সিডনী রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যা পিছিয়ে দেয় দেশের অগ্রগতি


প্রকাশিত:
১১ আগস্ট ২০১৯ ২২:০০

আপডেট:
৫ মে ২০২৪ ২৩:২৮

বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যা পিছিয়ে দেয় দেশের অগ্রগতি

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: আজ শোকাবহ আগষ্ট মাসের একাদশতম দিন। করুণ স্মৃতি বিজড়িত এই মাসে বাংলাদেশের ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর ঢাকায় ফিরে পাকিস্তানীদের দুরভিসন্ধি বুঝতে পেরেছিলেন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন তরুণ শেখ মুজিব। তখনই তিনি বুঝেছিলেন মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য বাঙ্গালি জাতিকে আবারো লড়তে হবে। এরপর প্রথমেই আঘাত আসে মাতৃভাষা বাংলার উপর।



বঙ্গবন্ধু রুখে দাঁড়ান পাকিস্তানী এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠায়। তখন থেকেই তিনি স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। এর সূত্র ধরেই পাকিস্তানী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে পূর্ববাংলায় আন্দোলন গড়ে উঠে। জেলে থেকে বঙ্গবন্ধু এ আন্দোলনের উৎসাহ যোগান। ১৯৫২ সালের ২১ ফেরুয়ারি ভাষা আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ পায়। ঢাকার রাজপথে শহীদ হন রফিক, জব্বার, সালাম, বরকতসহ আরো অনেকে। মূলত: বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের বীজ রোপিত হয় সেদিনই।



এরপর আস্তে আস্তে স্বাধীনতার সংগ্রাম এগুতে থাকে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন তৎকালীন পূর্ববঙ্গে প্রতিটি সংগ্রাম-আন্দোলনের অগ্রপথিক। তারই ধারবাহিকতায় ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালির মুক্তি সনদ ৬ দফা জাতির সামনে পেশ করেন। ৬ দফাকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ অকুণ্ঠ সমর্থন করে। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়। তার বিরুদ্ধে শুরু করা হয় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের জোয়ারে ভেসে যায় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা। জেল থেকে মুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু সমগ্র জাতির নেতৃত্বের হাল ধরেন। তিনি হয়ে উঠেন সমগ্র বাঙ্গালি জাতির মুকুটহীন সম্রাট।



১৯৭১-এর ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। শুরু হয় সশস্ত্র যুদ্ধ। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানী কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে জাতির জনক ফিরে আসেন তার প্রিয় দেশবাসীর কাছে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আত্মনিয়োগ করেন।



১৯৭৪ সালে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে দেশে খাদ্যাভাব দেখা দেয়। বঙ্গবন্ধু গ্রামে গ্রামে হাজার হাজার লঙ্গরখানা খুলে দরিদ্র মানুষের খাওয়ানোর ব্যবস্থাা করেন। সফলভাবে তিনি দেশের খাদ্যাভাব মোকাবিলা করেন। এরপর দেশকে খাদ্যে স্বনির্ভর করে গড়ে তুলতে দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দেন। তিনি বলেন, ‘এক ইঞ্চি অনাবাদি জমি ফেলে রাখা যাবে না’। বঙ্গবন্ধুর সবুজ বিপ্লবের ডাকে সাড়া দিয়ে মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে। অল্পদিনের মধ্যে বেড়ে যায় দেশের খাদ্য উৎপাদনের পরিমাণ।



বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া কৃষক লীগের কর্মীরা মাঠে মাঠে গিয়ে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে থাকে। চালের দাম কমে যায়। দেশ যখন খাদ্যে স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে চলেছে এ সময়ে ষড়যন্ত্রকারীরা জাতির জনকে হত্যার ষড়যন্ত শুরু করে। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশের অগ্রগতি পিছিয়ে দেয়।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top