সিডনী মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ ২০২৪, ৫ই চৈত্র ১৪৩০

অখন্ড ভারতের প্রথম রূপকার শ্রীকৃষ্ণ : সৌম্য ঘোষ


প্রকাশিত:
১ মার্চ ২০২১ ২১:৩১

আপডেট:
১ মার্চ ২০২১ ২২:১১

 

ঐতিহাসিক ও গবেষকের দৃষ্টিতে মহাভারতে শ্রীকৃষ্ণ চরিত্র সম্ভবত সবচেয়ে বিতর্কিত। তাঁকে কেউ ভাবেন ভগবান, কেউ মানুষ, কেউ কূটনীতিবিদ হিসাবে। কেউ তাঁর বৃন্দাবন লীলার মাধুর্য চিন্তাতেই নিমগ্ন। অন্যমতে, শ্রীকৃষ্ণ অধ্যায় হল চরম কেচ্ছা-কেলেঙ্কারি অধ্যায়। তাই মনে হয়, ভারতবর্ষের শ্রীকৃষ্ণ হলেন একমাত্র চরিত্র, যিনি মানুষ হিসেবে নিন্দিত হয়েও 'কৃষ্ণস্তু ভগবান স্বয়ং' বলে চিরকাল পূজিত। সাহিত্য সম্রাট ঋষি বঙ্কিম চন্দ্রের ভাষায় ---- "ভারতবর্ষের অধিকাংশ হিন্দুর, বাংলাদেশের সকল হিন্দুর বিশ্বাস যে, শ্রীকৃষ্ণ ঈশ্বরের অবতার।"( বঙ্কিমচন্দ্রের 'কৃষ্ণচরিত্র', ৩য় ভাগ) ।

উত্তরপাড়ায় শ্রীঅরবিন্দের অভিভাষণের (১৯০৯)
মূল ইংরেজি বক্তব্য কিছু সংকলিত করছি:

--- “A day passed and a second day and a third, when a voice came to me from within, 'wait and see'.
--- "I was not only to understand intellectually but to realise what Shri Krishna demanded of Arjuna and what he demands of those who aspire to do His work, to be free from desire and repulsion and desire, to do work for Him without the demand for fruit....... Yet not to do His work negligently."
---" I (Krishna) in the nation and its uprising and I am Vasudeva, I am Narayana, and what I will, shall be, not what others will."

শ্রীকৃষ্ণের সর্বকালীন বাস্তবতা শ্রীঅরবিন্দের স্বকীয় বাচন শৈলীর মাধ্যমে উপস্থাপন করা উত্তম পন্থা বলে মনে হল। এই প্রসঙ্গে পড়ে জানলাম , কোন এক সময় মহামহোপাধ্যায় ড: গোপীনাথ কবিরাজ আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীলকে শ্রীঅরবিন্দের উক্তির সত্যতা বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন । উত্তরে আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ বলেছিলেন "আমার আবার মত কি? তিনি দর্শন পেয়েছেন বলেছেন, এতে অবিশ্বাস করার কী আছে। এ কিছু অসম্ভব ব্যাপার নয় ।" (Ref. মহা মনীষী মহামহোপাধ্যায় গোপীনাথ কবিরাজ ---- হেমেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী প্রণীত, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৮২)।

ইতিহাস থেকে আমরা জানি, বিভিন্ন সময়ে ভারতবর্ষের ওপর দিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদ, আঞ্চলিকতাবাদ, সাম্রাজ্যবাদ প্রভৃতি বিভেদকামী শক্তির আক্রমণ হয়েছিল। মহাভারতের যুগেও বিচ্ছিন্নতাবাদ ও আঞ্চলিকতাবাদ ওঠে চরমে। সেই সময় শ্রীকৃষ্ণকেই তা প্রতিহত করতে হয়েছিল। সেই যুগের কথা পর্যালোচনা করে শ্রীকৃষ্ণকে অখন্ড ভারতের প্রথম রূপকার হিসেবে ভাবা যেতে পারে।

সে সময় ছোট ছোট রাজা ও রাজ্য মাথাচাড়া দিয়ে উঠে ছিল। আর সেই বিচ্ছিন্নতাবাদের সুযোগ নিয়ে অন্যান্য সাম্রাজ্যবাদী শক্তিও তখন ভারতের বুকে নিরন্তর আঘাত হানতো। শ্রীকৃষ্ণই সর্বপ্রথম এইসব বিভেদকামী শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। শ্রীকৃষ্ণের পরামর্শে যুধিষ্ঠির যে 'অশ্বমেধ যজ্ঞ' করেছিলেন, তারও উদ্দেশ্য ছিল শতধা বিচ্ছিন্ন ভারতকে একত্রিত করা। একটি শক্তিশালী নেতৃত্বে ভারতের পক্ষে বৈদেশিক আক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে তিনি ভেবেছিলেন। সেইসব বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজাদের একই নেতৃত্বাধীনে আনা সেই সময় সহজসাধ্য ব্যাপার ছিল না। কারণ, শুধু জরাসন্ধ বা দূর্যোধনই নয়, বহু অন্যান্য দেশীয় রাজারাও তখন ভারতীয় ধর্ম ও সংস্কৃতিকে জলাঞ্জলি দিয়ে 'যুদ্ধংদেহী' হয়ে উঠেছিল। দেশীয় রাজাদের মধ্যে ঐক্যের অভাবের সুযোগ নিয়ে দুর্বল ভারতের উপর বৈদেশিক আক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে গিয়েছিল। এইসব বিদেশাগত দস্যুরা জলপথে এসে অতর্কিতে নগর লুণ্ঠন ও ছেলে চুরি করে পালাতো। এই ধরনের বৈদেশিক আক্রমণ এর ধাক্কায় খুবই ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়তো ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষেরা। এই সময় মুর জাতি ছিল খুবই অত্যাচারী। তাদের অত্যাচার এর আরেকটি উদ্দেশ্য ছিল ভারতের মাটি থেকে ধর্মের উচ্ছেদ। তারা বারংবার উত্তর-পূর্ব সীমান্ত দিয়ে ঢুকে ভারতবাসীর উপর অত্যাচার চালাত। একবার প্রাগজ্যোতিষপুরকে (বর্তমানে, আসাম) প্রায় দখল করে নিয়েছিল। শতধা বিচ্ছিন্ন ঐক্যহীন দেশীয় রাজাদের সাধ্য ছিল না এই দুর্ধর্ষ মুরজাতিকে ঠেকানো । শ্রীকৃষ্ণকে বারংবার এই আক্রমণ ঠেকাতে হয়েছে। ‌ শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং অমিত বিক্রমে যুদ্ধ করে সেই মুরদস্যু দমন করেন ।

বড় দুঃখের বিষয়, সেই অতুলনীয় নেতার শৌর্য-বীর্য, সংগঠন শক্তি, প্রখর রাজনৈতিক বোধ এবং সুতীক্ষ্ণ কূটনৈতিক বুদ্ধি প্রভৃতি এইসব তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের চোখে ততটা পড়ে না, যতটা চোখে পড়ে কবে তিনি কোথায় গোপীনীদের সঙ্গে লীলা করে মহাভারত অশুদ্ধ করে ফেলেছেন সেই সব। এমনই বিতর্কিত বিষয় নিয়ে তাদের আধুনিক গবেষণার যত আগ্রহ। সে সময়ে সবচেয়ে পরাক্রমশালী রাজা ছিলেন জরাসন্ধ।

সে সময় কোন দেশীয় রাজার সাধ্য ছিলনা জরাসন্ধকে ঠেকানো। এমনকি পাণ্ডবরা পর্যন্ত জরাসন্ধকে পরাজিত করার সাহস রাখতেন না।
জরাসন্ধ সংগঠন শক্তিতে ছিলেন তুখোড়। তার সংগঠন ক্ষমতায় তথাকথিত পারদ, দরদ, তুখার, তুঙ্গল, খশ, পল্লব, শক প্রভৃতি পার্বত্য জাতিরাও তার সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছিল।‌ সেই দুর্ধর্ষ সেনাবাহিনীর সাহায্যে জরাসন্ধ এতই ক্ষমতা মত্ত অত্যাচারী ও ধর্মদ্রোহী হয়ে উঠেছিলেন যে, একসময় তার ইচ্ছা হয় তার সমস্ত বিরোধী রাজাদের বন্দি করে এনে বলি দেওয়ার। এতটাই হিতাহিত জ্ঞানশূন্য ও ক্ষমতামত্ত হয়ে উঠেছিলেন জরাসন্ধ। শ্রীকৃষ্ণ যদি জরাসন্ধকে ভীমের দ্বারা বধ না করতেন তবে ভারতে সেই সময় জরাসন্ধ একচ্ছত্র অধিপতি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল বেশি। সেই অবস্থায় জরাসন্ধ ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে যে কোন পর্যায়ে নামিয়ে আনতেন তা ভাবলেই শংকিত হতে হয়।

এই প্রবন্ধের পৌরাণিক বিষয়বস্তুর প্রেক্ষাপটে আধুনিক ভারতের সামাজিক ও রাজনৈতিক ডামাডোলের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমান ভারতে দেশজুড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদ, আঞ্চলিকতাবাদ ,পরধর্মমতের প্রতি অসহিষ্ণুতা, অসন্তোষ প্রভৃতি নিয়ে নিত্য সংঘর্ষে ভারতের জাতীয় সংহতি ও ঐক্য আজ টলায়মান। এর মূল কারণ মনে হয়, ভারতবর্ষে এখন সুযোগ্য নেতা ও নেতৃত্বের একান্ত অভাব। বর্তমান ভারত বর্ষ এবং তার বিভিন্ন রাজ্যগুলি এই মুহূর্তে অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে। রাজধর্ম নির্বাসিত হয়েছে। অরাজকতা , ধর্মহীনতা দেশকে বিশৃঙ্খলা দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এই গহন আধার নিবিড়তর হচ্ছে। এর মূল কারণ হচ্ছে, 'রাজর্ষি নেতৃত্বে'র অভাব অর্থাৎ 'ভারতপুরুষ'কে অবশ্যই রাজর্ষি হতে হবে ------- একাধারে রাজা এবং ঋষি।

সনাতন ভারতের সমাজ ও ধর্ম-সংস্কৃতিকে রাজর্ষি পরম্পরা নেতা ও নেতৃত্বরাই প্রাণবন্ত করে রেখেছেন। সেই মূলধারা থেকে ক্রমাগত বিচ্ছিন্ন করে আজ ভারতের মহতি বিনষ্ট হতে চলেছে ব্যক্তিস্বার্থ সাধনকারী দুর্নীতিবাজ সুবিধাবাদীদের জন্য। ঋষি অরবিন্দের রচনা থেকে ( Ref. Rajarshi leadership, Sri aurobindo society, 2013, chapter 3, 9, 10) থেকে পাই ----- রাজর্ষি জনক থেকে শুরু করে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য, ধর্মাশোক, সমুদ্রগুপ্ত, বিক্রমাদিত্য, হর্ষবর্ধন শিবাজী, বুক্ক রাও, রাজেন্দ্র চেলা, রানাপ্রতাপ, গুরু গোবিন্দ, আকবর, প্রতাপরুদ্র, প্রতাপাদিত্য, প্রণবানন্দ, নেতাজি সুভাষ বোস, বালগঙ্গাধর তিলক ইত্যাদি ভারত পুরুষরা সবাই রাজর্ষি আদর্শের পতাকাবাহী ছিলেন। এখানে আমি আরও কয়েকজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে চাই, যেমন, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন, বিধানচন্দ্র রায় প্রভৃতি।

মহাকবি কালিদাস তাঁর "রঘুবংশ কাব্য" এ উল্লেখ করেছিলেন, রঘুবংশের শেষ রাজা অগ্নিবর্ণ, মতান্তরে অগ্নিবর্ণাদ রাজর্ষি আদর্শ থেকে সর্বনাশা বিচ্যুতির মর্মান্তিক বর্ণনা দিয়ে কালিদাস তাঁর কাব্যের যাবনিকা টেনেছিলেন। এক এক সময় আমার মনে হয়, বর্তমানে বোধহয় আমরা এইসব রাজা অগ্নিবর্ণ দ্বারা সমূহ বিনষ্টির দিকে চলেছি।

স্বয়ং ঋষি অরবিন্দের ভাষায়, "Krishna the man was not a legend for poetic invention but actually existed earth and played a part in the Indian past ........ The historical Krishna no doubt existed. " (Ref. All India magazine, Pondicherry, November 1998)

শ্রীমৎ ভগবতগীতায় অর্জুন বলেছেন,

"নষ্টো মোহ:, স্মৃতির্লব্ধা ত্বৎ প্রসাদান্ময়া অচ্যূত। 
স্থিতোহাস্মি গতসন্দেহ, করিষ্য বচনম্ তব ।"

শ্রীকৃষ্ণ অচ্যূত বলেই ভারতপুরুষ যোগ্যতম চরিত্র।

শ্রীকৃষ্ণের রাজর্ষি নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা আরেকটি অত্যাবশ্যক শিক্ষণীয় দিক হল, বিশাল ভারতবর্ষের সামগ্রিক রাজনৈতিক সমীকরণের নিরপেক্ষ উপলব্ধি। স্বামী তথাগতনন্দ লিখেছেন,

"ভারতে একটা রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চেয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। কোন ধার্মিক রাজার অধীনে তিনি এই রাষ্ট্র করতে চেয়েছিলেন । তাঁর কাছে যুধিষ্ঠিরই ছিলেন সেই প্রস্তাবিত রাষ্ট্রের কর্ণধার হওয়ার পক্ষে সবদিক থেকে উপযুক্ত ব্যক্তি । (Ref. মহাভারতের কথা, অমলেশ ভট্টাচার্য, ২০০৯)। যুধিষ্ঠির মাতা কুন্তী রাজাসুলভ রজো:গুণের প্রেরণা দিতেন । একসময় মাতাকুন্তী যুধিষ্ঠিরকে বলেছিলেন , তুমি সন্নাসীর মতো নয়, রাজর্ষি পথে চলো। সাম, দান, দন্ড ভেদে রাজধর্ম পালন করো। ( মহাভারতের কথা, অমলেশ ভট্টাচার্য )। 'রাজর্ষি-নেতা' এবং 'ভারতপুরুষ 'এ দুটি সমার্থক যৌগশব্দ। এক বক্তৃতায় স্বামী রামকৃষ্ণানন্দ বলেছিলেন, " ...... Shri Krishna, the king maker, made Yudhisthira the emperor of all India and established the emperor of righteousness........ India was saved from the the tyrannical rule afdah wicked ...."

(Ref. Shri Krishna: pastoral and kingmaker, 1973).

বর্তমানকালের সু-প্রতিষ্ঠিত ধর্মীয়গুরুরা কি তাদের প্রতাপশালী নেতা-নেত্রী ভক্তদের রাজর্ষি হওয়ার বার্তা অনুপ্রাণিত করেন? কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ তাঁর 'নৈবেদ্য' কাব্যগ্রন্থে ভারতপুরুষের মরমী ছবি উপহার দিয়েছেন ,

"হে ভারত, নৃপতিরে শিখায়েছ তুমি,
ত্যাজিতে মুকুটদন্ড সিংহাসন ভূমি।"

আজকের ভোটলোলুপ, ক্ষমতার প্রতি লালায়িত চরম দুর্নীতিবাজ নেতা-নেত্রীরা একান্ত নীরব অবসরে একটু আত্মসমীক্ষা করুন। ঋষি অরবিন্দ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এঁরা কি শুধু অরণ্য রোদন করেই গেলেন?

ভারতপুরুষকে বিশেষতঃ নেতৃত্ব দানের ক্ষেত্রে অন্তঃসলিলা সত্ত্বগুণ পরিচালিত রজোগুণের বহিঃপ্রকাশ হতে হবে। এটাই হচ্ছে রাজর্ষি নেতৃত্বে আবহমানকালের মূলমন্ত্র। রাজশেখর বসু শ্রীকৃষ্ণের ভারত পুরুষরূপী উপস্থাপিত করেছেন। তিনি লিখেছিলেন, "জ্যোতিষগণের মধ্যে যেমন ভাস্কর, সেই সমাগত সকল জনের মধ্যে তেজবল ও পরাক্রমে কৃষ্ণই শ্রেষ্ঠ। দুটি কারণে গোবিন্দ সকলের পূজ্য ------- বেদ-বেদাঙ্গের জ্ঞান এবং অমিত বিক্রম । ......... রাজা প্রথমেই ইন্দ্রীয় জয় করে আত্মজয়ী হবেন, তারপর শত্রুজয় করবেন। " (রাজশেখর বসু‌ প্রনীত মহাভারত)

জ্ঞান, ভক্তি, বুদ্ধি এবং কর্মযোগের সমন্বয়ে শ্রীকৃষ্ণই ভারতপুরুষ। সমগ্র ভারতবর্ষে অখণ্ডতার রূপকার হিসেবে শ্রীকৃষ্ণকে স্বরূপজ্ঞানে স্বামী বিবেকানন্দ গ্রহণ করেছিলেন। পরিশেষে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে স্মরণ করি, ..... 'কৃষ্ণচরিত্র' গ্রন্থে তিনি উল্লেখ করেছেন, " ..... কতি বিশুদ্ধ, পরম পবিত্র, অতিশয় মহৎ ------ ঈদৃশ সর্বগুণান্বিত সর্বপাপসংস্পর্শশূন্য আদর্শ চরিত্র ( শ্রীকৃষ্ণ ব্যতীত) আর কোথাও নাই। কোন দেশীয় ইতিহাসেও না, কোন দেশীয় কাব্যেও না । ( বঙ্কিম রচনাবলী, দ্বিতীয় খন্ড) ।।

 

তথ্যসূত্র ঋণ:

1) Tales of prison life --- Sri aurobindo.
2) মহামনীষী মহামহোপাধ্যায় গোপীনাথ কবিরাজ ---- হেমেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ।
3) নৈবেদ্য ---- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
4) All India magazine, Pondicherry --- November 1998.
5) মহাভারত --- রাজশেখর বসু।
6) বঙ্কিম রচনাবলী
7) মহাভারতের কথা --- অমলেশ ভট্টাচার্য ।

 

অধ্যাপক সৌম্য ঘোষ
হুগলী, পশ্চিমবঙ্গ, ভারতবর্ষ 

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top