সিডনী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১

জানতে হবে, চিনতে হবে (অনু গল্প) : শাকিলা নাছরিন পাপিয়া


প্রকাশিত:
২৮ এপ্রিল ২০২১ ২৩:৫৮

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:২১

 

দুই তিন এলাকা নিয়ে চরম উত্তেজনা। আজ বিচার হবে কাউন্সিলরের অফিসে। বিচার দেখতে সব ধরণের মানুষ এসেছে। এত বড় অন্যায় করার সাহস যে দেখিয়েছে তাকে এক নজর দেখার জন্য মানুষের ঢল নেমেছে।
কী হবে আজ? নানা জনের নানা মত। কেউ বলছে, ঠিক করেছে। কেউ বলছে, কি মনে করো ওকে ছেড়ে দেবে? কোনদিন না। কেউ বলছে, ওর পরিবার কেন শিক্ষা দিল না কার সাথে কেমন ব্যবহার করতে হবে?

কারো মধ্যে উৎসব উৎসব ভাব। কিছু একটা ঘটবে। বিচারে ছেলেটি যা বলুক না কেন তার অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। নেতার পিএস এর বাড়ির কাজের বুয়ার ভাতিজা। সে না হয় একটু মারতেই পারে। তাই বলে পুলিশ ডেকে আনতে হবে?
পুলিশ কিছু না বুঝে এসে পড়েছে। অবশ্য এ জন্য বারবার নেতার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে। ছেলেটিকে প্রশ্ন করা হলো, পুলিশের কাছে কেন গেলে? কিছু হলেই পুলিশের কাছে যেতে হবে?

ছেলেটি পুলিশের দিকে তাকায়। যিনি আহত ছেলেটিকে বলেছিল, এভাবে মেরেছে? একে তো কোনভাবেই ছাড় দেয়া যায় না? ভেবো না। আমি তো আছি। পুলিশ তাকিয়ে থাকার সাহস পায় না ছেলেটির দৃষ্টির সম্মূখে। মাথাটা এমনিতেই ঝুঁকে আসে।

ছেলেটি একবার চোখ বুলায় সবার দিকে। ক্ষমতাসীন দলের বিচারকবৃন্দ আজ বিচার করবে পুলিশের শরণাপন্ন কেন হবে একজন নাগরিক? মাথা সোজা করে দৃঢ়ভাবে ছেলেটি উত্তর দেয়, "মা বলেছে, কতোদিন বাঁচলাম সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো, কীভাবে বাঁচলাম। পুলিশের অসহায়ত্ব জানা ছিল না আমার।
উনি যে আমার চেয়েও অসহায় তা কী করে বুঝবো?"

তুমি কি বলতে চাও? জানো আমরা কারা?

"আগে জানতাম না। এখন জানছি একটু একটু করে।
নেতা থেকে সবজি নেতা সকলের পরিবারের সদস্য এবং তাদের বুয়া, ড্রাইভার, দারোয়ানের পরিবারের সদস্য সকলকে চেনা এদেশের প্রতিটি নাগরিকের আবশ্যিক  দায়িত্ব এবং কর্তব্য।"

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top