সিডনী মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ ২০২৪, ৫ই চৈত্র ১৪৩০

মনসা মঙ্গল (পর্ব এক) : শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়


প্রকাশিত:
১৫ জুন ২০২১ ২০:২৮

আপডেট:
১৫ জুন ২০২১ ২০:২৯

ছবিঃ শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

 

তা তোর বউ কলকাতায় কাজ করে, কিন্তু তোর ট্যাঁকে পয়সা নেই কেন?
তুমিও যেমন গোরাংদাদা, বউয়ের পয়সার খেয়ে কি নরকে পচব নাকি?
কোন্ শাস্তরে ও কথা পেলি? বউয়ের পয়সায় খেলে পাপ হয়, তা জন্মে শুনিনি বাবা।
আহা, পুরুষমানুষ বলে একটা ব্যাপারও তো আছে, নাকি? মাগ-ভাতারের সম্পর্ক তো আর উলটে যায়নি।

মদনার দোকানে বাইরে কাঠের পায়ার ওপর বাঁশের কঞ্চি দিয়ে বসবার একটা বেঞ্চি মতো হয়েছে। দিনমানে লোকজন বসে। রাতে মদনার চাকর নেপাল বস্তা পেতে শোয়। সেই বেঞ্চিখানায় এখন এই বেলা দশটায় গৌরাঙ্গ পাল বসে বিড়ি ধরিয়েছে। সামনেই নদীর ঘাট। হাটবারের ব্যাপারিরা নৌকো থেকে কাদায় নেমে গুটি গুটি উঠে আসছে মালপত্তর নিয়ে। শরৎকাল হলেও রোদের তেজ আছে মন্দ নয়। তবে নদীর ওপর দিয়ে জল-ছোঁওয়া বাতাসও আসছে তেড়ে। রোদ উড়িয়ে নিচ্ছে।

গৌরাঙ্গ পাল বিজ্ঞের মতো বলে, আজকাল তো শুনি মেয়েছেলেদেরই বাড়বাড়ন্ত। ব্যাটাছেলেদের লেজ এখন দু-পায়ের ফাঁকে সেঁদিয়ে আছে।

শ্রীপতি বলল, না না, অতটা নয়। তবে মেয়েছেলেদের গাড়ু গামছার মতো ব্যবহার করাটাও ঠিক নয় কিনা। দিনকাল পালটাচ্ছে কিনা বলো! ছ-টাকা আট টাকা কিলো বেগুন জন্মে দেখেছ? তা বেগুনও যদি জাতে উঠতে পারে তাহলে মেয়েছেলের আর কি দোষ?

মদনার দোকানে আজ বেশ ভিড়। এই একটা হাটবারেই সে সারা সপ্তাহেরটা কামিয়ে নেয়। তমিজ মিয়া খেয়া নৌকোর মাঝি। আধবুড়ো রোগাটে পাকানো চেহারা। পায়ের কাদা ঝেড়ে এসে বেঞ্চের একধারে বসে পা থেকে তিনটে জোঁক ছাড়িয়ে বলল, নাওটা বড় লজঝড়ে হয়ে গেছে হে। জল হেঁচতে দিয়ে এলুম। গাবের আঠা দিয়ে তাপ্পি দেওয়া চলেব না, তক্তা পালটাতে হবে।

গৌরাঙ্গ বলে, তা পালটাও না কেন? ডুবিয়ে মারবে নাকি মানুষকে?

কাঠের দাম কোথায় উঠেছে জানো? জামাল মিস্তিরি চারশো টাকা হাঁকছে। এদিকে দু-টাকা ভাড়া আড়াই টাকায় তুললেই লোকে বাপ চোদ্দো পুরুষ উদ্ধার করে, শাপশাপন্ত দেয়।

তমিজ মিঞার পায়ে সাদা হাজা। নখের রং নীলচে। চুল-দাড়ি কটাসে রং ধরেছে, এবার পাকবে। গা থেকে আঁশটে গন্ধ ছড়াচ্ছে খুব। মদনার দোকান থেকে এক বান্ডিল লাল সুতোর বিড়ি আর একটা দেশলাই নিয়ে এসে ফের বসল। মদনার লাল সুতোর বিড়িটা বড্ড সরেস। যেমন মিঠে, তেমনি কড়া। বিড়ির ধোঁয়ায় বাতাসটা ম-ম করে উঠল।

গৌরাঙ্গ বলল, তা হ্যাঁ রে শ্রীপতি, মনসা তাহলে বেশ সুখেই আছে! কী বলিস!
শ্রীপতি ভারি আহ্লাদের গলায় বলে, মনসা কাকে বলছ? সে কি আর মনসা আছে নাকি? তার নতুন নাম হয়েছে, পিয়ালি।
বলিস কি! বাপ দাদার দেওয়া নাম, ও কি পালটায়!
তা কী করবে বলো! যেখানকার যা দস্তুর। গিন্নিমা সাফ বলে দিয়েছেন, ওসব মনসা ফনসা চলবে না। নামের মধ্যে নাকি ফোঁসফোঁসানি আছে।
তা পিয়ালি আবার কেমনধারা নাম? ঠাকুরদেবতার গন্ধই নেই।
শহুরে নাম ওরকমই হয়। ও তুমি বুঝবে না। তবে আছে ভালো। হাতে পায়ে হাজা, ফাটা কিচ্ছু নেই। তেল গড়াচ্ছে শরীরে।
বটে!

সব সময়ে পায়ে হাওয়াই চটি। বছরে চার-পাঁচখানা শাড়ি। গত মাসেই গিয়ে দেখা করে এলাম তো। দিব্যি আছে।
তা খাতির টাতির করল তোকে?
তা আর করবে না? খুব করল। দুঃখু করছিল, কত হাড়গিলের মতো চেহারা হয়েছে তোমার। পেট পুরে খাও না নাকি?
বাড়িঘর কেমন দেখলি?
উরে বাবা! পেল্লায় দোতলা বাড়ি। বাগান আছে, গাড়ি আছে, রান্নার ঠাকুর, ঠিকে ঝি সব আছে।
খাওয়াল টাওয়াল ?
তা আর খাওয়াবে না? গরম রুটি, আলুর ছেঁচকি।
দূর বোকা! ও কি একটা খাওয়া হল? ভাত খাওয়াল না?
নাঃ! আমিই বললুম, এসবের দরকার নেই।
চেয়ারটেয়ারে বসলি নাকি?
না গো! ওপরে ওঠা নাকি বারণ। নীচে সিঁড়িঘরে বসেই কথা হল দু-চারটে। তবে তার তো দম ফেলার সময় নেই। মেশিনে নাকি কাপড় কাচছিল, এসে কোনোরকমে দেখা করে গেল আর কি!
গিন্নিমার সঙ্গে আলাপ করে এলি না! কেমন বাড়িতে বউটাকে কাজে লাগিয়ে এলি দেখতে হয় তো!

শ্রীপতি দুঃখের সঙ্গে মাথা নেড়ে বলে, সেখানে একটু বাধা আছে গো, গোরাংদা। গিন্নিমা বিয়ে-করা মেয়ে কাজে নেবে না। বলে নাকি, বিয়ে করা ছুঁড়িদের বরের ওপর টান থাকে, কেবল দেশে যেতে চায়। আর বরের হাত দিয়ে মাল পাচার করতে সুবিধে পায়।
বলিস কি রে পাগল! তোর বউ কি সিঁথের সিঁদুর মুছে ফেলে কাজে লেগেছে নাকি?
উপায় কি? আজকাল নাকি সিঁদুরের রেওয়াজও নেই তেমন।
গৌরাঙ্গ পাল ভারি গম্ভীর হয়ে বলে, কাজটা কি ভালো হল রে শ্রীপতি? সধবা সিঁদুর মুছে ফেলল, এ তো ভারি খারাপ লক্ষণ।
আচ্ছা, সিঁদুর মুছে ফেলেছে বলে তো আমি আর মরে যাইনি! গেছি বলো! ওসব আজকাল কেউ মানেটানে না। চার বছর তো হল।
মনসার এখন বয়স কত?
পনেরো বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল। তা এখন উনিশ-কুড়ি তো হিসেবে দাঁড়ায়।
কাঁচা বয়স। ঘরও তো করলি না।
বিয়ের পর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই কাজে লাগিয়ে দিলি। তোকে এখন দেখে কে?
ইচ্ছে আমারও তেমন ছিল না, বুঝলে! বিশ্বেসদা এসে এমন ধরে পড়ল, সাতশো টাকা মাইনে শুনে বউটাও নাচতে লাগল যে; আর আমিও কাত হয়ে পড়লাম।

তাতে তোর সুবিধেটা হল কি, বল। বউ টাকা পায়, ভালো খায় দায়, গায়ে গত্তি লাগছে। আর তুই যে ভাঙা ঘরে চ্যাটাইয়ে শুয়ে ঠ্যাং নাচাচ্ছিস! তোকে দেখে কে? ভাইয়েরা তো পাঁচকাঠা বাস্তুজমি ঠেকিয়ে আলাদা করে দিয়েছে, চাষের জমি কতটা আছে তোর?
বিঘে দশেক হবে বোধ হয়। কি হবে বলো দাদা, একাবোকা লোক আমি, চলে যায়।
চারটে ভ্যান রিকশা ছিল তোর। সেগুলো কী করলি?
বেচে দিয়েছি। মা বাপ নেই, বউ চাকরি করতে গেছে, কার জন্য আর খাটব পিটব, বলো। দু-বেলা দু-মুঠো জুটে তো যাচ্ছে। সেই ঢের।
তুই বরাবরই একটু বৈরাগী গোছের বটে, কিন্তু সংসারেরও একটা ধর্ম আছে তো। বউ যদি আসতে চায় তখন কী করবি?
সে কি আর কলকাতা ছেড়ে এই অখদ্দে জায়গায় আসতে চাইবে? তুমিও যেমন।
তবে কি চিরটা কাল পরের বাড়ির খেদমত খাটাবি নাকি? হ্যাঁ রে, তোর বউয়ের ওপর টান আছে তো! নাকি অন্য কোনো মেয়েছেলের দিকে ঝুঁকে পড়েছিস?
জিব কেটে শ্রীপতি বলে, কী যে বলো দাদা! বউয়ের ওপর বড্ড টান বলেই না কেমন বাউন্ডুলে হয়ে গেলুম।
তোর ওপর বউটার টান বুঝতে পারিস?
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে শ্রীপতি বলে, একটু আধটু কি নেই? নতুন নতুন তো চোখে হারাত। মাঝে মাঝে বলত, তুমি এত ভালো কেন গো? সেই কথাটা এখনও কানে বাজে।
গৌরাঙ্গ পাল নদীর বাতাস আড়াল করে ফের একটা বিড়ি ধরিয়ে বলল, সে কথা তো আমরাও বলি। কিন্তু ভালো হয়ে ম্যান্দামারা থাকা কি ভালো? যাই রে, আজ সুপুরি কটা এই হাটেই বেচে দিতে হবে।

বেঞ্চির ওপর কাত হয়ে শুয়ে তমিজ মিঞা ঘুমিয়ে পড়েছে। খাটিয়ে পিটিয়ে লোক, শুলেই ঘুমোয়, ঘাট থেকে উঠে এসে তমিজের ছোটো ছেলে আকবর হাঁক দিচ্ছে, আব্বাজান, নাও ছাড়ব?
শ্রীপতি ঠেলে তুলল তমিজ মিঞাকে, ও বড়ো ভাই, উঠে পড়ো। তমিজ উঠল। বলল, শালা ফুটো নাওয়ের জন্য হাটবারের একটা ক্ষেপ নষ্ট। হ্যাঁ রে, শ্রীপতি তোর একটা নাও ছিল না! বড়োসড়ো একখানা।
আছে। সনাতন মাল চালান দেয় তাতে।
পয়সা দেয়?
উদাস গলায় শ্রীপতি বলে, মাঝে মধ্যে দেয়। আবার দেয়ও না।
এই বয়সে তোর যে কী হল, বাপ!
শ্রীপতি একা বসে হাটুরে লোকজন দেখতে লাগল। সে নিজেও বুঝতে পারে, সংসার থেকে সে বড়ো আলগা হয়ে গেছে। চার বছরের মধ্যে সে বার পাঁচেক মনসার সঙ্গে দেখা করতে গেছে। যাওয়ার হ্যাপা বড়ো কম নয়। দুটো নদী পেরিয়ে দুবার বাস বদলে সেই সল্টলেক। পাক্কা চার-পাঁচ ঘণ্টা। তার ওপর গিয়েও তো স্বস্তি নেই। বড়লোকের বাড়ি, মনসা সেখানে পাঁচটা কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। খবর পাঠালে নেমে আসে বটে, কিন্তু ভারি ব্যস্তসমস্ত ভাব। দু-চারটে কথা হতে না হতেই বলে, তুমি একটু বোসো, আমি কাজ সেরে আসছি। দিনে দিনে মনসার চেহারা খুলেছে, পোশাকে-আশাকে পালিশ। কিন্তু কেমন যেন তাদের গাঁ ঘরের মেয়ে বলে আর মনে হয় না। মনসা যে আর ফেরত আসবে না, এ কথা ভাবতে তার বড়ো কষ্ট হয়।
উঠে গুটি গুটি গিয়ে সে নদীর ধারটায় দাঁড়ায়। বড়ো উদাস বাতাস বইছে। সে আনমনে দূরের দিকে চেয়ে রইল। মনসাবালার সঙ্গে বছরটাক ঘর করেছিল সে। তারই নানা কথা মনে পড়ে। আর ফাঁকাও লাগে খুব। কিছুতেই মন বসতে চায় না।

কোরাকাঠির শচীমাসিমা মঙ্গলচন্ডীর পুজোয় ডেকে পাঠিয়েছিল তাকে। তাদের অবস্থা ভালো। মেসো তেজেন হালদারের ক্যানিংয়ে মস্ত দোকান। লোহার বালতি, ড্রাম, শেকল, কাঁটা, কোদাল, শাবল, লাঙলের ফাল, দড়িদড়া কী নেই দোকানে! টাকায় ভাসাভাসি।

মায়ের সঙ্গে চেহারার মিল থাকলে কী হবে, শচীমাসি খুব দাপটেরলোক। এক সময়ে তারা সব ভাইবোন মাসির দাবড়ানিতে চলত। মনসাবালার সঙ্গে শ্রীপতির বিয়েটাও ঠিক করেছিল মাসি। সেদিন জিজ্ঞেস করল, হা রে, মনসা তোকে টাকা-পয়সা পাঠায় না?
শ্রীপতি মাথা নেড়ে বলল, না, মাসি। আমাকে পাঠাবে কেন, তার কষ্টের রোজগার। আর আমারও দরকার নেই।
সে কথা হচ্ছে না। এখানে মনসার মা-বাপও তো কষ্টে আছে।
শুনলুম তাদের সঙ্গেও সম্পর্ক নেই। টাকা দূরে থাক, একটা চিঠিও দেয় না। তাহলে টাকাগুলো নিয়ে করে কী?
জমাচ্ছে বোধ হয়। তার টাকা সে যা খুশি করুক। তা নিয়ে কথা ওঠে কেন?
ওমা! ছেলের কথা শোনো! মাস গেলে সাতশো টাকা রোজগার, ক-বছরে তো কয়েক হাজার টাকা দাঁড়ায়। বউয়ের হয়ে ফোড়ন কাটছিস কেন? বিয়ে আমি দিয়েছি, আমার তো একটা দায় আছে। তুই গেলে কী বলে, কয়?
ওই কথাটথা হয় আর কী। সে যেন ভালোই আছে।
বড়োলোকের ঝি, ভালোই তো থাকার কথা। তা বলে তার নিজের জনদের দেখবে না একটু? ও আবার কেমনধারা?
ওখানে গিয়ে কেমন বুঝে এলি? আসতে চায়?
তা চায় বোধহয়। তবে বড় জড়িয়ে পড়েছে তো। গিন্নিমা নাকি বেজায় ভালোবাসেন।
অমন ভালোবাসার মুখে আগুন! এক কুড়ি বয়স হতে চলল, সংসার ধর্ম আর কবে করবে? তুই আবার বিয়ে কর তো!
শিহরিত হয়ে শ্রীপতি বলে, বলো কী?
ঠিকই বলছি। এই বাদায় তো আর আইনকানুন নেই। একটা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দে, এক মাসের মধ্যে না ফেরত এলে তুই আবার বিয়ে করবি। মেয়ে আমি দেখে রেখেছি। গোবিন্দ রায়ের মেয়ে মেনকা। খাটিয়ে পিটিয়ে আছে, মুখ নেই মোটে, লেখাপড়াও খানিক জানে।
আহা, দুদিন দ্যাখোই না, সে তো আর কাটান ছেড়ান করতে চায়নি। গাঁয়ের থেকে কলকাতায় গিয়ে মনটা একটু অন্যরকম হয়েছে আর কি। বিবেচনা হলে দেখবে, ফিরে আসবে।
আর এসেছে। যদি আসেই বা, ততদিনে তুই যে ছন্নছাড়া হয়ে যাবি। লোকের মুখে শুনি ভ্যানগাড়ি চালাস না, নৌকোটা কাকে দান খয়রাত করলি, চাষবাসে মন নেই। এসব কি ভালো? তবে আক্কেল থাকলে বুঝত, মনিবানির মন জুগিয়ে চললেই জীবন কাটবে না। সোয়ামি কি ফ্যালনা? আজই ফিরে গিয়ে তুই একটা পোস্টকার্ড ছাড়বি তার নামে।
এসব কথা শ্রীপতির গায়ে ছ্যাঁকা দেয়। মনসার নিন্দে এখনও তার সহ্য হয় না। কিন্তু মাসির মুখের ওপর কথা বলবে তেমন বুকের পাটা তার নেই। মিনমিন করে বলল, হপ্তাখানেকের মধ্যে আমারই কলকাতায় যাওয়ার কথা। তখন বলব’খন।
বেশ হাঁকডাক করে বলবি, যেন কথাটা মনিবানির কানে যায়, তাহলেই মনিবানির টনক নড়বে।
বলব’খন।

তুই যে কী বলবি তা ভগাই জানে। গিয়ে নিশ্চয়ই মেনিমুখোর মতো মিনমিন করে আসিস। নরম মাটিতে বেড়ালে হাগে, জানিস তো! দাপের খাপের লোক হতি বউ লটকে এসে পায়ে পড়ত। চিঠিটাই বরং লিখে দে, তাতে কাজ হবে বেশি। মুখোমুখি হলে তোর মর্দানি উবে যাবে সে আমি জানি।

চলবে

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top