সিডনী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১

একা এবং একা (পর্ব ১৯) : আহসান হাবীব


প্রকাশিত:
১৯ অক্টোবর ২০২০ ২২:৪৩

আপডেট:
১৯ অক্টোবর ২০২০ ২২:৪৪

 

(আহসান হাবীব মূলত একজন প্রফেশনাল কার্টুনিস্ট। তিনি পেশাগত কারণে সাধারনত কমিকস, গ্রাফিক নভেল ইত্যাদি নিয়ে কাজ করেন। তিনি যখন লিখেন তখন তার মাথায় থাকে কমিকস বা গ্রাফিক নভেলের কনটেন্ট। তার গল্পের পিছনে থাকে স্টোরি বোর্ডের মত ছবির চিত্রকল্প। এই কারণেই তার লেখায় একটা সিনেমাটিক ড্রামা থাকে প্রায়শই। তিনি মনে করেন যেকোনো গ্যাজেটেই/ফরম্যাটেই হোক, স্ক্রিনে যে গল্প পাঠক পড়ছে, সেখানে তার সাব-কনসান্স মাইন্ড ছবি খুঁজে। আর তাই ‘প্রভাত-ফেরী’র পাঠকদের জন্য তার এই ধারাবাহিক ইন্ডি নভেল ‘একা এবং একা ’ )

 

পর্ব - ১৯ 
প্রায় সব রেল স্টেশনেই একজন করে পাগল থাকে। কাওরাইদ স্টেশনে ছিল না কিন্তু ইদানিং একজনকে দেখা যাচ্ছে। চুল দাড়িতে তার আসল চেহারা বোঝার উপায় নেই। বয়স কত হবে ত্রিশ বত্রিশ হতে পারে কিংবা কে জানে আরো কম বা বেশী, চেহারা স্বাস্থ্য ভেঙে গেছে বলে তার আসল চেহারা বয়স বোঝার উপায় নেই। একটা ময়লা লুঙ্গি আর ছেড়া সেন্ডো গেঞ্জি পরা। পাগলটা সবার কাছেই থেমে থেমে হাত পাতছে। কিন্তু অপেক্ষা করছে না। যেন সে ধরেই নিয়েছে কেউ তাকে কিছু দিবে না।

স্টেশনের বেঞ্চে বসে চা খাচ্ছিলেন এক সৌম্য কান্তি ভদ্রলোক। তিনি মাঝে মধ্যে এখানে এসে চা খান। এই চা’টা তার বেশ প্রিয়। এরা খাটি গরুর দুধ দিয়ে চা বানায়। চাওয়ালাও জানে এই সৌম্য কান্তি লোকটি কখন চা খেতে আসেন এবং সে নিজেও প্রস্তুত থাকে তাকে চমৎকার এক কাপ চা খাওয়ানোর জন্য। কারণ চাওয়ালা জানে এই লোকটি আপাতত এলাকার গন্য মান্য শ্রদ্ধাভাজন একজন।

ভদ্রলোকের নাম রফিক উদ্দীন। তিনি এখানকার একটি স্থানীয় স্কুলের হেড মাস্টার। খুব বেশীদিন হয় নি তিনি এখানে জয়েন করেছেন। কিন্তু ইতোমধ্যেই এলাকার মানুষজন তাকে পছন্দ করতে শুরু করেছে। রফিক স্যারের বিষয় ইংরেজী। তবে নিজের স্কুলে মাঝে মধ্যে বিজ্ঞান আর অংকও করান ছাত্রদের। ছাত্ররা তাকে পছন্দ করে, তিনি বুঝতে পারেন। তিনি খেয়াল করলেন পাগলটা সবার কাছে হাত পাততে পাততে এখন তার সামনে এসে দাড়িয়েছে। মাছের মত চোখে তাকিয়ে আছে তার দিকে। তিনি বললেন

-এই তুমি চা খাবে?

পাগল কথা বলল না। মাথা ঝাকালো। তিনি ইশারা করলেন চাওয়ালাকে দু কাপ চা দিতে। আরেক কাপ চা খাওয়া যেতে পারে। তিনি খেয়াল করলেন পাগলটা চায়ের কাপটা নিয়ে পানির মত ঢক ঢক করে চা গিলে ফেলল। তারতো মুখ পুড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু সে দিব্যি মুখ চাটছে, যেন কিছুই হয় নি। তখনই রফিক স্যারের মনে হল ঠিক এই রকম একটা ঘটনা ঘটেছিল তার নিজের জীবনে। সেখানে তিনি পাগল ছিলেন। দ্বিতীয় লোকটি ছিল সুস্থ্য। সুস্থ্য লোকটি তাকে বলেছিল ‘স্যার চা খাইবেন?’ তিনি এই পাগলটার মত করে  মাথা ঝাকিয়েছিলেন বলেই মনে হয়। লোকটি কি তাকে স্যার বলে সম্মোধন করেছিল তখন? পাগলকে কি কেউ স্যার বলে? তাকে সবাই স্যার বলে কারণ তিনি একজন শিক্ষক। কি আশ্চর্য ঘটনাটা তিনি মনে করার চেষ্টা করলেন, কিন্তু কিছুতেই পরিস্কার মনে করতে পারলেন না। আজকাল তিনি হঠাৎ হঠাৎ করে পিছনের কিছু কিছু বিষয় মনে করতে পারেন না। তিনি পাগলাটার হাতে একটা দশ টাকার নোট দিয়ে বাড়ীর পথ ধরলেন। মরিয়ম বলেছে ফেরার সময় সাজনা কিনে ফিরতে। স্টেশনের কাছে শাক সব্জির একটা বড় বাজার আছে। এখানে সাজনা পাওয়া যেতে পারে।

তিনি সাজনা পেলেন না, এখন অবশ্য সাজনার সিজন না। এক কেজি চায়নিজ কমলা কিনলেন আর খেজুর। খেজুর তার স্ত্রীর পছন্দ। ছোট ছোট চায়নিজ কমলা তার ছেলের পছন্দ। দুটো মাত্র দাঁত উঠেছে তাই দিয়ে সে কমলা কামড়ে খাওয়ার চেষ্টা করে দৃশ্যটা সুন্দর। 

ভারী ডিজেল ইঞ্জিনের হর্ণ বেজে উঠল। পাঁচটার মেইল ট্রেন প্লাটফর্মে এই মাত্র ঢুকলো। স্টেশনে হৈ চৈ শুরু হয়েছে। রফিক স্যার দ্রুত পায়ে হাঁটতে লাগলেন বাড়ীর পথে। তিনি এখন সুখী একজন মানুষ, পিছনের কিছু জিনিষ তিনি এখন আর মনে করতে চান না, মনেও পড়ে না। তবে তিনি জানলেন না স্টেশনের সেই ফেলে আসা পাগলটি কুদ্দুস , একসময় সরযুবালা স্কুলের পিয়ন ছিল, তিনিও ঐ একই স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। কুদ্দুস তার গোলমাল হয়ে যওয়া মস্তিষ্কে মনে করার চেষ্টা করছিল দশটাকা দিয়ে যাওয়া লোকটিকে...।

সব স্টেশনেই একজন করে পাগল থাকে কথাটা সত্যি নয়। নবী নগর স্টেশনে কোন পাগল নেই। পাগল কেন কোন মানুষই নেই। এক সময়ের জংশন স্টেশন এখন মৃৎবত। সন্ধ্যা ছয়টায় একটা লোকাল ট্রেন কখনো কখনো এসে কোনমতে থামে। দশ পনের মিনিটের মত দাড়ায় তারপর ফের ঢিমে তালে চলতে শুরু করে। বাস সার্ভিস চালু হওয়ার পর পরই এই স্টেশনে ধ্বস নামে। তবে খেয়াল করলে দেখলে বোঝা যাবে স্টেশনটা একসময় বেশ সুন্দর ছিল। এখনো  হঠাৎ দমকা বাতাসে যখন ছেড়া কাগজের টুকরো আর গাছের মরা পাতা  লাফিয়ে  উঠে ছুটতে থাকে ট্রেন লাইন ধরে তখন দৃশ্যটা বেশ লাগে। যেহেতু এই লাইনে ট্রেন চলেই না তাই মাঝে মধ্যে দেখা যায় ইজেল নিয়ে কিছু তরুণ শিল্পী ট্রেন লাইনের  উপর দাড়িয়ে জিরো ডিগ্রী পারসপেক্টিভ আঁকে, যেখানে সমান্তরাল লাইন দুটি দিগন্তে শূণ্য বিন্দুতে মিলিয়ে গেছে তারা সেই ছবি আঁকে। দু একজন কৌতুহোলী অলস মানুষ সেই ছবি আঁকা দেখে ভীড় করে।

তবে আজ কেউ নেই। ফাকা বেঞ্চে বসে আছে মারুফ। ছ’টার ট্রেনটা যদি আসে তাহলে সে চড়ে বসবে, এই তার পরিকল্পনা। কোথায় যাবে সে জানে না।  মবিন অবশ্য বলেছে এই ট্রেন পার্বতি পুর, গাংনি,  চাপুর... উত্তরের এই সমস্ত ছোট ছোট স্টেশন ধরবে। একটা জায়গাও তার পরিচিত মনে হচ্ছে না। তবে কোন একটা স্টেশনে নেমে যাবে সে। মানুষের স্টেশন একটা কি দুটো, কিন্তু জীবনের স্টেশন অসংখ্য!

ছ’টার ট্রেনটা আজ থামল না। ঝম ঝম করে শান্ত স্টেশনটা কাপিয়ে ছুটে চলে গেল। তারপর ফের নিরব হয়ে গেল স্টেশন। গুড় গুড় করে মেঘ ডাকছে বৃষ্টি হবে নাকি? চারদিকে গাঢ় অন্ধকার আস্তে আস্তে  ঘিরে ধরছে স্টেশনটাকে। ঠিক তখন ঘাড়ের কাছে একটা শীতল স্পর্শ অনুভব করল মারুফ।

-হ্যালো মারুফ আহমেদ?

মারুফ টের পেল তার ঘাড়ের কাছে একটা পয়েন্ট থার্টি সিক্স ক্যালিবারের রিভলভার ধরা। বেশ মনে পড়ছে রিভলবারটা  ইন্সপেক্টর সারোয়ার খানের সার্ভিস ওয়েপন ছিল। লোকটা তাহলে বেঁচে আছে; ভাবল মারুফ।

 

সাবিনাও যেন নতুন করে বেঁচে উঠল।

সে সরযুবালা স্কুলেই আছে। আপাতত বাড়ি যাওয়ার পরিকল্পনা বাদ দিয়েছে। বড় ম্যাডাম মানে হেড মিসট্রেস নিরুবালা আচার্য তাকে স্কুলে একটা চাকরী দিয়েছেন, বেতন খারাপ না। স্কুলেই থাকা খাওয়া। চাকরীটাও মন্দ না, সে এখন বড় ম্যডামের একরকম ডান হাতই বলা যায়। সাবিনা মেয়েটা বুদ্ধিমান চট করে সব বুঝে নেওয়ার ক্ষমতা আছে। এবং সবচে বড় কথা স্কুলের সবাই তাকে পছন্দ করছে। স্কুলের ফোন থেকে একদিন সে বাড়ীতে মাকে মোবাইলে ফোন দিল-

-মা?
-কে?
-মা আমি সাবিনা
-সাবিনা তুই কই?
-আমি নবী নগরে, সরযুবালা স্কুলে চাকরী নিসি।
-কি কস? বরুণ কই?
-ঐ হারামজাদার খবর জানি না। জানতে চাইও না। স্কুলে ভাল আছি। ওপাশে চুপ। মা হয়ত ধাতস্ত হতে সময় নিচ্ছে।
-তোরে চাকরী দিল কেরে মা? মা হাপুস নয়নে কাঁদতে কাঁদতে জানতে চান।
-এই স্কুলের বড় ম্যাডাম দিছে।
-মারে বাড়ি আবি না?
-তোমরা আস, স্কুলে আমার নিজের থাকার আলাদা ঘর আছে, রান্নার চুলাও আছে। তোমরা আমার সাথে থাকবা। মতিরে নিয়া চইলা আস।
-সত্যি আমু?
-হ্যাঁ হ্যাঁ কাল রওনা দাও। বেশীক্ষনতো লাগে না। স্কুলের গেটে আইসা দারোয়ান চাচারে আমার নাম বলবা।
-আচ্ছা তাইলে কালই আসুম।
-হ্যাঁ আস। কিছুদিন পর আম কাঠালের ছুটি হইব তখন এক সাথে বাড়ী যামু।
-আচ্ছা আসুম
-আচ্ছা রাখি মা
-শোন শোন কুদ্দুসের খবর কিছু জানস?
-জানিতো খুন কইরা এখন ফেরারী হইছে। মা?
-বল
-আমার উপর রাগ কইরা আছ?
-মা ফোপাতে ফোপাতে বললেন ‘নারে মা, রাগ নাই।’
-মা তাইলে রাখি

ওপাশে মায়ের ফোপানীর শব্দ শোনা এখনো যাচ্ছে। তার মাথায় নিশ্চয়ই এখন হাজারটা প্রশ্ন হাজির হয়েছে কোনটার উত্তরই মিলাতে পারছেন না বেচারী। 

হেড ম্যাডামের ঘন্টি বাজছে। সাবিনা ফোন রেখে ছুটলো, গিয়ে দেখে হেড ম্যাডাম ডাকে নি। তাহলে ঘন্টি বাজলো কোথায়? সাবিনা উকি দিল টিচার্স রুমে, মনিকা ম্যাডাম একা বসে আছে। বের হয়ে এসে ক্যান্টিনের দিকে হাঁটা দিল সাবিনা। তার মাথায় একটা প্ল্যান্ এসেছে। মাকে নিয়ে এসে ক্যান্টিনের রান্নায় লাগিয়ে দিবে, মা ভাল রাধে। হেড ম্যাডাম আপত্তি করবেন না। কিছু ইনকামও বাড়ল। আর মতিকে এই স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিবে। আর সে ভর্তি হয়ে যাবে এখানে নাইট কলেজে। বিএ টা তাকে শেষ করতেই হবে।  বড় ম্যাডাম বলেছেন তিনি ব্যবস্থা করে দিবেন। সাবিনার মনে হচ্ছে একদিকে স্বপ্ন ভঙ্গ হলেও আরেক দিকে যেন স্বপ্ন গুলো পূরণ হতে যাচ্ছে।

মানুষ আসলে জানে না তার একটি দরজা বন্ধ হয়ে গেলে আরো দশটি দরজা খুলে যায়। তবে খোলা দরজাগুলো কোথায় কোথায় খুললো সেটা বোঝার বুদ্ধি থাকতে হবে। কে জানে সাবিনার হয়ত সেই বুদ্ধি আগে ছিল না তবে এখন আছে।

মনিকা ম্যাডাম খুব অবাক হল। স্কুলের ঠিকানায় বাইপোস্টে আজ তার একটা চিঠি এসেছে উপরে ইংরেজীতে লিখা ‘মিস মনিকা’ চিঠি খুলে পড়তে শুরু করল।

মনিকা,
আমাকে চেনার কোন কারণ নেই তোমার। চিঠিটা আসলে লিখেছি মারুফকে। মারুফকে হয়ত চিনবে। তার কাছেই তোমার কথা শুনেছি, মারুফ বলেছিল তোমার সঙ্গে সরযুবালা স্কুলে দেখা করবে। তাই ভাবলাম চিঠিটা তোমাকে লিখলে হয়ত সে পাবে। অবশ্য তোমার জন্য এই চিঠি মারুফকে পৌঁছানো বিরক্তিকর বা অস্বস্থিকর মনে হলে ছিড়ে ফেলতে পার। এটা এমন কোনো জরুরী চিঠি নয়। তোমাকে ধন্যবাদ।

এবার মারুফের চিঠি...

মারুফ,
আজ নরওয়ে চলে যাচ্ছি। ওয়ান ওয়ে জার্নি। আমার মেয়ের কাছে। আমার মেয়েকে তুমি চিনবে। তার নাম জরিনা। কি অবাক হলে? অবাক হওয়ারই কথা। আসলে তুমিতো জান হত্যা মামলা কখনো তামাদি হয় না। তাই সে আমার পরামর্শেই আগেই দেশ তাগ করেছে। তার কাছেই যাচ্ছি। এই চিঠি লেখার কারণ তুমি তাকে রক্ষা করেছিলে। কৃতজ্ঞতা জানাতেই তোমাকে লিখা। জেলখানাতেও কৃতজ্ঞতা জানানো যেত। তবে জানতো সময়ের মধ্যে থেকেও আমরা অনেক সময় সময়কে বুঝতে পারি না বা চাইও না। বিদায়, ভাল থেকো।

প্রফেসর।

 

চিঠিটা আরো কয়েকবার পড়লো মনিকা। তারপর কুটি কুটি করে ছিড়ে ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দিল। আজকাল মনিকা নিজেকে চিনতে পারছে না। কিছুতেই চিনতে পারছে না। 

 

-তুমি তাহলে বেঁচে আছ? মাথা না ঘুরিয়েই বলল মারুফ। তার মাথার পিছনে তখনো সারোয়ার খানের পয়েন্ট থার্টি সিক্স ক্যালিবারের রিভলভারটা ধরা।
-তোমার সঙ্গে খেলা শেষ না করে মরব, এ ধারণা কিভাবে হল?
-না নবী নগরের এক কাউন্সিলর বলছিল তোমাকে নাকি সে ঠুস করে দিয়েছে। তাই ভাবলাম সত্যি হয়ত।

হা হা করে হাসল ইন্সপেক্টর সারোয়ার।

-তাই কি সম্ভব? এক একটি খেলা আমি অনেক সময় নিয়ে সাজাই। সেটা কি ঠুস করে কোথাকার কোন কাউন্সিলরের গুলিতে মরে যাওয়ার জন্য? তবে স্বীকার করতেই হবে এই খেলার অর্ধেক তুমি জিতেছ। মানে জেলখানা থেকে সময়ের আগেই বের হয়ে আসতে পেরেছ। তাহলে আমরা বাকি অর্ধেক খেলা খেলতে পারি, কি বল?

-তা হয়ত পারি। কিন্তু তার আগে তোমাকে একটা গল্প শুনতে হবে। বলল মারুফ।
-গল্প? একটু যেন বিস্ময় প্রকাশ করলো ইন্সপেক্টর সারোয়ার। ‘কিসের গল্প?’
-কেন এর মধ্যে তুমি ভুলে গেলে? ইন্টারোগেশন রুমে তুমি আমার জারজ সন্তান হয়ে উঠার একটা গল্প বলেছিলে?
-হ্যাঁ বলেছিলাম।
-সেই গল্পের আরেকটি অংশ কিন্তু আছে
-আছে নাকি? বেশতো বল গল্পটা শুনি...

(চলবে, আর এক পর্ব)

একা এবং একা - পর্ব এক
একা এবং একা - পর্ব দুই
একা এবং একা - পর্ব তিন
একা এবং একা - পর্ব চার
একা এবং একা - পর্ব পাঁচ
একা এবং একা - পর্ব ছয়
একা এবং একা - পর্ব সাত
একা এবং একা - পর্ব আট
একা এবং একা পর্ব- নয়

একা এবং একা - পর্ব দশ
একা এবং একা - পর্ব এগারো
একা এবং একা - পর্ব বারো
একা এবং একা - পর্ব তের
একা এবং একা - পর্ব চৌদ্দ
একা এবং একা- পর্ব পনের
একা এবং একা- পর্ব ষোল
একা এবং একা -পর্ব সতের
একা এবং একা- পর্ব আঠারো

 
লেখক: আহসান হাবীব
কার্টুনিস্ট/ সম্পাদক
উম্মাদ, স্যাটায়ার কার্টুন পত্রিকা
 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top