রাষ্ট্র ভিত্তিক উদ্যোগ গ্রহণ, আরেকটি হলো বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্রহণ।

রাষ্ট্র চাইলে দিনে দিনে মানুষের শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারে না। তবে, একটা দেশের জনগণের সব ধরণের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রের ভূমিকাই মূখ্য। আবার রাষ্ট্রের যে উপাদানগুলো আছে উপদানগুলোর মধ্যে সুসমন্বয়ের অভাব হলে রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রের জনগণ শান্তি অর্জনে ব্যর্থ হয়। সরকার রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি। একটি সুচারুভাবে সাজানো শক্তিশালী সরকার ব্যবস্থা একটি রাষ্ট্রের অন্যান্য উপদানগুলোকে সুসমন্বয় করতে সক্ষম। তার বিপরীতে, রাষ্ট্র হয়ে পড়ে অকার্যকর। একটি ত্রুটিযুক্ত সরকার ব্যবস্থা কখনও জনগণের জন্য উল্লিখিত স্বাধীনতা কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নিশ্চিত করতে পারে না। একটি  রাষ্ট্রের সরকার ব্যবস্থা যদি রাষ্ট্রের অন্যন্য উপদানগুলোকে সুরক্ষিত করতে না পারে, জনগণের কিছু চাহিদা পূরণ হওয়া সত্ত্বেও জনগণের প্রকৃত শান্তি অর্জিত হয় না। নিরাপদ স্বদেশ কে না চাই? নিরাপদ স্বদেশ গড়ে তুলতে উল্লিখিত স্বাধীনতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি জনগণের সচেতনতা খুবই জরুরী। দেশের জনগণকে সচেতন করতে সরকারের যেমন ভূমিকা আছে, একইভাবে সমাজের যারা অগ্রগামী মানুষ রয়েছেন, তাঁদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সমাজের অগ্রগামী ব্যক্তিবর্গ পিছিয়ে থাকা মানুষদেরকে সেই অর্থে সহযোগিতা করে না। তাঁরা তাঁদের উপর বর্তানো বিশাল দায়িত্ব কিঞ্চিতই পালন করে। অন্যদিকে, ধর্মীয় মতবাদগুলোকে একীভূত করতে না পারলে দেশের প্রত্যেক নাগরিক নিজ নিজ ধর্মীয় স্বাধীনতা কখনও ভোগ করতে পারবে না। বরং ধর্মীয় মারপ্যাঁচে পড়ে রাষ্ট্রগুলো বিভিন্ন সমস্যায় পতিত হবে। একটি রাষ্ট্রের জনগণের শান্তি নিশ্চিত করতে উদার ধর্মীয় চিন্তা-চেতনা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আমি আমার একটা প্রবন্ধে বলেছিলাম, রাষ্ট্রের জন্য রাষ্ট্রধর্ম হওয়া উচিত আস্তিক্যবাদ এবং আস্তিক্যবাদের ভিত্তিত্তে সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা উচিত।

একটা দেশে হাজার পেশার মানুষ, হাজার চিন্তার মানুষ, নানান সংস্কৃতির মানুষ একসাথে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে থাকতে পারলে, কেনইবা একাধিক ধর্মের মানুষ আস্তিক্যবাদে বিশ্বাসী হওয়া সত্ত্বেও এক সমাজভূক্ত হয়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে না?  আমি মনে করি, শুধুমাত্র সরকার উদ্যোগ নিলে একসময় দেশের জনগণ মেনে নিতে বাধ্য। একইসাথে বিষটি নিয়ে সমাজের সচেতন, শিক্ষিত ও অগ্রগামী মানুষদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা একটা দেশের মধ্যে দেখি, বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংগঠন। আবার কয়েকটি ধর্মীয় গোষ্ঠী নিয়েও সংগঠন লক্ষ করা যায়। কেন এতো ধর্মীয় গোষ্ঠী ভিত্তিক সংগঠন হবে? এই ধরণের সংগঠন যদি প্রয়োজনই হয়, তবে মৌলিক চেতনাসমৃদ্ধ আস্তিক্যবাদ কেন্দ্রিক সর্বধর্ম সমন্বিত ধর্মীয় সংগঠন হওয়া কি বাঞ্ছনীয় নয়? সর্বক্ষেত্রে বিভাজন নীতি ত্যাগ করে একীভূতকরণের নীতি গ্রহণ না করলে সংঘাত, হানাহানি,  বৈষম্য সমাজ থেকে কখনো বিতাড়িত হবে না। আমি বলছি না, হাজার হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত ধর্মগুলো উঠে যাক। বরং ধর্মগুলোই আমাদের সমাজের শৃঙ্খলাকে ধরে রেখেছে। তবে, আমি সর্বত্র একতার কথা বলছি, ধর্মগুলোকে এক ছায়াতলে এনে সমন্বয়ের কথা বলছি। সমাজের সর্বস্তরে সাম্য,  সৌহার্দ্য, উদার চেতনা প্রতিষ্ঠিত না হলে সামগ্রিকভাবে শান্তি অর্জন কোনভাবেই সম্ভব নয়।

অতএব, রাষ্ট্রীক, সামাজিক ও ব্যক্তিক চেতনার পরিবর্তনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধর্মীয়মূল্যবোধকে একীভূত করে একমুখী চেতনা জাগ্রত করতে পারলে নিশ্চিতভাবে সমাজে শান্তি ফিরে আসতে বাধ্য। তবে, দায়িত্ব নিতে হবে রাষ্ট্র বা সরকারকে।

এখন দেখা যাক, বৈশ্বিক উদ্যোগের মাধ্যমে বিশ্বশান্তি কীভাবে প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে।

আকাশ সংস্কৃতির যুগে এক দেশ কেন্দ্রিক চিন্তা-চেতনা দ্বারা কখনও স্বদেশ শান্তি কিংবা বৈশ্বিক শান্তি ভাবা যায় না। বর্তমানে এক দেশ অন্য দেশের উপর নির্ভরশীল। এক দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ অন্যদেশকে প্রভাবিত করছে। এ অবস্থায় বিশ্বের সামগ্রিক শান্তি নিশ্চিত করতে না পারলে রাষ্ট্রিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। বিশ্বের অধিকাংশ চিন্তাবিদগণ জানেন কীভাবে বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। এই বিষয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব ঝুলে আছে বহু আগে থেকেই। তবে, এই বিষয়ে বিশ্বনেতৃবৃন্দ একযোগে কাজ না করলে কখনও আশা আলো দেখবে বলে মনে হয় না। জাতিসংঘ যে লক্ষ্যে গঠিত হয়েছিল তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলেও বিশ্ব অনেকটা শান্তির আলো দেখতে পেতো। বিশ্বনেতৃবৃন্দকে ভাবতে হবে, আমরা একই পৃথিবীর বাসিন্দা। পৃথিবীকে মাতৃজ্ঞানে ভাবতে হবে। পৃথিবীকে যদি মাতৃজ্ঞানে ভেবে থাকি তাহলে পুরো পৃথিবীর মানুষ পরস্পর ভাতৃপ্রতিম। আমার এক ভাই খাবে না, অন্যদিকে আমি বিলাসীতায় জীবন কাটাবো তা কখনও ভাবা যায় না। বিশ্বনেতৃবৃন্দকে অনুভব করতে হবে আমরা একই মায়ের সন্তান। অনুভব করতে হবে, আমরা একই আকাশছাদে বাস করি। তাহলে কি আমরা ভাবতে পারি না একটা সম্মিলিত বিশ্বরাষ্ট্র ব্যবস্থার কথা? বিশ্বরাষ্ট্রের প্রধান ক্ষমতাধর ব্যক্তিকে আমরা বিশ্বরাজ বলতে পারি। বিশ্বরাষ্ট্র কর্তৃক পরিচালিত হবে পৃথক পৃথক রাষ্ট্রসমূহ।

বর্তমান রাষ্ট্রসমূহের আলাদা চলমান সরকার ব্যবস্থা অক্ষুণ্ণ থাকবে অথবা চালু করতে হবে বিশ্বরাষ্ট্র কর্তৃক নির্ধারিত সরকার ব্যবস্থা। পুরো বিশ্বের দায়িত্ব নিবে বিশ্বরাষ্ট্র। বিশ্বের রাষ্ট্রসমূহ বিশ্বরাষ্ট্রসংসদ কর্তৃক আরোপিত সংবিধান পালন করতে বাধ্য থাকবে। বিশ্বরাষ্ট্রসংসদের সদস্য হবেন রাষ্ট্রপ্রধানগণ। সংসদীয় গণতন্ত্রে পরিচালিত হবে প্রস্তাবিত বিশ্বরাষ্ট্র।

জাতিসংঘ যদিও তার আদলে গঠিত, জাতিসংঘের অনেকগুলো সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এছাড়া, জাতিসংঘের আদেশ অমান্য করলে তেমন কিছু হয় বলে আমার মনে হয় না, হয়তো কিছু সাহায্য সহযোগিতা বঞ্চিত হতে পারে। তাও আবার যতো নিয়মকানুন গরীব রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বিশ্বরাষ্ট্রব্যবস্থার কাঠামো এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে বিশ্বের সকল রাষ্ট্র বিশ্বরাষ্ট্রের কথা শুনতে বাধ্য হয়। "এক বিশ্ব, এক রাষ্ট্র" নীতিকে সামনে রেখে যদি বিশ্বরাষ্ট্র ব্যবস্থা চালু করা যায়,  তাহলে বিশ্বের সকল রাষ্ট্র সমানভাবে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেতো। হয়তো উন্নত বিশ্ব ভাবতে পারে কেন আমরা অনুন্নত রাষ্ট্রসমূহের বোঝা মাথায় নেব। আমি বলছি না, রাতারাতি উন্নত বিশ্বের সম্পদ এনে অনুন্নত বিশ্বেকে উন্নত করে দিতে হবে। তবে, বিশ্বরাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলে, ধাপে ধাপে অনুন্নত রাষ্ট্রগুলোতে শিল্পায়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনের মতো বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করলে রাষ্ট্রগুলো উন্নয়নের সমতায় ফিরতে বাধ্য। তখন বিশ্বরাষ্ট্রই ভাববে কীভাবে সমগ্র বিশ্বকে উন্নত করা যায়। পৃথক পৃথক রাষ্ট্র ব্যবস্থার কারণে কেউ কারও কথা শুনতে বাধ্য হচ্ছে না। আমাদের এখন সময় এসেছে মহাবিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতা করার। সেক্ষেত্রে আমরা যদি আন্তঃপৃথিবী সমস্যা নিয়ে বসে থাকি, তাহলে এমনও হতে পারে মহাবিশ্বের অন্যকোন প্রাণী আমাদের এই পৃথিবীকে দখল করে মানুষকে দাসত্বে পরিণত করবে। যেখানে পুরো পৃথিবী একটি নেটওয়ার্কের মধ্যে অবস্থান করছে, সেক্ষেত্রে পুরো বিশ্বকে একটি বিশ্বরাষ্ট্রে ভাবাটা মোটেও অমূলক ধারণা নয়। বিশ্বরাষ্ট্রব্যবস্থাই পারে সারা বিশ্বের মানুষের জন্য  উল্লিখিত স্বাধীনতাগুলো নিশ্চিত করতে। একইসাথে,  বিজ্ঞানীগণ জলবায়ু পরিবর্তনসহ  বৈশ্বিক যে সমস্যাগুলো সনাক্ত করেছেন, সেই সমস্যাগুলোকে দ্রুত সমাধান দেওয়া সম্ভব হবে। বিশ্বরাষ্ট্র কর্তৃক সারা বিশ্বের জ্ঞানগুলোকে সংকলন করার মাধ্যমে সকল রাষ্ট্রের শক্তিকে কেন্দ্রীভূত করে বিশ্বমহাপরিকল্পনার আলোকে নানান গবেষণাধর্মী কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে বিশ্বকে ভাবা যেতে পারে মানুষের জন্য একটি আদর্শ শান্তির আবাসভূমি।

 

সাজিব চৌধুরী
কবি ও প্রাবন্ধিক

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top