সিডনী সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১


বর্ণিল আলোকচ্ছটার মধ্য দিয়ে বড়দিন উদযাপন


প্রকাশিত:
২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ২৩:২৯

আপডেট:
২৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৫:৩৪

ছবি: সংগৃহীত

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: বর্ণিল আলোকচ্ছটা ছড়িয়ে আর কেক কেটে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। এদিন দেশের প্রায় সব খ্রিস্টান পরিবারে কেক তৈরি করার পাশাপাশি ছিল বিশেষ খাবারের আয়োজন।

এদিন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এ উপলক্ষে সেখানে একটি ক্রিসমাস গাছ রোপণ ও মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ্, কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও, কূটনৈতিক কোরের ডিন আর্চবিশপ জর্জ কোচেরি, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও পররাষ্ট্র মিশনের প্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এ সময় একদল সঙ্গীত শিল্পী বড়দিনের গান পরিবেশন করেন। পরে রাষ্ট্রপতি বড়দিনের কেক কাটেন ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন।

দিবসটি উপলক্ষে দেশের সব গির্জাসহ খ্রিস্টান পরিবারগুলো ক্রিসমাস ট্রি সাজিয়ে, কেক তৈরি করে ও মোমবাতি জ্বালিয়ে দিনটি উদযাপন করে। শিশুদের মধ্যে উপহার সামগ্রী বিনিময়ের মাধ্যমে আনন্দ বহুগুণ বাড়িয়ে দেয় সান্তা ক্লজ। এদিন দেশের সব গির্জায় বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয়। ঐতিহ্যবাহী এই আয়োজনে গোশালা স্থাপন এবং রঙিন কাগজ, ফুল ও আলোর বিন্দু দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয়েছে। রাজধানীর তেজগাঁও ক্যাথলিক গির্জায় (পবিত্র জপমালার গির্জা) বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। গির্জা ও এর আশপাশে জ্বালানো হয় রঙিন বাতি। প্রচুর জরি লাগিয়ে গির্জার ভেতর রঙিন করা হয়। সাজানো হয় ক্রিসমাস ট্রি। গির্জার মূল ফটকের বাইরে বসে মেলা।

এদিন ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই গির্জাগুলোয় আসতে থাকেন যিশু ভক্তরা। কয়েকটি পর্বে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলযজ্ঞের যিশুকে আহ্বান করে চলে ভক্তদের প্রার্থনা। শান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দের বার্তা যেন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এমনটাই প্রার্থনা তাদের। এ ছাড়াও রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেলসহ দেশের বড় হোটেলগুলোতেও বড়দিন উদযাপনের জন্য বিশেষ আয়োজন করা হয়। রাজধানীর পাশাপাশি গাজীপুরের নিকোলাসের গির্জায়ও ভক্তরা মেতে ওঠেন যিশু বন্দনায়। সত্য ও ন্যায়ের বাণী যেন মানব জীবনে বারবার ফিরে আসে সে প্রত্যাশায় ভক্তরা পালন করে যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন।

খ্রিষ্টধর্ম মতানুসারে, এদিনে বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেন খ্রিস্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিস্ট। পৃথিবীতে শান্তির বাণী ছড়িয়ে দেওয়া, মানব জাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করা এবং সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার করতেই আগমন ঘটেছিল এই মহামানবের এমনটিই বিশ্বাস খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের।


বিষয়: বড়দিন


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top