সিডনী রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১

আন্তর্জাতিক নারী দিবস ৮ মার্চ


প্রকাশিত:
৮ মার্চ ২০২০ ১৭:২২

আপডেট:
৯ মার্চ ২০২০ ২০:১৫

ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী: রবিবার (৮ মার্চ) ‘প্রজন্ম হোক সমতার, সকল নারীর অধিকার’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশ জুড়ে পালন হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। আর এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখেই প্রশ্ন দাঁড়ায়,আইনে বঞ্চনার জায়গা রেখে কীভাবে সেই সমতায় প্রজন্ম পৌঁছাবে?

নারীর অধিকার বাস্তবায়নে ১৯৭৫ সাল থেকে বিশ্বব্যাপি দিবসটি পালন করা হচ্ছে যথাযথ মর্যাদায়। নারীদের ওপর হওয়া বৈষম্য, নির্যাতনের বিরুদ্ধে করা প্রতিবাদে নারীদের জাগ্রত করাই নারী দিবস পালনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

নারী দিবস পালনের পটভূমি হচ্ছে এদিনে ঘটে যাওয়া এক আন্দোলন। ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ নিউইয়র্কের সুতা কারখানায় কর্মরত নারীশ্রমিকরা সড়কে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হন। সেদিন বেতন বৈষম্য, নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা আর কাজের বৈরী পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে নারীরা একজোট হলে তাদের ওপর কারখানা মালিকরা আর মদদপুষ্ট প্রশাসন দমন-পীড়ন চালায়। ১৯৭৫ সালে জাতিসংঘ ৮ মার্চ দিনটিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালনের আহ্বান করলে এরপর থেকে বিশ^ব্যাপী দিনটি পালিত হয়ে আসছে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ পৃথক বাণী দিয়েছেন।

এদিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২০ উদযাপন উপলক্ষে দেশব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। দিবসটিতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণীসহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, আজ সকাল ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনের মূল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে উদ্বোধন অনুষ্ঠান, দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, ডকুমেন্টারি প্রদর্শন ও জাতীয় পর্যায়ে ৫ জন শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে সম্মাননা প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য টেলিভিশন ও গণমাধ্যমে টকশো, বিশেষ নিবন্ধ ও অন্যান্য অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে।

এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে র‌্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। বাংলাদেশে নারী উন্নয়নে অসামান্য অগ্রগতি, সমতা সৃষ্টি, বৈষম্য হ্রাস, নারীর ক্ষমতায়ন, বাল্যবিয়ে বন্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি, নারীর সুরক্ষা নিশ্চিত করা ও সব ধরনের সহিংসতা বন্ধে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, স্যুভেনির প্রকাশিত ও প্রদর্শিত হবে। শুধু তাই নয়, দিবসটি উপলক্ষে আগামী ১৬ থেকে ১৮ মার্চ দেশ জুড়ে তিন দিনব্যাপী ‘নারী উন্নয়ন মেলা’ আয়োজন করা হবে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top