সিডনী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১

ভারতে কি আল-কায়েদা তাদের সংগঠন বৃদ্ধি করছে? : শিবব্রত গুহ


প্রকাশিত:
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২১:৪৪

আপডেট:
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২২:২৭

ছবিঃ শিবব্রত গুহ

 

আল - কায়েদার নাম আমরা সবাই কমবেশি জানি। এক ভয়ংকর আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। এর নিষ্ঠুরতার কাহিনী শুনলে মনে লাগে ভয়। সেই আল - কায়েদা, এবার, ভারতের রাজধানী দিল্লি সহ, মুম্বাই, কোলকাতা ও বিভিন্ন বড় শহরে সন্ত্রাসবাদী হামলার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু, এই পরিকল্পনা যায় ভেস্তে।
এর পুরো কৃতিত্ব দিতেই হবে এনআইএকে। এনআইএ - এর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন,

“পশ্চিমবঙ্গ ও কেরলকে, বেস বানিয়ে, আল - কায়েদার, একটি আন্তঃরাজ্য মডিউল কাজ শুরু করেছে। এরা পাকিস্তানের মদতপুষ্ট। দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নাশকতার ছক কষা হয়েছিল। আমাদের দিল্লি ইউনিট ১১ সেপ্টেম্বর একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছিল। ৯ জনের গ্রেপ্তারি তারই অংশ।“

 

কি ভয়ংকর তথ্য! ভাবলেই গা - হাত - পা হিম হয়ে যায়।

গত ১৯শে সেপ্টেম্বর, শনিবার সাতসকালেই, এনআইএর হাতে ধরা পড়ে গেল মোট ৯ জন সন্দেহভাজন জঙ্গি। এরা কিন্তু সবাই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। এযে সত্যিই অবাক করার মতো তথ্য! এও কি সম্ভব! হ্যাঁ, হ্যাঁ, এ সবই সম্ভব। এযে চরম বাস্তব, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যারা ধরা পড়েছে, তাদের মধ্যে তিনজনকে ধরা হয়েছে, কেরলের এর্নাকুলাম থেকে। তাদের নাম হল - ১. মুর্শিদ হাসান। ২. ইয়াকুব বিশ্বাস।
৩. মোশারফ হোসেন। আর বাদবাকি ছয় জনকে ধরা হয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের ডোমকল থেকে।
এবার, এদের নামগুলো একে একে বলছিঃ

১. নাজমুস শাকিব। ২. আবু সুফিয়ান। ৩. মইনুল মন্ডল। ৪. লিউ ইয়ান আহমেদ। ৫. আল - মামুন কামাল।
৬. আতিউর রেহমান।

এবার, এদের সবার পরিচয় আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। নাজমুস শাকিব হল গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা। সে আবার কম্পিউটার সায়েন্সের দ্বিতীয় সেমেস্টারের ছাত্র। আতিউর রেহমানের বাড়ি আবার জলঙ্গির ঘোষপাড়ায়। সে বিএ পড়ছে। আল - মামুন কামাল থাকে নওদাপাড়ায়। মইনুল মন্ডল জলঙ্গিতে বাড়ি। এরা দুজন পেশায় রাজমিস্ত্রী। এরা কিন্তু, কেরলে কাজ করতো। লকডাউনে, এরা কেরল থেকে ফিরে এসেছিল।
আবু সুফিয়ান কাজ করত দর্জির। লিউ ইয়ান আহমেদ, এক বেসরকারি কলেজে ইলেক্ট্রিশিয়ান পদে কাজ করতো। কেরল থেকে গ্রেপ্তার হওয়া, রানিনগরের বাসিন্দা, মুর্শিদ হাসান একজন রাজমিস্ত্রী। এই মুর্শিদই, আল - কায়েদার এই আন্তঃরাজ্য, মডিউলের মূল পান্ডা বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এরা সবাই সন্ত্রাসবাদ মূলক কার্যকলাপের সাথ পুরোপুরি সংযুক্ত। এদের বাড়ি থেকে যা যা, উদ্ধার হয়েছে, শুনলে আপনারা অবাক হয়ে যাবেন! দেশি আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক তৈরির সামগ্রী, ডিটোনেটর, ল্যাপটপ সহ ডিজিটাল ডিভাইস, ধারালো অস্ত্র, দেশীয় কায়দায় তৈরি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, আইইডি তৈরির ফর্মুলা এবং নানা রকমের জেহাদি নথিপত্র। এই ৯ জনের নামেই মামলা করা হয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহিতার। দিল্লিতে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে এনআইএর তরফ থেকে।
এনআইএ দাবি করেছে, এই আন্তঃরাজ্য মডিউলের কাজ চলে, কেরল, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, বেঙ্গালুরু ও অসমে। এর পিছনে কে আছে জানেন? এর পেছনে রয়েছে আমাদের প্রতিবেশী শত্রু দেশ পাকিস্তান। যে দেশ সারা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র নামে পরিচিত। যারা সন্ত্রাসবাদকে সযত্নে লালন পালন
করে থাকে। ঘৃণ্য এদের মানসিকতা। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী, গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদতে চলে সন্ত্রাসবাদীদের মদত দেওয়া।
ধরা পড়া ৯ জনের সাথেই প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখতো পাকিস্তান। তাদের সাথে নিয়মিত কথা হত পাকিস্তানের শীর্ষ নেতৃত্বের। এর মাধ্যম ছিল প্রধানত ভিওআইপি কল। যার পুরো নাম হল ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল। এর ব্যবহার করা হত টর বা ওনিয়ন রাউটারে। অর্থাৎ সেই কুখ্যাত ডার্ক ওয়েবে। এই প্রসঙ্গে জানা যায়, আমাদের আরেক প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র বাংলাদেশে, সেনা অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করে অপসারিত হওয়া "মেজর জিয়া" এখন আল – কায়েদার এক বড় পোস্টে আছে।
আল - কায়েদা ভারতে তার সংগঠন বাড়ানোর জন্য, আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে। তার জন্য, তারা গ্রহণ করেছে নানা পরিকল্পনা। তার মধ্যে একটি হল আল - কায়েদার সদস্য সংগ্রহ অভিযান। যত বেশি সদস্য আল - কায়েদা ভারতে সংগ্রহ করতে পারবে, ততই তাদের সংগঠন এই দেশে মজবুত হয়ে উঠবে। এমনিতেই, এখন সারা ভারত জুড়ে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ চলছে। ভারত সরকার এখন সারা দেশে করোনার প্রকোপ ঠেকানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে।
আল - কায়েদা এই সুযোগটা ভালোভাবে নেয়। তারা দ্রুত মুর্শিদাবাদ, মালদা সীমান্তে, তাদের সংগঠনের সদস্য সংগ্রহ অভিযান জোরকদমে শুরু করে দেয়। কারণ, সদস্য ছাড়া সংগঠন বৃদ্ধি অসম্ভব ব্যাপার। এই নতুন সদস্যদের প্রায় সকলেই কাজ করে রাজমিস্ত্রির। কেরলে কাজ করতে যাওয়া ছেলেদের আল - কায়েদাতে টেনে নিত সুদক্ষভাবে মুর্শিদ। এই ব্যাপারে, কাশ্মীরে কাজ করতে যাওয়া রাজমিস্ত্রীদের সদস্য হিসেবে নেওয়া হয়েছে। কাশ্মীরে পাথর ছোঁড়া সহ অন্যান্য নানা নাশকতার কাজে ভিড়েছে এখানকার যুবকেরা।
এবার বলি, মুর্শিদের কথা। এর জীবন কাহিনী শুনলে অবাক হয়ে যেতে হয়। এযে সিনেমার উত্তেজনাকেও হার মানিয়ে দেয়! একজন সাধারণ রাজমিস্ত্রী থেকে সে হয়ে উঠলো এক জঙ্গি মডিউলের মাথা। দুই বছর আগে, এসটিএফ, চার জন আল - কায়েদা জঙ্গিকে ধরেছিল। তারা জানায় মুর্শিদের নাম। এই মুর্শিদ রাজমিস্ত্রির কাজ করতে ২০১৩ - ১৪ সালে কেরলে গিয়েছিল। সেইখানে, তার সাথে যোগাযোগ হয়েছিল আল - কায়েদার এক বাংলাদেশি হ্যান্ডেলারের। এই হ্যান্ডেলারের মাধ্যমেই, মুর্শিদের আগমন ঘটে যায়
আল - কায়েদাতে। ধীরে ধীরে আল - কায়েদাতে তার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। তার সাথে সাক্ষাৎ হয়েছিল পাকিস্তানে আল – কায়েদার সেকেন্ড ইন কমান্ডের। তাদের মধ্যে প্রায়শই কথাবার্তা চলতো।
আল - কায়েদার আস্থালাভ করে ফেলে, সে, কেরল থেকে দুবাই, সেখান থেকে পাকিস্তানে চলে যায়। পাকিস্তানে গিয়ে তার বিশেষ ট্রেনিং হয় জঙ্গি শিবিরে। সেখানে সে নানারকমের ট্রেনিং নেয়। তার মধ্যে বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণ অন্যতম। তাকে আল - কায়েদা থেকে ভারতে আল - কায়েদার সংগঠন চাঙ্গা করার বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেইমতো, কাজে নেমে পড়ে সে। এরপরে, ভারতে ফিরে, সে শুরু করে দেয় "ডোমকল মডিউল "। মুর্শিদ একজন প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তি। সে জানে, যে কিভাবে সংগঠনকে মজবুত করতে হয়, তাই সে, যুবকদের মগজধোলাই করে তাদের সন্ত্রাসবাদী বানিয়ে ফেলে, ভারতে আল - কায়েদার সংগঠন মজবুত করতে শুরু করে দেয়। সে মাদ্রাসায় পড়তে আসা ছেলে - মেয়েদের টার্গেট করতো। জলঙ্গি, শেখপাড়া, ইসলামপুর, করিমপুর, সাগরপাড়া, ডোমকলে ছড়িয়ে পড়ে, তার মডিউলের নেটওয়ার্ক।
মুর্শিদাবাদে, সে বিস্ফোরক তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছিল। কেরলে বসে, সে মুর্শিদাবাদের সব খবরাখবর রাখতো। এবার আল - কায়েদা সম্বন্ধে কিছু কথা বলি। এই আল - কায়েদার সাথে কুখ্যাত আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ওসামা বিন লাদেনের নাম পুরোপুরি জড়িত। লাদেন এক অদ্ভুত কাজ করেছিল। সে সন্ত্রাসবাদের বিশ্বায়ন ঘটিয়েছিল। এ কথা শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এ বাস্তব সত্য।
লাদেন আল- কায়েদার ছাতার তলায় সারা বিশ্বের প্রায় সব কুখ্যাত আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোকে এনেছিল। লাদেনের আল - কায়েদা, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে, আঘাত করে তাকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। এযে আমেরিকার বুকে চরম আঘাত! বিশ্ববাসী হয়ে পড়েছিল বিস্মিত।
লাদেনের মৃত্যুর পরে আল - কায়েদার দায়িত্ব নিয়েছিল আয়মান আল - জাওয়াহিরি। তবে, এই নিয়ে, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছে। শুরু হয়ে গেছে তোপ ও পাল্টা তোপ দাগা। এই রাজ্যে, বারংবার, শাসক দলের মদতে, ভারত বিরোধী জঙ্গি সংগঠনগুলি দিব্যি ঘাঁটি গেড়ে বসার সাহস পাচ্ছে, বলে অভিযোগ করা হয়েছে রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে। তবে, শাসক দল এই সব অভিযোগকে নস্যাৎ করে দিয়েছে।
কংগ্রেস আবার, এই ব্যাপারে, রাজ্য পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনীর ব্যর্থতাকে বড় করে দেখাচ্ছে। তারা এই ব্যাপারে, বিজেপিকে অহেতুক রাজনীতি করতে বারণ করেছে তারা । এই প্রসঙ্গে, রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে । তিনি বলেছেন, "পশ্চিমবঙ্গ দীর্ঘ দিন ধরেই, জঙ্গিদের আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। এবারেও তা প্রমাণিত হয়েছে।"
তৃণমূলের মুখপাত্র সাংসদ সৌগত রায় বলেন,

"বিজেপি এই গ্রেপ্তারি নিয়ে অহেতুক রাজনীতি করছে। এনআইএ, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, দিল্লি থেকেও বহু পাকপন্থী জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে। তৃণমূল বা রাজ্য সরকার কখনও দেশবিরোধী শক্তিকে মদত করেনা। যখন যেমন খবর পেয়েছে রাজ্যের গোয়েন্দারা তখনই পদক্ষেপ করেছে।"

এই সম্বন্ধে, রাজ্যের আইন - শৃঙ্খলা নিয়ে, ফের সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি তোপ দেগেছেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি, রাজ্য ও পুলিশ প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে, তিনি তিনটি টুইট করেন। টুইটে তিনি লিখেছেন, বেআইনি বোমা তৈরির কারখানা হয়ে উঠেছে রাজ্য। এতে গণতন্ত্র
বিপন্ন হতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পুলিশ উভয়েই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে আটকাতে ব্যস্ত। পুলিশ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার এই অবনতির দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না।
আরেকটি টুইটে পুলিশের সাধারণ কর্মীদের কাজের প্রশংসা করে, ধনকড় লিখেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে, পুলিশ যেভাবে কাজ করেছে, তা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। কিন্তু, তারাই যখন রাজনৈতিকভাবে, পরিচালিত হন, তখন তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন।
রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে বিঁধে, রাজ্যপাল, টুইটে লিখেছেন, বাস্তব পরিস্থিতি থেকে রাজ্যের ডিজিপি বহু দূরে রয়েছেন। তা দেখে চিন্তা বাড়ছে। এই মনোভাব খুবই উদ্বেগজনক। ডিজি বীরেন্দ্র জানিয়েছেন, আইনের পথেই রাজ্য পুলিশ কাজ করছে। কোনও পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হচ্ছে না। বেআইনীভাবে কারও সাথে বৈষম্য করা হচ্ছে না।
এনআইএ জানিয়েছে, পাকিস্তান থেকে, আল কায়েদার যে শাখাটি, পরিচালনা করা হয়, তাদের সাথে, এই ৯ জনের যোগাযোগ ছিল সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা অন্য অনলাইনের মাধ্যমে। সেখান থেকে তারা অনুপ্রাণিত হত। তবে তারা কাজ করছিল নিজস্ব নিয়ম মেনেই এবং নিজেদের মতো করে। এরা নিজেরাই, বিস্ফোরক, অস্ত্র, নেটওয়ার্ক তৈরি করে সেগুলো দিয়ে, নানা জায়গায় বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করছিল। কি ভয়ংকর ব্যাপার!
তবে এইসব ঘটনায় হতভম্ব হয়ে গেছে ডোমকলের সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। তারা তো সবাই অবাক হয়ে গেছে। এসব কি ঘটলো? চেনা ছেলেরা সব জঙ্গি! এটা তারা ভাবতেই পারছেন না।

কিন্তু, যেটা সত্যি, তাকে অস্বীকার করবে কে? এক্ষেত্রে, বিরাট ধন্যবাদ প্রাপ্য এনআইএ - এর। তারা দেশবাসীকে এক বিরাট বিপদের হাত থেকে বাঁচিয়েছে। নইলে কি যে হত কে জানে? এবার এখানে কিছু প্রশ্ন উঠে আসছে। এবার আমি, একে একে সেই সব প্রশ্নগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরছি:

১. এই ৯ জনের সাথে কাদের কাদের যোগাযোগ রয়েছে?
২. এদের বাকি সঙ্গী সাথীরা কোথায় কোথায় লুকিয়ে রয়েছে?
৩. এদের সঙ্গী সাথীদের আগামী পরিকল্পনা কি আছে?
৪. এরা কতজনকে মগজধোলাই করে সন্ত্রাসবাদী বানিয়েছে?
৫. এরা কি পাকিস্তান থেকে সাহায্য পেত?
৬. যদি এরা পাকিস্তান থেকে সাহায্য পেত, তবে তাদের কারা সাহায্য করতো?
৭. সেই সাহায্য কি পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই করতো?
৮. নাকি পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সাহায্য করতো এদের?
৯. এদের প্রশিক্ষণ পাকিস্তানের কোথায় কোথায় হয়েছিল?
১০. সেটা কোন কোন জঙ্গি শিবিরে?
১১. সেই শিবিরে আল - কায়েদার কোন কোন বড় জঙ্গি নেতারা উপস্থিত ছিলেন?
১২. এরা কোথা থেকে অস্ত্র, বিস্ফোরক জোগাড় করতো?
১৩. সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালিয়ে নিয়ে যাবার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। এই অর্থের যোগান এদের কারা জোগাত?
১৪. ঘরের শত্রু বিভীষণ, ভারতের কোন লোক তাদের সাহায্য করতো কি?
১৫. যদি করে থাকে, তারা কারা?
১৬. তারা থাকে কোথায়?
১৭. আল - কায়েদার স্লিপার সেল কি তারা গড়ে তুলেছে ভারতে?
১৮. করলে সেটা কোথায় কোথায়?
১৯. এদের কি আল - কায়েদার ফিঁদায়ে বাহিনী বা সুইসাইড বোম্বার বা আত্মঘাতী বাহিনী গড়ে তোলার পরিকল্পনা ছিল?
২০. ভারতে এরা এদের নতুন রিক্রুট করা সদস্যদের জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিত কি?
২১. দিলে কিভাবে দিত? কোথায় দিত?
২২. তবে, ভারতে কি আল - কায়েদা ঘাঁটি গাড়ছে? গাড়ছে কি? গাড়ছে কি?


(তথ্য সংগৃহীত)

শিবব্রত গুহ
কলকাতা

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top