সিডনী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১

চৈত্র-বৈশাখে আদিবাসী লোকজ উৎসব 


প্রকাশিত:
১২ এপ্রিল ২০১৯ ১৩:৩৬

আপডেট:
১০ এপ্রিল ২০২০ ২৩:৫২

মারমাদের জলকেলি

পাকা রাস্তার ঠিক ডানদিকে ঠমনিয়া শালবনটি। দূর থেকে তা দেখিয়ে দেয় এক লোক। চৈত্র মাস। তাই গোটা শালবন সেজেছে নতুন সাজে। গাছে গাছে সবুজাভ কঁচি পাতা। ডালে ডালে ফুটেছে সাদা শালফুল। 

এক সময় এই শালবনের বিস্তৃতি ছিল গোটা এলাকায়। তখন নানা ভাষাভাষী আদিবাসীরা বসতি গড়ে তুলেছিল শালবনকে কেন্দ্র করেই। শিকার থেকে শুরু করে নানা কারণে শালবন আদিবাসীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সময়ের হাওয়ায় এখন বদলে গেছে অনেক কিছু। ঠমনিয়া শালবনটিও ছোট হয়ে এসেছে। কিন্ত তবুও আদিবাসী মানুষদের সঙ্গে এ শালবনের বন্ধুতা কমেনি এতটুকু।

ঠমনিয়া শালবনের পাশেই মহেশপুর গ্রামটি। একটি মেঠোপথ চলে গেছে শালবনের পাশ দিয়ে। খানিকটা পথ পেরোতেই আমরা পৌঁছে যাই মহেশপুরে। এ গ্রামেই আজ বাহাপরব উৎসব। জানা গেল প্রতি চৈত্রের শেষে এখানকার সাঁওতালরা আয়োজন করে এ অনুষ্ঠানটি। সাঁওতালদের ভাষায় ‘বাহা ’ মানে ‘ফুল ’ আর ‘পরব’ মানে ‘অনুষ্ঠান’ বা ‘উৎসব’। অনেকেই এটিকে বসন্ত উৎসবও বলে থাকে।

বসন্তে শাল, শিমুল, পলাশ, মহুয়া, চম্পা ফুল ফোটে চারদিকে। বিচিত্র সাজে সজ্জিত হয় প্রকৃতি।  কিন্তু বাহাপরবের আগে সাঁওতাল নারীরা সে ফুল উপভোগ করে না। শালফুলকে সাঁওতালরা বলে ‘সারজম বাহার’। বাহাপরবের অনুষ্ঠানে সাঁওতালরা শালফুলকে বরণ করে নেয় কিছু আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে। এর পরেই সাঁওতাল মেয়েরা খোঁপায় রং-বেরংয়ের ফুল পরতে পারে। 

যখন মহেশপুর পৌঁছি তখন মধ্য দুপুর। গ্রামের একেবারে শেষ প্রান্তে নির্জন জায়গায় চলছে বাহাপরবের  আনুষ্ঠানিকতা। গোত্রের প্রধান বা জগ মাঝি বাঠু সরেন। উপোস অবস্থায় তিনি পুজো দিচ্ছেন বোঙ্গার (দেবতা) সন্তষ্টি লাভের জন্য। উচ্চকন্ঠে পড়ছেন মন্ত্র-‘জোহার এবে খানদো, মরেকু তুরেকু,আলেয়া আতু নুতুমতে ...’।


সাঁওতালদের ঝুমুর নৃত্য

বাহাপরব উৎসবটি  তিন দিনের। প্রথমদিনের অনুষ্ঠানই প্রধান। এদিন পুজোর মাধ্যমে প্রথমে মুরগি বলি দেওয়া হয়। অতঃপর সাঁওতাল নারীরা শালফুলকে গ্রহণ করে নানা আনুষ্ঠানিকতায়। তারা খোঁপায় পড়ে শালসহ নানা রঙের ফুল। দল ঁেবধে নেচে-গেয়ে বরণ করে নেয় নতুন বসন্তকে। একই সঙ্গে সেদিনই বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিলি করা হয় শালফুল।

দ্বিতীয় দিনের আনুষ্ঠানিকতা কীভাবে হয়? প্রশ্ন শুনে বাঠু সরেন বলেন, ‘এদিন সাঁওতালরা একে অপরের গায়ে পানি ছিটানো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।’ এদের বিশ্বাস পানি ছিটানোর মধ্য দিয়ে পুরনো যত হিংসা,বিদ্বেষ, শত্রুতা আছে তা দূর হয়ে যায়। ফলে পরস্পরের সঙ্গে তৈরী হয় বন্ধুত্বের সেতুবন্ধন। বাহাপরবের তৃতীয় দিনটিতে চলে শুধুই নানা আনন্দ আয়োজন।

কথায় কথায় অনুষ্ঠানস্থলে আসেন গোত্রের প্রধান বা মহত পারগান সরেন। বাহাপরব উৎসব আয়োজনের উদ্দেশ্যের কথা জানতে চাইলে উত্তরে মিলে মুচকি হাসি। অতঃপর তিনি গম্ভীর কন্ঠে বলেন, ‘জাহেরএরা, গোসায়এরা, মরেকু, তুরইকু নামক দেবতা বা বোঙ্গার সন্তষ্টি লাভই উদ্দেশ্য।’

বিকেল হতেই আশপাশের সাঁওতালরা জড়ো হতে থাকে নানা সাজপোশাকে। গোত্রের মহতও ব্যস্ত হয়ে পড়েন নানা আচারে। বাঠু সরেন শালফুল সাজিয়ে বসেন। সব বয়সী আদিবাসীরা তাকে ভক্তি দেয়। অতঃপর বিশেষ ভঙ্গিতে তার কাছ থেকে একে একে গ্রহণ করে শালফুল। 

ফুল গ্রহণের পরেই শুরু হয় আনন্দ নৃত্য। পুরুষেরা বাজায় মাদল -ঢোল। তালে তালে ঝুমুর নৃত্যে ব্যস্ত হয় আদিবাসী নারীরা। গোত্রের সত্তরঊর্ধ্ব বৃদ্ধা রাতনী সরেন আর অপনমই হাজদাও যোগ দেন সে নৃত্যে। খোঁপায় শালসহ নানা রঙের ফুল ঝুলিয়ে, হাত ধরাধরি করে নাচেন সবাই। কন্ঠ আকাশে তুলে সাঁওতালরা গান ধরে ;

‘তোকয় কোকে চিয়ে লেদা বীর দিসাম দ:,

তোকয় কোকে টান্ডি লেদা বীর দিসাম দ:----’ 

(ভাবার্থ ঃ কে কে ওই জঙ্গলে গিয়েছিল, কে কে ওই জঙ্গলটা পরিস্কার করেছিলো.. )।

এক সময় বাহাপর উৎসবটি পালিত হতো ধুমধামের সঙ্গে। কয়েক গ্রামের সাঁওতালরা তখন এক হয়ে নানা আচার ও আনন্দ নৃত্য পরিবেশন করতো। দারিদ্র্য, অবহেলা, ভূমিকেন্দ্রিক দখল আর নির্যাতনের ফলে সাঁওতালদের বাহাপরব উৎসবও আজ পালিত হচ্ছে ঢিমেতালে। 

আবার পাহাড়ে চৈত্র-বৈশাখে আদিবাসীরা নানা উৎসব পালন করে থাকে। চাকমারা তাদের এ উৎসবকে বিজু, ত্রিপুরা বৈসুক, মারমারা সাংগ্রাইং, তংচঙ্গ্যারা বিষু, অহমিয়ারা বিহু বলে। মূলত ত্রিপুরাদের ‘বৈসুক’ উৎসব থেকে ‘বৈ’, মারমাদের ‘সাংগ্রাইং’ থেকে ‘সা’, আর চাকমাদের ‘বিজু’ উৎসব থেকে ‘বি’-এভাবে তিনটি নামের আদ্যক্ষর এক করে হয়েছে ‘বৈ-সা-বি’। এটি আলাদা কোন উৎসবের নাম নয়। এছাড়া অন্যান্যরাও নিজ নিজ নামে অভিহিত করে তাদের এই উৎসবকে।

চাকমাদের বিজু উৎসবে নৃত্য

পাহাড়িদের প্রাণের উৎসব 'বৈসাবি'। বৈসাবি আগমনে পাহাড়ি আদিবাসীরা গান ধরে- ‘তুরু তুরু তুরু রু- বাজি বাজাত্তে/পাড়ায় পাড়ায় বেরেবং বেক্কুন মিলিনে/এচ্যে বিজু, বিজু, বিজু....’( তুরু তুরু শব্দে বাঁশি বাজে, গ্রামে ঘুরে বেড়াব সবাই মিলে, আজ বিজু, আজ বিজু।)

ত্রিপুরাদের প্রধানতম উৎসব হলো বৈসুক। এটি পালিত হয় চৈত্র মাসের শেষের দুই দিন ও নববর্ষের প্রথম দিনটিতে। উৎসবের প্রথম দিন আদিরীতি মেনে ত্রিপুরা ছেলেমেয়েরা গাছ থেকে ফুল তোলে, ফুল দিয়ে ঘর সাজায় ও কাপড় ধুয়ে পরিষ্কার করে নেয়। অতঃপর ঝুঁড়িতে ধান নিয়ে মোরগ-মুরগিকে ছিটিয়ে দেয়। ওইদিন ভালো ও পরিস্কার কাপড়চোপড় পরে এরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়ায়। 

এ সময় ঘরে ঘরে বিচিত্র ধরণের পিঠা আর মদ ও অন্যান্য পানীয় পান করানো হয়। বৈসুক উৎসব শুরু হলে 'গরাইয়া' নৃত্যর দল বাড়ি বাড়ি গিয়ে নৃত্য পরিবশেন করে। এই নৃত্যকে ত্রিপুরারা গরাইয়া নৃত্য বা খেরেবাই নৃত্য বলে। এই লোকনৃত্যে ১৬ থেকে ৫০০ পর্যন্ত লোক অংশ নিতে পারে। ২২টি অসাধারণ মুদ্রা সৃষ্টি করা হয় এ নৃত্যে। নৃত্য দলের একজনের কাঁধে বাঁধা শূলে থাকে একটি খাদি। ঘরের উঠোনে এ শূলটি বসানো হলে, ওই ঘরের মালিককে গরাইয়া দেবতার পূজা দিতে হয়। 

নৃত্য শেষে প্রতিবাড়িতেই শিল্পীরা সুর করে ওই গৃহস্থকে আশীর্বাদ করে। তখন সবাইকে মদ, মুরগির বাচ্চা ও চাল তুলে দিতে হয়। এভাবে প্রত্যেক বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা সামগ্রী দিয়ে গরাইয়া দেবতার পূজা করে এ আদিবাসীরা। এদের আদিবাসী নিয়মে একবার কেউ গড়াইয়া নৃত্যে অংশ নিলে, সে তিন বছর পর্যন্ত আর এই নৃত্যে অংশ নিতে পারে না। এর ব্যর্তয় ঘটলে তাঁর অমঙ্গল এমনকি মুত্যুও হতে পারে বলে এরা বিশ্বাস করে। 

মারমাদের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান- ‘সাংগ্রাইং’। পৃথিবীতে সাংগ্রাং নামে এক দেবী মানুষের সৌভাগ্য আর কল্যাণ বয়ে নিয়ে আসেন। তাই স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে দেবীর পা রাখার ক্ষণটি থেকেই শুরু হয় এ উৎসব- এমনটিই বিশ^াস মারমাদের। ফলে যে ক’দিন দেবী পৃথিবীতে অবস্থান করবেন সে ক’দিনই তারা নানা আনুষ্ঠানিকতা পালন করে।

মারমাদের সাংগ্রাইং চলে তিনদিন। প্রথম দিনটিকে এরা বলে ‘পাইং ছোয়াইক’ অর্থ ‘ফুল তোলা’। এ দিন মারমা যুবতীরা নানা ধরনের পাহাড়ি সুগন্ধি ফুল সংগ্রহ করে। বুদ্ধপূজার রাত্রে সেসব ফুল সাজিয়ে দলবেঁধে সবাই বৌদ্ধবিহারে গমন করে। বুদ্ধমূর্তির বেদীতে ভক্তিসহকারে সেই ফুল রেখে তারা প্রার্থনা নিবেদন করে এবং নানা রংয়ের মোম ও ধূপকাঠি জ্বালিয়ে রাখে। যারা বিহারে যেতে না পারে তারাও নিজ গৃহে রাখা বুদ্ধমূর্তির সামনে ফুলের অর্ঘ্য, মোম ও ধূপকাঠি জ্বালিয়ে প্রণাম ও প্রার্থনা করে। ওইদিন বিকেলে বৌদ্ধমূর্তি নিয়ে সকলবয়সী মারমারা সারিবদ্ধভাবে গ্রাম প্রদক্ষিণ করে। ওই রাতে মারমা যুবক-যুবতীরা না ঘুমিয়ে গান-বাজনায় ব্যস্ত থাকে। এ সময় তারা নানা পদের ও হরেক রকমের পিঠা-পায়েস তৈরি করে।

উৎসবের দ্বিতীয় দিনটি দেবীর আগমন দিবস। তাই ভোর থেকে রাত অবধি ঘরে ঘরে চলে প্রবীণ পূজা। তৃতীয় দিনটি দেবীর নির্গমন দিবস। এদিন ভোরে এরা মঙ্গলাচরণ, অষ্টশীল গ্রহণ ও পি-দান, বিকেলে গোলাপ ও চন্দন মিশ্রিত জলে বুদ্ধ স্নান, সন্ধ্যায় প্রদীপ পূজা এবং রাতের আরতি দানের মধ্য দিয়ে উৎসবের সমাপ্তি ঘটায়। এ ছাড়া মারমা সমাজে রিলংবোয়ে বা জলকেলি অনুষ্ঠানের প্রচলন রয়েছে। এটি যুবক-যুবতীদের মধ্যে সামাজিক ঐক্য, সম্প্রীতি, প্রেম-ভালোবাসায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। এ সময় পানি নিয়ে কোন ঝগড়া বিবাদ করা যায় না। কৌনিক বা আড়াআড়িভাবে পানি নিক্ষেপ নিষেধ থাকে। অনুষ্ঠান চলাকালে কেউ কোন অশোভন, অশালীন বা অশ্লীল আচরণও করতে পারে না।

পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের মধ্যে সংখ্যার দিক থেকে বৃহৎ জনগোষ্ঠী হচ্ছে চাকমারা। বিজু উৎসবের সঙ্গে তাই দুলে ওঠে পুরো পার্বত্য চট্টগ্রাম। চাকমারা বিজু উৎসব পালন করে তিনদিন। বাংলা বর্ষের শেষ দিনটিকে এরা মূলবিজু, তার আগের দিনটিকে ফুলবিজু এবং নববর্ষের প্রথম দিনটিকে ‘গুজ্জেই পজ্জা’ দিন বলে। 

ফুল বিজুর দিনে ছেলেমেয়েরা খুব ভোরে উঠেই বিভিন্ন ধরণের ফুল তুলে নিজ নিজ বাড়িতে আনে। অতঃপর সেগুলো দিয়ে বুদ্ধপূজা, গৃহ দেবতার পূজা করে থাকে। এ সময় ঘরবাড়ি ও আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে ফুলে ফুলে বাড়ি-ঘর সাজানো হয়। গরু, মহিষ ইত্যাদির গলায়ও পরিয়ে দেওয়া হয় ফুলের মালা। এ দিনে সবাই একত্রিত হয়ে শিকারে বের হয়। কেউ কেউ মাছ ধরতে যায় নদীতে। মেয়েরা নানা তরিতরকারি সংগ্রহের জন্য বেরিয়ে পড়ে। বিকেলে গোয়ালঘরে, স্নান ঘাটে সুতালি বাতি বা মোম জ্বালিয়ে আলোকসজ্জা করা হয়। 

মূল বিজুর দিন চাকমারা খুব ভোরে দলে দলে নদী, পাহাড়ি ছড়া বা জলাশয়ে ফুল ভাসিয়ে দিয়ে পুরানো বছরের গ্লানি ভুলে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়। মেয়েরা স্নান সেরে ফুল বিজুর দিনে সংগ্রহ করা প্রায় ২০ রকমের শাকসবজি দিয়ে রান্না করে ‘পাঁচন’ নামক এক ধরণের ঐতিহ্যবাহী খাবার। এ সময় আগতদের নানা ধরণের খাদ্য ও প্রিয় পানীয় ‘জগরা’ বা ‘কাঞ্জি’ মদ দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।

তৃতীয় দিন বা নববর্ষের প্রথম দিন চাকমারা দলবেঁধে উপাসনালয়ে গিয়ে নতুন বছরের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে। যুবক-যুবতীরা মহানন্দে আকাশ প্রদীপ জ্বালায় এবং বাজি ফোটায়। মূল বিজুর দিনে নানা প্রকার পানীয় ও খাদ্যদ্রব্য খাওয়া হয়। তাই এর পরদিন বা নববর্ষের প্রথম দিনে চাকমরা বিশ্রাম নেয়। এ কারণেই এ দিনটিকে এরা ‘গুজ্জেই পজ্জা’র দিন অর্থাৎ শুয়ে থাকার দিন বলে। 

সম্প্রতি দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঘাইছড়ি ও বিলাইছড়িতে ঘটেছে হত্যাকা-ের ঘটনা। ফলে পাহাড়ে আদিবাসীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে আতন্ক। তাই বৈসাবি উৎসবে প্রয়োজন বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যার জন্য এগিয়ে আসতে হবে আদিবাসীসহ স্থানীয় প্রশাসনকেই। 

নববর্ষকে ঘিরে সমতল ও পাহাড়ে আদিবাসীদের নানা উৎসবগুলো পালিত হয়ে আসছে আবহমান কাল থেকেই। এই উৎসবেই ঘটে তাদের বৃহৎ সম্মিলন। যা তাদের দলবদ্ধতা ও একতার প্রতীকও। দারিদ্র আর নানা অবহেলার মাঝে এ উৎসবগুলোই তাদের টিকে থাকার মূল প্রেরণা। তাই আমরা চাই স্বাধীন এ দেশে সব জাতির উৎসবগুলো পালিত হোক নির্ভয়ে। 

ছবি: সালেক খোকন


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top