মোবাইলের ঝুঁকি এড়াতে এনইআইআর সিস্টেম আনবে বিটিআরসি


প্রকাশিত:
২৮ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:৪৬

আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ১৭:২৩

মোবাইলের ঝুঁকি এড়াতে এনইআইআর সিস্টেম আনবে বিটিআরসি

প্রভাত ফেরী, তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক: ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) কিনতে যাচ্ছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি। একটি এনইআইআর সিস্টেম কেনার জন্য এরই মধ্যে উদ্যোগও নিয়েছে কমিশন। এ বিষয়ে একটি টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি আকারে বিটিআরসি তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে।



প্রকাশকৃত টেন্ডারে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে উৎপাদিত, আমদানিকৃত এবং বিদ্যমান প্রতিটি হ্যান্ডসেটের রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে মোবাইল চুরি রোধ, অবৈধভাবে মোবাইল হ্যান্ডসেটের অনুপ্রবেশ রোধ, সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, জাতীয় নিরাপত্তার সহায়ক হিসেবে কমিশন একটি এনইআইআর সিস্টেম সরকারি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কেনা হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ওই ক্রয় প্রক্রিয়ার টেন্ডার ডকুমেন্ট’র অংশ হিসেবে বর্ণিত সিস্টেম’র টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন তৈরি করা হয়েছে, যা অভিজ্ঞ মতামতের জন্য বিটিআরসি’র ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হলো। আগ্রহী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওই টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশনের বিষয়ে কোনও মতামত বা পরামর্শ থাকলে তা লিখিত আকারে ৩ নভেম্বরের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে।



এ বিষয়ে বাংলাদেশ মোবাইলফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআইএ) যুগ্ম সম্পাদক মো. মেসবাহ উদ্দিন বলেন, এটা চালু হলে অবৈধ পথে দেশে মোবাইল ফোন আসা বন্ধ হবে। সেসময় দেশে থাকা অবৈধ ফোনগুলোকে (আইএমইআই ডাটাবেজ চালু হলে সে সময় নিবন্ধনবিহীন এবং ডাটাবেজে আইএমইআই নম্বর যেসব ফোনের থাকবে না) বৈধ করার জন্য গ্রাহককে অফার করা হবে। বলা হবে, তাদের ফোন ব্ল্যাক লিস্টে আছে। নিবন্ধন করে হোয়াইট লিস্টে আসতে। না এলে একটি নির্দিষ্ট সময় পরে ফোনগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।



তিনি জানান, বর্তমানে দুটি মোবাইল সেট বিদেশ থেকে শুল্কবিহীনভাবে (ব্যাগেজ রুলের আওতায়) দেশে আনা যায়। কিন্তু সেই ফোন দুটোর আইএমইআই নম্বরও তো নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন করা না হলে মোবাইলগুলো কোনও নেটওয়ার্কেই চালু হবে না। তিনি মনে করেন, এজন্য দেশের পোর্ট অব এন্ট্রিগুলোতে (বাংলাদেশে প্রবেশের স্থানগুলো) নিবন্ধন ডেস্ক রাখা হতে পারে।  এছাড়া যারা  মোবাইল রোমিং করে এ দেশে আসবেন, ভ্রমণে আসবেন তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হবে।



তিনি আরও জানান, এটা করার শুরুতে গ্রাহকের কিছুটা ঝামেলা হতে পারে কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে, ফোনটি নিরাপদে ব্যবহারের জন্য এ ঝামেলা সাময়িক হবে। তবে তিনি এ-ও মনে করেন, এই সিস্টেম চালুর পরে গ্রাহকের ফোন চুরি হলে, হারিয়ে গেলে নিরাপত্তার স্বার্থে গ্রাহকের মোবাইল সংযোগ বন্ধ বা ব্লক করে দেওয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে। বর্তমানে যেভাবে এটা করা যায় তা খুবই জটিল, হয়রানিরও। সহজ কোনও ব্যবস্থা রাখা দরকার। কল সেন্টার খোলা যেতে পারে সেখানে ফোন করে জেনে নিয়ে গ্রাহক তার পরিচয়ের প্রমাণ দিয়ে কোনও হেল্পডেস্কে গিয়ে ফোনটি লক বা বন্ধ করে দিতে পারবে। 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top