সিডনী সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১

কে২-১৮বি গ্রহে পানির সন্ধান, প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা


প্রকাশিত:
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২২:০১

আপডেট:
২৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৬:০২

কে২-১৮বি গ্রহে পানির সন্ধান, প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো একটি দূরবর্তী নক্ষত্রের সম্ভাব্য বাসযোগ্য অঞ্চলের একটি গ্রহে পানি থাকার প্রমাণ পেয়েছেন । গ্রহটির নাম কে২-১৮। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন মহাকাশ টেলিস্কোপ আবিষ্কার হওয়ার পর নিশ্চিতভাবে জানা যাবে কে২-১৮বি গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে কিনা।



একশ এগার আলোকবর্ষ দূরে এই গ্রহে পানির সন্ধান পেয়ে সেখানে প্রাণের অস্তিত্বের সম্ভাবনায় আশাবাদী হয়ে উঠেছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, কোনো নক্ষত্রের বাসযোগ্য দূরত্বের কোনো গ্রহের বায়ুমণ্ডলে পানির অস্তিত্ব পাওয়া গেল এই প্রথম।



অর্থাৎ সূর্যের সঙ্গে যেমন দূরত্ব রেখে পৃথিবী ঘুরছে, ওই গ্রহটি যে নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরছে, তাদের তুলনামূলক দূরত্বও তেমন। ফলে পৃথিবীতে যেমন প্রাণের উদ্ভব ঘটেছে, ওই গ্রহটিতেও প্রাণের অস্তিত্ব থাকার বাস্তব পরিবেশ রয়েছে।



বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, সৌরজগতের বাইরে নতুন আবিষ্কৃত কেবি-১৮সি গ্রহটি দ্বিতীয় ‘পাথুরে পৃথিবী’ হতে পারে, যদিও এত দূরবর্তী গ্রহে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কে২-১৮ নামক লাল-বামন নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে উভয় গ্রহ, যা পৃথিবীর নক্ষত্রপুঞ্জ লিও থেকে ১১১ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। জার্মানির মিউনিখে অবস্থিত ইউরোপীয় সাউদার্ন অবজারভেটরিতে (এএসও) প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে নতুন এই গবেষণায়।



ইউনিভার্সিটি অব মন্ট্রিলের প্রধান গবেষক রায়ান ক্লাওটিয়ার বলেন, ‘কেবি-১৮বি এর ভর এবং ঘনত্ব পরিমাপে সক্ষম হওয়াটা অসাধারণ ছিল কিন্তু দূরবর্তী নতুন একটি গ্রহ আবিষ্কার করাটা সৌভাগ্য এবং উত্তেজনপূর্ণ একটি ব্যাপার ছিল।



গ্রহটির বায়ুমণ্ডলে জীবনধারণের উপযোগী গ্যাসগুলো রয়েছে কি না, তা আগামী ১০ বছরের মধ্যে স্পেস টেলিস্কোপের সাহায্যে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল নেচার অ্যাস্ট্রোনমিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।



ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের ড.ইঙ্গো ওয়াল্ডম্যান বলেন, কে২-১৮বি পৃথিবী থেকে ১১১ আলোক-বর্ষ অর্থাৎ প্রায় ৬৫০ মিলিয়ন মিলিয়ন মাইলস দূরে। ফলে তদন্তের জন্য কিছু পাঠানো যাচ্ছে না। ২০২০ সালে নতুন প্রজন্মের মহাকাশ টেলিস্কোপ চালু হলে তা দিয়ে বিষয়টিজানা যেতে পারে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top