সিডনী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১

বধির নিরবধি (পর্ব দশ) : আসিফ মেহ্‌দী


প্রকাশিত:
৫ নভেম্বর ২০২০ ২১:০৫

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৪ ১০:৫১

 

(দেশসেরা দুই ফান ম্যাগাজিন ‘উন্মাদ’ ও ‘রস+আলো’তে লেখার সুবাদে আসিফ মেহ্‌দী রম্যলেখক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন আগেই। ‘বেতাল রম্য’ নামের প্রথম বইয়েই তিনি লাভ করেন তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তা। তারপর একে একে প্রকাশিত তাঁর প্রতিটি বইয়ে ব্যঙ্গ আর হাসির সঙ্গে গভীর জীবনবোধের প্রতিফলন ঘটিয়ে তিনি শুধু পাঠকপ্রিয়তাই লাভ করেননি, তাঁর বইগুলো উঠে এসেছে বেস্ট সেলার বইয়ের তালিকায়। সেগুলোর মধ্যে 'বধির নিরবধি', ‘মায়া’, ‘অপ্সরা’, ‘তরু-নৃ’ অন্যতম। এছাড়া এনটিভিতে প্রচারিত তাঁর লেখা নাটক ‘অ্যানালগ ভালোবাসা’-র বিষয়বস্তুর জীবনঘনিষ্ঠতা দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়েছে। ‘ন্যানো কাব্য’ নামে একটি বিশেষ কাব্যধারার প্রবর্তক আসিফ মেহ্‌দী কবিতা প্রেমীদের কাছে ন্যানো কবি হিসেবে পরিচিত। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা পঁচিশ।)

 

পর্ব দশঃ
দোতলা বাড়ি। বাড়িতে ঢুকতে হলে কাদা মারিয়ে যেতে হবে। এতটা পথ যে অভিযাত্রিক জুটি পার করে এসেছে, তাদের জন্য কাদা কোন ছার! কাদা মাড়িয়ে দরজার সামনে দাঁড়াল তারা। বার কয়েক কলিংবেল দেওয়ার পর এক বয়স্ক মহিলা দরজা খুললেন। ইনার চিনতে সমস্যা হলো না, ভদ্রমহিলাই ইফরা নাহিদ। রূপবতী বলা যাবে না; তবে অসম্ভব মায়াবতী চেহারা। বয়স মানুষের রূপ মুছে দিতে পারে কিন্তু মায়া মুছতে পারে না। ইনাদের দেখে তিনি বললেন, ‘কে তোমরা?’

মহিলার চেহারায় বয়সের ছাপ পড়লেও কণ্ঠে পড়েনি। বলিষ্ঠ কণ্ঠে রয়েছে আত্মবিশ্বাসের ছোঁয়া। ইফরা নাহিদের প্রশ্নের জবাবে ইনা বলল, ‘আমার দাদাজানের নাম শওকত চৌধুরী। আপনার সঙ্গে দুদিন পর তার দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু এ মুহূর্তে তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। আমাকে পাঠিয়েছেন আপনার সঙ্গে দেখা করতে।’

ইফরা খানিকক্ষণ ইনার কথা বোঝার চেষ্টা করলেন। তারপর বললেন, ‘ও, তুমি শওকতের কাছ থেকে এসেছ! কী ছেলেমানুষি দেখো তো! পঞ্চাশ বছর আগের কথা কেউ মনে রাখে? এসো, ভেতরে এসো।’

ইনা ও তাহমিদ বাড়ির ভেতরে ঢুকল। তেমন গোছানো না। সোফাতে বসল তারা। বাসাতে আর কেউ আছে বলে মনে হচ্ছে না; তবে দেয়ালে টাঙানো পারিবারিক ছবিগুলোতে অনেক মুখ দেখা যাচ্ছে। বাসাভর্তি মানুষ থাকার কথা। শোরগোল থাকার কথা। একটি ছবিতে ইফরার পুরো পরিবারকে দেখা যাচ্ছে-ছেলেমেয়ে থেকে নাতি-নাতনী পর্যন্ত; একসঙ্গে বারোজন।

ফ্রিজ থেকে খাবার নিয়ে গরম করার জন্য ইফরা ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। তার ব্যস্ততা দেখে তাহমিদ বলল, ‘আপনি কাইন্ডলি ব্যস্ত হবেন না। আমরা তো আছিই। একটু বসুন।’

বিরিয়ানি জাতীয় খাবার মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করলেন ইফরা। খাবার পরিবেশনে ইনা ও তাহমিদ সহযোগিতা করল। প্লেটে নিজেরাই বেড়ে নিল। খাবার নিয়ে বসল সোফাতে। ইফরা কিছু নিলেন না কিন্তু সোফাতে দুজনের মুখোমুখি বসে বললেন, ‘কুসকুস-এর বিরিয়ানি। যখন বিদেশে থাকতাম, তখন মরক্কো দেশের এই মেন্যু রান্না করা শিখেছিলাম প্রতিবেশি এক ভাবীর কাছে।’

তাহমিদ বলল, ‘বেশ মজার হয়েছে রান্না!’ 

ইফরা বললেন, ‘তোমরা এসেছ, খুব ভালো লাগছে। কতদিন এ বাসায় কোনো মানুষ আসে না! কিন্তু শওকতের কাণ্ড দেখে আমার অবাকও লাগছে। পঞ্চাশ বছর আগের কথা কেউ মনে রাখে?’

ইনা বলল, ‘আমার কিন্তু খুব জানতে ইচ্ছে হচ্ছে, পঞ্চাশ বছর আগে কী এমন ঘটেছিল যে দাদাজান এতকাল মনে রেখেছেন!’

তাহমিদও ইনার দাদাজানের উদ্ভট ইচ্ছার ব্যাপারে জানতে ইফরার দিকে তাকাল। ইফরা স্মৃতি আওড়াতে লাগলেন। একপর্যায়ে বলা শুরু করলেন, ‘পঞ্চাশ বছর আগে দেশ তখন উত্তাল। স্বাধীনতার পথে এগিয়ে চলেছে একটি জাতি। ভার্সিটির ফাইনাল পরীক্ষা শেষ বলে বাসার মধ্যেই দিন কাটছিল। বাবা-মা বললেন, মামা-মামীর কাছ থেকে ঘুরে আসতে। তারা থাকেন স্কটল্যান্ডে। সেখানে যাওয়ার ব্যবস্থা হলো। কিছুদিনের জন্য চলে গেলাম সেই দেশে। মামা-মামী উইকেন্ডে আমাকে নিয়ে একেক জায়গায় ঘুরতে বেরোতেন। স্বপ্নের মতো কাটছিল সেই সময়। অন্যরকম ঘোরের মধ্যে ছিলাম। এক ছুটির দিনের কথা। স্কটল্যান্ডের হাইল্যান্ড এলাকায় ঘুরতে বেরোলাম। একটা ট্রাভেল এজেন্সির একদিনের প্যাকেজ নিয়েছিলাম আমরা। জানতাম না যে সেদিন এমন এক মানুষের সঙ্গে আমার দেখা হবে, যে আমাকে মনে রাখবে এতটা বছর!’

তাহমিদ ও ইনা চামচ দিয়ে একটু করে বিরিয়ানি খাচ্ছে আর গল্প শুনছে। ইফরাকে থেমে যেতে দেখে ইনা বলল, ‘আপনি খুব সুন্দর করে গল্প বলেন, দাদুমণি।’

ইফরা হাসলেন। বললেন, ‘গল্প সুন্দর করে বলতে পারে তোমার দাদাজান। আমি মুগ্ধ হয়ে শুনতাম তার কথা।’

ইনা বলল, ‘কই, দাদাজান তো আমাদের সঙ্গে তেমন কথাই বলেন না!’

তাহমিদ হাসতে হাসতে বলল, ‘দাদা জানেন, অপাত্রে মূল্যবান কথা দান করা ঠিক না!’ তাহমিদ কথাটি বলেছে রসিকতা করে কিন্তু ইনার চোখে সেটি আর নির্দোষ নেই! ইনা চোখ পাকিয়ে তাহমিদের দিকে তাকিয়ে বুঝিয়ে দিল যে, এই দোষে তার দণ্ড আসন্ন। তাহমিদ অবশ্য চোখ রাঙানিকে খুব একটা পাত্তা দিল না। ইফরা এসব খেয়ালই করলেন না। তিনি যেন চোখের সামনে সেসব দিন দেখতে পাচ্ছেন। হাতড়ে তুলে আনার চেষ্টা করছেন স্মৃতির মুক্তামালা।

ইফরা আবার বলা শুরু করলেন, ‘হাইল্যান্ডের ট্যুরে পরিচয় হয় শওকতের সঙ্গে। সেই বছর সে মাস্টার্স করতে গিয়েছিল এডিনবরা ইউনিভার্সিটিতে। ওর সঙ্গে পরিচয়ের দিনটির কথা অবশ্য আমিও জীবনভর ভুলতে পারিনি। সেদিন হাইল্যান্ডের গ্লেনকো নামের এক স্থানে গিয়ে আমার মনে হলো অন্যভুবনে চলে গেছি! তেমন এক মোহনীয় মুহূর্তে এমন একজনের সঙ্গে দেখা, যে আমার দেখা প্রথম সুপুরুষ! তারপর...’ এটুকু বলে থামলেন ইফরা।

‘তারপর?’ ইনা ও তাহমিদ একসঙ্গে বলে উঠল।

‘তারপর অনেক ঘটনাই ঘটল। সেসব ঘটনা একান্তই ব্যক্তিগত। তাই বলতে চাচ্ছি না। দিনগুলো খুব দ্রুত লয়ে এগিয়ে চলল। কয়েক মাস পর খবর পেলাম, বাবা-মা আমার জন্য দেশে পাত্র ঠিক করেছেন। বাবা-মায়ের অবাধ্য হওয়ার কথা আমি কল্পনাও করিনি কখনো। মনেমনে তাদের পছন্দের ছেলেকেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলাম। এই সংবাদে শওকত যেন কষ্ট না পায়, সেজন্য দেশে ফেরার আগে ওকে নিয়ে আবার ঘুরতে গেলাম গ্লেনকো-র স্বপ্নভুবনে। কিন্তু আমি কিছু বলার আগেই ও নাটকীয়ভাবে হাঁটু গেড়ে আমাকে প্রোপোজ করে বসল। কিছুক্ষণের জন্য আমার জীবন যেন থমকে গেল। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। একদিকে আমাকে তিলতিল যত্নে বড় করে তুলেছেন যে বাবা-মা, আমার জন্য দেখা তাদের স্বপ্ন; অন্যদিকে আমার স্বপ্নের মানুষ! আমি আমার পুরো জীবনকে যেন একসঙ্গে দেখতে পেলাম। শৈশব-কৈশোরের সমস্ত ক্ষণজুড়ে বাবা-মায়ের মায়াময় মুখচ্ছবি ছাড়া কিছু মিলল না। বুঝে গেলাম, তাদের হৃদয়ে আমি কিছুতেই কষ্ট দিতে পারব না। কঠিন হৃদয়ে শওকতকে জানিয়ে দিলাম আমার বিয়ে ঠিক হওয়ার কথা।’

এটুকু বলে চুপ হয়ে গেলেন ইফরা। তাহমিদ ও ইনা তাকিয়ে রইল তার দিকে। কিছুক্ষণ পর তিনি নিজে থেকেই শুরু করলেন, ‘শওকত আমার দেখা সবচেয়ে ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ। আমি জানতাম, সে আমাকে তিল পরিমাণ বাধা দেবে না। আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে শুনে একদম চুপ হয়ে গেল; যেন একখণ্ড পাথরমূর্তি! শুধু চোখ দিয়ে পানি পড়ছিল অনর্গল। অনেকক্ষণ কোনো কথা বলল না। এক পর্যায়ে অভিমানী কণ্ঠে জানাল, সে নাকি আমাকে কোনোদিনই ভুলতে পারবে না! সেদিন ওর অনুভূতিগুলো আমি ঠিকমতো বুঝতে পারিনি। ওর কথা শুনে মজা করেই বললাম, তুমি যে আমাকে ভুলে যাবে না, পঁচিশ বছর পর আমার সঙ্গে দেখা করে তা প্রমাণ করতে পারবে? খানিক চুপ থেকে শওকত জানিয়ে দিল-পঁচিশ না; পঞ্চাশ বছর পর সে আমার সঙ্গে দেখা করে প্রমাণ করে দেবে যে আমাকে ভুলে যায়নি!’

তাহমিদ তাকিয়ে দেখল, ভদ্রমহিলার মুখে কষ্টবোধের ছাপ। সে বলল, ‘এমন বিরল এক ঘটনার সাক্ষী হতে পারব, কল্পনা করিনি। আপনাকে কি দাদু বলতে পারি?’

‘তাইতো বলবে। তোমাদের দাদুর বয়সী আমি।’

তাহমিদ মৃদুস্বরে বলল, ‘দাদু, আপনিও দেখি একদম ভোলেননি সেসব দিনের কথা! আমাদেরকে প্রথম দেখেই ঠিক ধরে ফেলেছেন, পঞ্চাশ বছর আগের একটি কথা রাখতে আমরা হাজির হয়েছি!’

ইফরার মুখে কষ্টবোধ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠল। অনেক কিছু বলতে গিয়েও তিনি যেন বলতে পারছেন না। ইনা বলল, ‘আপনার জন্য একটা খাম আছে। আমার দাদা পাঠিয়েছেন।’

খামের কথা শুনে তাহমিদ সচকিত হলো। খামের ভেতরে চিঠিতে কী লেখা আছে, তা জানার জন্য তার মন উশখুশ করতে থাকল। ইনার কাছ থেকে খামটা নিলেন ইফরা এবং হাতের মুঠোয় সেটি রেখে দিলেন। শুরু করলেন অন্য গল্প, ‘আমার ছেলেমেয়েগুলো এখন অন্য দেশে সেটেলড। নাতি-নাতনিগুলোর সঙ্গে তেমন আর দেখা হয় না। বছরে কেউ একবার হয়তো আসে কিন্তু সেটা পরিদর্শনের মতো। তবে অনেকদিন হয়ে গেল এই বাসাতে কেউ আসে না। এমন একাকীত্ব আর ভালো লাগে না।’

ইনা বলল, ‘এ বাসাতে আপনি একাই থাকেন?’

‘হ্যাঁ। আমার জীবনসঙ্গী এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন বছর সাতেক হলো। এমন নিঃসঙ্গ এক জীবনসায়াহ্ণ পাব, ভাবিনি।’

তাহমিদ বলল, ‘এখন থেকে আর আপনার চিন্তা নেই, দাদু। আমি চট্টগ্রাম এলেই আপনাকে বিরক্ত করে যাব।’

‘বিরক্ত বলছ কেন? অবশ্যই আসবে। আচ্ছা বাবা, তোমরা একটু বোসো। আমি ভেতর থেকে আসছি।’ এটুকু বলে ইফরা ভেতরে গেলেন।

তাহমিদ ইনাকে বলল, ‘এত ইন্টারেস্টিং একটা গল্প আপনি আমার থেকে গোপন করলেন কীভাবে?’

ইনা বলল, ‘কেন মিস্টার, সব গোপন আপনার কাছে প্রকাশ করতে হবে কেন?’

‘কারণ, বাসে আপনি আমার কাঁধে মাথা এলিয়ে বেঘোরে ঘুমিয়েছেন। সেই ঋণ শোধ করতে হবে না?’

‘অ্যাই, কী বলছেন আপনি! মিথ্যা বলছেন কেন?’

‘মোটেও মিথ্যা না। কাঁধটা ভীষণ ব্যথা হয়ে গেছে। মুখে হাত দেওয়ার পারমিশন থাকলে ধরে সরিয়ে দিতাম। কিন্তু সেই পারমিশন তো দেননি।’

ইনা মনেমনে বেশ লজ্জা পাচ্ছে। একটু নরম সুরে বলল, ‘সত্যি করে বলুন, আমি ঠিকমতোই তো ঘুমাচ্ছিলাম, তাই না?’

‘হুম, ঠিকমতো আমার কাঁধে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছিলেন। আর ঘুমের ঘোরে একটা ব্যাপারও ঘটিয়েছেন!’

ইনা চমকে উঠল, ‘কী ঘটিয়েছি?’

‘জি না, সেটা তো বলা যাবে না। গোপন ব্যাপার। আপনি গোপন প্রকাশ করেননি; আমিও গোপন প্রকাশ করব না।’

ইনা হেসে বলল, ‘জি ধন্যবাদ, আপনার গোপন কিছু আমি শুনতেও চাচ্ছি না।’

এমন সময় ইফরা ঘরে ঢুকলেন। তার চোখমুখের অবস্থা দেখে দুজনই বুঝতে পারছে, কেঁদে নিজেকে বেশ খানিকটা হালকা করে ফিরেছেন। তাহমিদ ঠিকই অনুমান করতে পারছে, আড়ালে চিঠিটা পড়তে গিয়েছিলেন তিনি। চিঠি পড়ার পর স্বাভাবিকভাবে ফিরতে চেয়েছেন কিন্তু চেহারাতে কান্নার ছাপ আড়াল করতে পারেননি। ইনা বলল, ‘আপনার শরীর ঠিক আছে তো, দাদু?’

‘না, ঠিক আছি। তবে হঠাৎ একটু খারাপ করেছে শরীর।’

‘চলুন, আপনাকে বিছানায় শুইয়ে দিই।’

ইফরা না করলেন না। ইনা তাকে ধরে বেডরুমে নিয়ে এলো। পেছন পেছন এলো তাহমিদ। ইফরাকে ধরে ইনা বিছানায় শুইয়ে দিল। তারপর তাহমিদের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘আপনি যদি কিছু মনে না করেন, আমি দাদুকে একান্ত কিছু কথা বলতে চাই।’

তাহমিদ খানিক বিরক্ত হলো ইনার ওপর। চোখ গোলগোল করে তাকিয়ে সেটি বুঝিয়ে দিল। তারপর বেরিয়ে এল বেডরুম থেকে এবং টয়লেটে ঢুকল। এর মাঝেই ভীষণ খারাপ একটি কাজ করে ফেলল! আজ সে সংযম হারিয়ে বোধহয় উন্মাদ হয়ে গেছে। হাত-মুখ ধুয়ে তাহমিদ যখন টয়লেট থেকে বের হলো, তখন ড্রইংরুমে দেখতে পেল ইফরাকে নিয়ে ইনা বসে আছে। তাকে দেখে ইনা বলল, ‘দাদুর শরীর এখন ভালো। চলুন তাহলে।

চলবে

 

বধির নিরবধি (পর্ব এক)
বধির নিরবধি (পর্ব দুই)
বধির নিরবধি (পর্ব তিন)
বধির নিরবধি (পর্ব চার)
বধির নিরবধি (পর্ব পাঁচ)
বধির নিরবধি (পর্ব ছয়)
বধির নিরবধি (পর্ব সাত)
বধির নিরবধি (পর্ব আট)
বধির নিরবধি (পর্ব নয়)

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top