সিডনী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১

বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের শাহাদাত বার্ষিকী আজ


প্রকাশিত:
১১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৫:২২

আপডেট:
১১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৫:৩৩

ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: কর্তব্যজ্ঞান ও দেশপ্রেমের কাছে জীবনের মায়াকে তুচ্ছ করে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের এ দিনে খুলনায় শাহাদাতবরণ করেন রুহুল আমিন আর্টিফিসার। ৬ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী যশোর সেনানিবাস দখলের পর পদ্মা, পলাশ এবং ভারতীয় একটি গানবোট পানলে, খুলনার মংলা বন্দরে পাকিস্তানি নৌঘাটি পিএনএস তিতুমীর দখলের উদ্যোগ নেয়।  ১০ ডিসেম্বর গানবোটগুলোর ওপর ৩টি জঙ্গি বিমান উড়তে দেখে মুক্তিযোদ্ধারা গুলি করে এগুলোকে ভূপাতিত করতে চান।

কিন্তু অভিযানের সর্বাধিনায়ক মিত্রবাহিনীর ক্যাপ্টেন মনোন্দ্রনাথ জানান এগুলো পাকিস্তানি নয়, ভারতীয় বিমান। কিছুক্ষণের মধ্যে জঙ্গি বিমানগুলো আচমকা গুলি বর্ষণ শুরু করে। এতে ‘পদ্মা' অচল হয়ে যায়। রুহুল আমিন পাল্টা গুলি বর্ষণের নির্দেশ চান । কিন্তু নির্দেশ মেলে না। এরপরও তিনি হয় জয়, নয় ক্ষয় আহবান জানিয়ে ইঞ্জিন রুমে প্রবেশ করেন।

কিন্তু অধিনায়কের আদেশ অমান্য করে বিমানগুলোকে চ্যালেঞ্জ করা হলো না। জঙ্গি বিমানের গোলার আঘাতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় পলাশ'। রুহুল আমিনের দেহ হয়ে যায় ছিন্নভিন্ন কৃতজ্ঞ জাতি তাকে বীরশ্রেষ্ঠ সম্মানে ভূষিত করেছে। রুহুল আমিনের জন্ম ১৯৩৫ সালে নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে। ১৯৫৩ তে জুনিয়র মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে যোগ দেন।

পেশাগত প্রশিক্ষণ শেষ করেন ১৯৫৮ তে। '৬৫ তে পিএনএস কারসাজে কোর্স সম্পন্নের পর আর্টিফিসার পদে নিযুক্ত হন। ৬৮ তে বদলি হন চট্টগ্রাম পিএনএস বখতিয়ার নৌঘাটিতে। ৭১’র এপ্রিলে ঘাটি থেকে পালিয়ে ভারতের ত্রিপুরা সীমান্ত অতিক্রম করে ২নং সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। বাংলাদেশ নৌবাহিনী গঠিত হলে কলকাতায় আগমন। ভারত সরকার বাংলাদেশকে পদ্মা ও পলাশ নামে দুটি গানবোট উপহার দেয়। তার একটি পলাশের ইঞ্জিনরুমে আর্টিফিসার ছিলেন রুহুল আমিন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top