সিডনী সোমবার, ৬ই মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গমাতার ৯০তম জন্মদিন আজ


প্রকাশিত:
৮ আগস্ট ২০১৯ ২১:৪৯

আপডেট:
৬ মে ২০২৪ ০০:৫২

বঙ্গমাতার ৯০তম জন্মদিন আজ

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯০ তম জন্মদিন আজ (৮ আগস্ট)। ১৯৩০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে তিনি জাতির পিতার হত্যাকারীদের হাতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে নির্মমভাবে নিহত হন। । দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগগুলো।



বেগম মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষে আজ সকাল আটটায় বনানীতে তার কবরস্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি কোরানখানি এবং দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করবে আওয়ামী লীগ। সকাল সাড়ে ৯টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভার আয়োজন করবে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী উপস্থিত থাকবেন।



দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক মিডিয়া বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে। যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগও বনানী কবরস্থানে বেগম ফজিলাতুন্নেসার কবরে শ্রদ্ধা জানাবে।



বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল তার কবিতায় লিখেছিলেন, ‘‘বিশ্বে যা কিছু চির সুন্দর, কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর”। বেগম মুজিবের জীবনী বিশ্লেষণে আমরা বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই কবিতার যথার্থ প্রতিফলন দেখতে পাই।



গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ার সন্তান শেখ মুজিব দীর্ঘ আপসহীন লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ধীরে ধীরে শুধুমাত্র বাঙালি জাতির পিতাই নন, বিশ্ববরেণ্য রাষ্ট্রনায়কে পরিণত হয়েছিলেন, তার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তারই সহধর্মিণী, মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।



বাঙালি জাতির সুদীর্ঘ স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি বঙ্গবন্ধুকে সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন। ছায়ার মত অনুসরণ করেছেন প্রাণপ্রিয় স্বামী বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে। এই আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য অবদান রেখেছেন। জীবনে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেছেন, এজন্য অনেক কষ্ট–দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাকে।



বাঙালি জাতির মুক্তি সনদ ছয়-দফা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধু যখন বারে বারে পাকিস্তানি শাসকদের হাতে বন্দি জীবনযাপন করছিলেন, তখন দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা তার কাছে ছুটে আসতেন, তিনি তাদেরকে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা পৌঁছে দিতেন এবং লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা যোগাতেন।



বিশেষ করে আগরতলা যড়যন্ত্র মামলায় যখন বঙ্গবন্ধুর প্যারোলে মুক্তি নিয়ে কিছু কুচক্রী স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিপন্ন করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিলেন, তখন প্যারোলে মুক্তির বিপক্ষে বেগম মুজিবের দৃঢ়চেতা অবস্থান বাংলার মুক্তিসংগ্রামকে ত্বরান্বিত করেছিল। যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top